
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ৩টি সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। এলজিইডির এ ৩টি সড়কের অনেক অংশই পুকুরে ধসে পড়েছে। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ওই উপজেলার বনবাড়িয়া-তাড়াশ সড়ক, গোঁজা-সলংগা সড়ক ও নাগরৌহা-ভদ্রকোল সড়ক বিপুল টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।
এ সড়ক ৩টির সঙ্গে উল্লাপাড়া সদরসহ সলংগা ও তাড়াশ যোগাযোগে জন সাধারণের সুবিধামূলক সড়ক বলে পরিচিত। এ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য পুকুর ডোবা ও নালা রয়েছে।
বিশেষ করে এসব পুকুর ঘেসেই সম্প্রতি বেশিরভাগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে অতিসম্প্রতি গোঁজা সড়কটি পুনঃসংস্কার হলেও এরইমধ্যে ধসে গেছে পুকুরে। দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়ক ৩টির বিভিন্ন স্থানে বেহাল অবস্থা এবং অনেক অংশই পুকুরে ধসে গেছে। ইমারত নির্মাণ বিধি অনুযায়ী ১৯৯৬ এর ধারা ২৮ মোতাবেক সরকারি সড়ক বাদে নিজ ভূমির কমপক্ষে ১০ ফুট ভেতরে পুকুর কিংবা জলাশয় চালা রাখতে হবে এবং সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট দূরত্বে পুকুর কিংবা জলাশয় খনন করতে হবে। সরকারি বিধি উপেক্ষা করে সড়ক পথ ঘেষে ব্যক্তি মালিকানায় পুকুর খননের কারণেই সড়কগুলোর এমন ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ছোটখাট যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব সড়ক এলাকায় উৎপাদিত ফসলসহ অন্যান্ন মালামাল হাট বাজারে কেনা বেচা করতে নেওয়ার পথেও ভোগান্তির সৃষ্টি হয় এবং দেড়/দুই ঘণ্টার সড়ক চলাচলে এখন গড়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এ সড়ক ৩টি মেরামত, সংস্কার করণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেও কাজে আসেনি।
এসব সড়কের ভাঙন অংশে ফাটল দেখা দেয় এবং বৃষ্টির পানি ফাটলে ঢুকে ভেঙে পড়ে যায়। এ কারণে এমন জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া একই এলাকার ধামাইলকান্দি সড়ক, আঙ্গারু সড়ক, অলিদহ সড়ক, ধরইল সড়ক, কালিকাপুর সড়কের অনেক জায়গা পুকুরে ধসে গেছে। এসব এলাকার অনেক সড়ক সেসময় উপজেলা পিআইও বিভাগ থেকে নির্মাণ করা হয়। এদিকে গত কয়েক বছরে ওই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে অনেক গ্রামীন কাঁচা সড়ক পাকাকরণ হয়েছে ও হচ্ছে। কয়েক বছর আগে নির্মিত ক্ষতি হওয়া পাকা সড়ক মেরামত সংস্কারও হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে ওই ৩টি সড়কও সংস্কার করা হবে বলে এলজিইডির একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী এম শহিদুল্লাহ বলেন, উক্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পর্যায়ক্রমে সংস্কার ও মেরামত কাজ করা হবে। ওই ৩টি ক্ষতিগ্রস্থ সড়কেও সংস্কারের কাজের প্রক্রিয়াও হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারি বিধি মোতাবেক সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট জায়গা রেখে চালা তৈরি করে পুকুর খনন করতে হবে।
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান বলেন, উক্ত উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরইমধ্যে অনেক সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ওই ৩টি সড়কেরও সংস্কার কাজও করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।