ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেড় কিমি. কাঁচা সড়কে ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

দেড় কিমি. কাঁচা সড়কে ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হলে কষ্ট দূর হবে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। জানা যায়, উপজেলার গোনারা-দেওবাড়িয়া-নয়াহাটি কাঁচা রাস্তাটি সদরের সঙ্গে পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া, শাখাইতি ও চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা, নয়াহাটি এই চার গ্রামের ২০ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। কাঁচা রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগের শেষ হয়নি স্থানীয় এলাকাবাসীর।

পানিশ্বর ও চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা কমিউনিটি ক্লিনিক, দেওবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, দেওবাড়িয়া চক বাজার, ৪টি অটোরাইস মিল, তারাখলা রউফশাহী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, দেওবাড়িয়া রউফ শাহী মাদ্রাসা, দেওবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এইসব এলাকায়। মেঘনা নদী পাড়ের গ্রামগুলোর বাসিন্দা হওয়ায় এই সড়কটির উন্নয়ন জরুরি। এটির উন্নয়ন হলে ওই অঞ্চলের লোকজনের ব্যবসার প্রসার ঘটবে। উন্নয়ন ঘটবে কৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থারও।

এবরো থেবরো আর উঁচু নিচু রাস্তা দিয়ে নারী-শিশু, বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষ, আর গর্ভবতী নারীদের যাতায়াতে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। যাতায়াত ব্যবন্থা বেহাল দশার কারণে ৫/৬ বছর আগে গর্ভকালীন জটিলতা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে স্বর্ণালী আক্তার নামে এই গ্রামের এক গৃহবধূ যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে না পারায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

শাখাইতি গ্রামের বাসিন্দা উসমান চৌধুরী জানান, দশ বছর আগে এই সড়কে দুইবার মাটি ভরাট ও খালের ওপর সেতু নির্মাণ হয়েছিল। দেওবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন নিয়াজের বাড়ির প্রবাসী সফিক মিয়া বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে কম সময়ে যাতায়াতের সড়ক হচ্ছে এটি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ২ বছর পূর্বে সড়কটির কিছু অংশ পাকা হলেও দেড় কিলোমিটার এখনও কাঁচা রয়েছে। আর বৃষ্টি হলেই কাঁদা-পানিতে পিচ্ছিল পথে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয় স্থানীয়দের আর অটোরিকশা চালকদের।

পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ মিয়া জানান, সড়কের গোনারা হতে কাবিতারা আবু তাহের মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত পাকা হলেও আরো দেড় কিলোমিটারের অধিক রাস্তা কাঁচা রয়েছে। কাঁচা অংশটি পাকা হলে ভোগান্তির শেষ হবে ওই অঞ্চলের মানুষজনের। চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নতুনহাটির বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে অল্প সময়ে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। অবশিষ্ট দেড় কিলোমিটার পাকা হলে ভোগান্তির শেষ হবে এলাকাবাসীর।

সরাইল উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, সড়কটির ১.৮৫ কিলোমিটার পাকাকরণ হয়েছে আর ১.৬৫ কিলোমিটার এখনও কাঁচা রয়েছে। কাঁচা অংশটুকু পাকাকরণের প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত