
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির রাজনীতিবিদরা গরিবের টিআর, কাবিখার টাকা মেরে খায়। শুধু তাই নয়, এমপি-মন্ত্রীরা টয়লেটের টাকাও খায়। এদের পদ যতই উন্নত হোক এরা হচ্ছে জাতির সবচেয়ে বড় ভিক্ষুক। তিনি বলেন, তারা সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গার, সবচেয়ে বড় অসভ্য। তারা মানুষ হত্যা করে না শুধু, হত্যা করে লাশকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে পেলে।
আমরা সেটা দেখেছিলাম। আমরা খুন-খারাবির বাংলাদেশ দেখতে চাই না। চোখ রাঙানির বাংলাদেশ দেখতে চাই না।
গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আটিয়াতলিতে জামায়াত ইসলামীর ব্যানারে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বলেন, ড. ইউনূসের সরকার একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছে, মোড়ে মোড়ে গভীর রাতে নারী-পুরুষদের গণতান্ত্রিক অধিকারে যদি বাধা চলতে থাকে, তাহলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করবো এই ব্যাপারে ভূমিকা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রত্যেকে তার গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রত্যেকে তার মতো প্রকাশ করবেন।
দমনের রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে। নিপীড়নের রাজনীতি চলবে না। সহনশীলতা চাই। আমরা ঐক্য চাই, উদারতা চাই। সহনশীলতা, ভালোবাসা, উদারতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। জুলাই বিপ্লবে একসঙ্গে লড়াই করেছি। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ১৭ বছর মানবপ্রাচীর গড়ে তুলেছিলাম। আমাদের এই প্রাচীরে এতো দ্রুত আঘাত আসলো কীভাবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান, সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাহবুুবুর রহমান, সেক্রেটারি মিরাজ কবীর ও পৌর যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন প্রমুখ।