ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মসিকের ৩৩ কর্মকর্তার ‘বিধি বহির্ভূত’ চলতি দায়িত্ব বাতিল

মসিকের ৩৩ কর্মকর্তার ‘বিধি বহির্ভূত’ চলতি দায়িত্ব বাতিল

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে দীর্ঘদিন ধরে নানা পদে ‘চলতি দায়িত্ব’ হিসেবে কর্মরত ৩৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্ব বাতিল করেছে বর্তমান প্রশাসন। এক আদেশে তাদের সবাইকে নিজ নিজ মূল পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব দায়িত্ব প্রদান ছিল ‘বিধি বহির্ভূত’ ও প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থি। ২০২৫ সালের ১১ আগস্ট, মসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের স্বাক্ষরে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পূর্বের পদে বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দুই মাসের বেশি সময় চলতি দায়িত্বে রাখা যাবে না। তবে মসিকে কয়েকজন কর্মকর্তা একাধিক বছর একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, এমনকি অনেকেই কোনো প্রকার পদোন্নতি বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই উচ্চ পদে আসীন ছিলেন।

প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, কর্পোরেশনের অনুমোদিত অর্গানোগ্রামে না থাকা বেশ কিছু পদেও চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসবের মধ্যে সহকারী সচিব, চিফ মেডিকেল অফিসার, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক), তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক-এসব পদে ছিল না কোনো মঞ্জুরি বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি। চলতি দায়িত্বে থাকা অনেক কর্মকর্তাকেই মূল পদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন, এখন নির্বাহী প্রকৌশলীর পদে। জহুরুল হক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে। দীপক মজুমদার খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা থেকে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পদে। মহব্বত আলী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা থেকে কনসারভেন্সি ইন্সপেক্টর। এইচকে দেবনাথ চিফ মেডিকেল অফিসার থেকে মেডিকেল অফিসার। আমিনুল ইসলাম সহকারী সচিব থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আজহারুল হক, জীবন কৃষ্ণ সরকার, জসিম উদ্দিন, শফি কামাল, জিল্লুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী পদ থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রত্যাবর্তন।

মসিক সচিব সুমনা আল মজিদ বলেন, চলতি দায়িত্বে বসানোর ক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম থাকলেও, সেসব অনুমতি নেওয়া হয়নি। এখানেই মূল ত্রুটি। তবে অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত হলে অনেকেই নিয়মমাফিক পদোন্নতি পাবেন। বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোখতার আহমেদ বলেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী থেকে একধাপে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব দেওয়া নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সবাইকে মূল পদে ফিরিয়ে দিয়েছি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেউ যদি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত