ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বস্তায় আদা চাষে লাভের মুখ দেখছেন বোয়ালখালীর কৃষকরা

বস্তায় আদা চাষে লাভের মুখ দেখছেন বোয়ালখালীর কৃষকরা

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রথমবারের মতো ‘বস্তায় আদা চাষ’ পদ্ধতির প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও কৃষাণীরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনায় ২০টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুরু হয়েছে বস্তায় পরীক্ষামূলক আদা চাষ। চাষিরা বলছেনবসতবাড়ির আঙিনায়, পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা পুকুর পাড়ে অল্প জায়গা ও খরচে আদা চাষের এ পদ্ধতি বেশ লাভজনক ও সহজলভ্য। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ বছর ২০টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপজেলায় প্রথমবারের মতো বস্তায় আদা চাষ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রদর্শনীতে ৬০টি করে বস্তা সরবরাহ করা হয়।

আমুচিয়া ইউনিয়নের ধোরলা গ্রামের কৃষাণী সুমা বৈদ্য বলেন, ‘বোয়ালখালী কৃষি অফিস থেকে জানতে পারি বস্তায় আদা চাষ করা যায়। তারা আমাদের বীজ, বস্তা, সার সব কিছু দিয়েছে। আমরা শুধু শ্রম দিয়েছি। আশা করছি প্রতিটি বস্তা থেকে ২-৩ কেজি আদা পাব। একই গ্রামের কৃষক তপন চৌধুরী জানান, আগে কখনও এভাবে আদা চাষ করিনি। এবার কৃষি অফিসের প্রদর্শনী পেয়েছি, ৬০টি বস্তায় চাষ করেছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভালো লাভ হবে। আগামী বছর ১ হাজার বস্তা চাষের পরিকল্পনা করেছি।

সারোয়াতলী ইউনিয়নের কনজুরী গ্রামের রানু আলমও জানান, তিনিও প্রথমবারের মতো বস্তায় আদা চাষে ভালো ফলনের আশায় আছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘বোয়ালখালীতে এবারই প্রথম বস্তায় আদা চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে। অনেকেই প্রদর্শনীর বাইরে নিজ উদ্যোগেও চাষ শুরু করেছেন। তিনি জানান, প্রতিটি বস্তায় ৫০-৬০ গ্রাম আদার বীজ বপন করা হয়। ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিংক, গোবর ও বার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি তৈরি করে তাতে বীজ পুঁতে দিতে হয়। আদা লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ-এপ্রিল (চৈত্র-বৈশাখ)। ফলন পাওয়া যায় ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত