
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (নাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ১৬ পৃষ্ঠার একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করেছে। গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরাই ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। ইভিনিং, উইকএন্ড, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার থেকে বাদ পড়বেন। এছাড়াও প্রার্থী হতে হলে অন্তত ১টি শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন থাকতে হবে এবং চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী হিসেবে মেয়াদ থাকতে হবে। এছাড়া, শাস্তিপ্রাপ্ত বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় সংসদে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গ্রন্থাগার, অর্থ, সমাজসেবা, মানবাধিকার, প্রচার, বিতর্ক এবং অন্যান্য সম্পাদকীয় পদসহ মোট ২০টি পদের সঙ্গে চারজন নির্বাহী সদস্যও থাকবেন। সংসদের মেয়াদ হবে এক বছর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে সংসদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে। তবে গঠনতন্ত্রে ভিপি জিএস এজিএস এর মধ্যে কারা সিন্ডিকেটর সদস্য হবে সেই বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি। মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রার্থীকে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থকের স্বাক্ষরসহ জমা দিতে হবে। কোনো ভোটার একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। ভোটগ্রহণ, গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার দায়িত্ব সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। অর্থ ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় নাকসুর জন্য পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে, যা সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। সংসদের সব আর্থিক কার্যক্রমে বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও অডিট বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি আবাসিক হলে পৃথক হল সংসদ গঠিত হবে, যেখানে প্রভোস্ট থাকবেন সভাপতি এবং হাউস টিউটর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।