
সিরাজগঞ্জে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে এলজিইডি বিভাগের নির্দেশে ওই খোয়া ও বালু অপসারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের মান উন্নয়নের জন্য ওই সড়ক খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সরকার জনস্বার্থে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বিভাগ নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহ্বান করে।
সরকারি বিধিমতে এ দরপত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এ কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু মিশিয়ে অধিকাংশ সড়কের ২ পাশের বাড়তি অনেক অংশেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ওই নির্মাণাধীন সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের খোয়া ও বালু স্তূপ করে রাখা হয়। এ বিষয়ে এলাকার অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বিষয়টি এলজিইডি বিভাগকে অবহিত করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেও প্রতিকার হয়নি। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নিম্নমানের কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়। তারা আরও বলছেন, তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এ প্রকল্প নির্মাণে সিডিউলমতে বাস্তবায়ন হলে জনস্বার্থে কাজে লাগবে এবং এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক এ বিষয়ে বলেন, এরইমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত খোয়া ও বালু সরায়নি।
অবশেষে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) রেজাউর রহমানকে অবগত করেন এবং তিনি দ্রুত ওই খোয়া বালু সরানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আলোকিত বাংলদেশকে বলেন, ওই প্রকল্পে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ওই প্রকল্প কাজের স্থান থেকে দ্রুত ওই খোয়া বালু অপসারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় দেওয়া হবে না। এরইমধ্যে এ প্রকল্পের কাজে কঠোর তদারকি ও নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে ওই নির্মাণাধীন সড়ক থেকে দ্রুত নিম্নমানের খোয়া বালু অপসারণ করায় এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে এলজিইডি বিভাগ।