ধান-চালের অবৈধ মজুদ, বস্তার গায়ে ধানের জাত ও মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নওগাঁয় ৬ মিলকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত নওগাঁ সদর ও মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন চালকল ও অটো রাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ।
অভিযান পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।
মিলগুলো হলো, জেলার মহাদেবপুরের সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিটকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে এক লাখ টাকা, ধান মজুদের অভিযোগে লাইলি চল কলকে এক লাখ টাকা, চৌমাশিয়া এলাকায় অবস্থিত রাকিব চাল কলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং নওগাঁ সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন যাবত ধান এবং চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চালকল এবং অটো রাইস মিলগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মিলগুলোতে খাদ্য আইন অমান্য করে অবৈধ ধান চাল মজুদ রাখা এবং বস্তার গায়ে জাতের নাম, মিলগেট দর না লেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬ মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, মিলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমান পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ মজুদগুলো বাজারে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি অবৈধ মজুদ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশাকরি অভিযানের মাধ্যমে ধান চালের দাম দ্রুত কমে আসবে। অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।