
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম আবদুল্লাহ বলেছেন, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সাংবাদিকরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতার নামে মনগড়া ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করা যাবে না। সম্প্রতি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ভুয়া সংবাদ প্রকাশের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে আরও বড় খেসারত দিতে হতে পারে। অপব্যবহার করলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আবার হারাতে হতে পারে। গতকাল সোমবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ ‘অমিত্রাক্ষরে’ আয়োজিত খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলার সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি কক্সবাজারে সাবেক একজন রাষ্ট্রের দূতের অনুপস্থিতিতে একটি বৈঠকের সংবাদের উল্লেখ করে মুহম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তিনি এদেশেই ছিলেন না, অথচ আমরা লিখে দিলাম সেখানে বৈঠক করেছেন। দেশের অনেক দায়িত্বশীল মিডিয়া সেখানকার তথাকথিত ওই বৈঠকের সংবাদ প্রকাশ করে। সাংবাদিকদের লেখার যেমন স্বাধীনতা থাকবে, পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার জায়গা রাখতে হবে।’ ‘বিগত ১৫ বছর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের কালাকানুন বাতিলের দাবিতে রাজপথে আমরা কী ধরনের আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, নিশ্চয়ই সবার তা স্মরণে আছে,’ উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকদের মতদ্বৈততার কথা উল্লেখ করে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মুহম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিজেরাই এখন বিভাজন সৃষ্টি করছি। কে বিএনপিপন্থি, কে জামায়াতপন্থি- এগুলো উত্থাপনের মাধ্যমে সেই বিভাজনের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে।