
সীমান্ত ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়ছে মাদকের চালান। উদ্ধার করা মাদক শনাক্তের এতদিন কোনো পরীক্ষাগার ছিল না। এতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক শনাক্ত করা নিয়ে বিপাকে ছিল।
শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে কক্সবাজারে একটি মাদক পরীক্ষাগার নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলায় মাদককারবারিদের নতুন করে একটি তালিকাও প্রণয়ন তরা হচ্ছে।
গতকাল রোববার কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সৌমেন মন্ডল। তিনি বলেন, মাদক পরীক্ষাগারের অভাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আদালতে মামলার অগ্রগতি ছিল না। এই পরীক্ষার ফলাফল মাদক সংক্রান্ত মামলার তদন্ত ও নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার আঞ্চলিক বিয়ামকেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এর নেতৃত্বে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় জনপ্রশাসনের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়।