
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল স্তরের পেশাদার সাংবাদিকের জন্য তারা কাজ করছে। সরকারি কর্মচারীসহ বিভিন্ন সামরিক বেসামরিক বাহিনীদের কল্যাণে আলাদা তহবিল বা ট্রাস্ট রয়েছে। ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ নানামুখী কাজ করবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। তিনি বলেন, এই ট্রাস্ট আগে শুধুমাত্র অনুদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বছরে চারবার কল্যাণ অনুদান বিতরণ ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না। কোন সাংবাদিক মারা গেলে দলীয় বিবেচনায় তার পরিবারের আবেদনের ফাইলও ফেলে রাখা হতো। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই খাতে বিপুল টাকা বিতরণ করতে হয়েছে। বর্তমান ট্রাস্টের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে সাংবাদিকের জন্য অনুদান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দুই কোটি নব্বই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। পঞ্চম বারের মতো চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের ২৪ জন সাংবাদিককে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বহুমুখী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের প্রতিবছর ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে। এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রক্রিয়াধীন। জেলা তথ্য অফিসার আবদুছ সাত্তারের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবাইদুর রহমান শাহীন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী।