ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নতুন রূপে ফিরছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

নতুন রূপে ফিরছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

চট্টগ্রামের বিনোদনের স্থানের মধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা অন্যতম। বিভিন্ন সরকারি বন্ধের দিন কিংবা উৎসব আনন্দে এ চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত থাকে। অনেকে পরবার পরিজন নিয়ে আসেন কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্যে। এবার দর্শনার্থী ও পর্যটকদের চিন্তা মাথায় রেখে চিড়িয়াখানার পরিসর বড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, দশ একরের এই চিড়িয়াখানার আয়তন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। সেইসঙ্গে নতুন করে প্রাণী আনার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজের জন্য প্রাণি জাদুঘর করার পরিকল্পনা নিয়েও এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে চিড়িয়াখানার সংস্কারের কাজ। নতুন করে আট একর জায়গা যুক্ত করা হচ্ছে। তাতে চিড়িয়াখানাটির আয়তন দাঁড়াবে ১৮ একরে। চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, আট একর এলাকায় আছে টিলা, জঙ্গল, জলাধার। সেসব ঠিক রেখে এলাকাটি সংস্কার করে চিড়িয়াখানার আয়তন বাড়ছে। এতে করে ঘুরে বেড়ানোর এলাকা বাড়ার সঙ্গে দর্শনার্থীরা মনোরম পরিবেশও উপভোগ করবে। এতে আগের তুলনায় চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য ও শোভা বাড়বে কয়েকগুণ। তিনি আরও জানান, নুতন যুক্ত করা এলাকা জুড়ে হবে ‘অ্যাভিয়ারি’। হাতি, জিরাফ ও চিতার খাঁচা হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশে এসব প্রাণীর আবাসস্থল হবে। পাশাপাশি কিছু প্রাণীর খাঁচা সেখানে স্থানান্তর করে অন্য প্রাণীদের বাসস্থানের আয়তনও বাড়ানো হবে। ১৯৮৯ সালে নগরীর ফয়েস লেক এলাকায় ছয় একর জমিতে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এটি পরিচালনা করে। সরকারি অনুদান ছাড়া টিকেট বিক্রির নিজস্ব আয়ে প্রাণী সংগ্রহ, খাদ্য, কর্মচারীদের বেতনভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়ে থাকে। ডেপুটি কিউরেটর শুভ বলেন, নতুন নির্মাণ করা দুই সড়কের মধ্যে পাহাড়ি টিলা ও জঙ্গলের মধ্যে হবে ২০০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট উচ্চতার ‘অ্যাভিয়ারি’। এর মধ্যে দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে। বলা হয়, এটাই দেশের একমাত্র ‘লাভজনক চিড়িয়াখানা’। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এবং প্রাণী সংখ্যা ও বৈচিত্র্যের অপ্রতুলতার কারণে ‘শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল’ চিড়িয়াখানাটি।

২০১৬ সালে এটি সংস্কার করে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রাণীর সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কয়েক দফায় বিভিন্ন সংষ্কার কাজের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার আয়তন বাড়ানোর পাশাপাশি কাঠামোগত বেশকিছু পরিবর্তনও আনা হয়। এবার নতুন করে আট একর জায়গায় জুড়ে সংস্কার, নতুন প্রাণী আনাসহ কয়েক কোটি টাকার কাজ হবে, যার সম্পূর্ণ অর্থায়ন চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে করার কথা রয়েছে। চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে, পশ্চিম পাশে ১ হাজার ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট চওড়া সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণ হচ্ছে ৩ হাজার ৮১৫ বর্গফুটের দুই তলা ভবন। অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিম দিকে পাহাড়ি টিলায় নির্মাণ করা হবে ২ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট চওড়া একটি সড়ক। এ সড়কটি নতুন তৈরি করা সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত