
দিনদিনই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোপা আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পার্চিং দিয়ে ধান খেতের পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ধান খেতে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা দমন করতে পারছে স্থানীয় কৃষকরা। এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাচ্ছে। ফলে ধান উৎপাদন খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।
কৃষক ধান খেতে পোকা দমনে গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি পুতে রেখেছে এবং এ সব ডালে ও কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকামাকড় ধরে খাচ্ছে।
উপজেলার ব্লক সুপারভাইজার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণির মতে, পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এই পদ্ধতিটি এলাকার প্রতিটি কৃষকরা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন। এতে করে এলাকার কৃষকরা উপকারী ও অপকারী পোকা সহজে চিনতে পারছে। এলাকার কৃষকেরা যে কোনো পোকা দেখলেই কীটনাশক দিতে হবে এই ধারণা যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে। উপজেলার চরহাজিপুর গ্রামের চাষি কাশেম, বীরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ধান খেতে বাঁশের কঞ্চিতে পাখি বসে পোকামাকড় ধরে খায়। এতে খেতে পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমে গেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয় । কারণ একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান খেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেওয়াই ভালো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম শাহজাহান কবির জানান, জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি।