ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসবে বাড়ছে আস্থা

গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসবে বাড়ছে আস্থা

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত দুই বছরে অর্ধশতাধিক প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক ডা. চৈতী মুন্সীর হাতে এসব প্রসব হওয়ায় এলাকাজুড়ে সরকারি হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। এতে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশনের প্রবণতাও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকজন প্রসূতি ভর্তি হন। তবে জটিলতা দেখা দিলে বা অভ্যাসগত কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু তরুণ চিকিৎসক ডা. চৈতী মুন্সী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালান নরমাল ডেলিভারির জন্য। তার এ উদ্যোগে অনেক মা সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

রোকেয়া খাতুন নামের এক প্রসূতি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সিজার ছাড়া কোনো পথ নেই। কিন্তু ডা. চৈতীর কারণে আমার সন্তান স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিল। এখন আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছি। আরেকজন মা হাসিনা বেগম জানান, সিজার হলে অনেক টাকা খরচ হতো। নরমাল ডেলিভারি হওয়ায় খরচও কমেছে, সুস্থ হতেও সময় লাগেনি। একই সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীরা জানান, ডা. চৈতী রাতে ডিউটি করলে স্বজনরা আশ্বস্ত থাকেন। রোগীর পাশে থেকে তার এ মানবিক প্রচেষ্টা সহকর্মীদেরও অনুপ্রাণিত করছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে সিজারিয়ান অপারেশনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান করা হয়, যা পরিবারকে আর্থিক চাপের মধ্যে ফেলে এবং মায়েদের সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগে। অন্যদিকে, স্বাভাবিক প্রসবে ঝুঁকি কম, খরচও তুলনামূলকভাবে কম এবং মায়েরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। ডা. চৈতী মুন্সী এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে কর্মরত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত