ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে তীব্র শীতে অসহায় দিন কাটাচ্ছে ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী

লালমনিরহাটে তীব্র শীতে অসহায় দিন কাটাচ্ছে ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী

তীব্র শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। এজেলার তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে পালা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শীত বস্ত্রের অভাবে অসহায় জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল ও দিন মজুর শ্রেণির হাজার হাজার মানুষ।

জানা গেছে, হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় বরাবরেই লালমনিরহাটে আগেই শীতের প্রভাব পড়ে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ জুড়ে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুক্ত হওয়া সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়া অনেকটাই বিপাকে পড়ে শীত বস্ত্রের অভাবে অসহায় জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল ও দিন মজুর শ্রেণির হাজার হাজার মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীরাও। বিশেষ করে শীত বস্ত্রের অভাবে অসহায় জীবন-যাপন করছে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল ও দিন মজুর শ্রেণির হাজার হাজার মানুষ। এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা ভুক্তভোগী অসহায় মানুষজনদের। সন্ধ্যার পর এঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ্ হয়ে পড়ছে সব প্রাণী। মানুষ, জীব জন্তুসহ ফসলের ক্ষেতেও এর প্রভাব পড়েছে। শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখি এবং ফসলের খেত। ঘন কুয়াশায় ফসলের ক্ষেতেও নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা আলুসহ সব সবজি ক্ষেতে এবং বিভিন্ন বীজতলায় শীত সহনীয় বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করছেন। কিন্তু ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন খামারিসহ কৃষকরা। শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলার ৫টি সরকারি হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী আসছেন সব হাসপাতালে। আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। খুব সহজে ছাড়ছে না শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দ্দি, কাশি, নিউমেনিয়াসহ নানান ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। নভেম্বর মাসেই রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিটি হাসপাতালে শুধু বহিঃবিভাগে দৈনিক রোগী আসছেন ৫/৬ শত। তাদের অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে শিশু আর বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বরাদ্ধ পাওয়া গেলে, বিতরণ করা হবে।

আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আজমল হক জানান, হাসপাতালে সপ্তাহের ৬দিনই রোগী দেখি। নভেম্বস মাস শুরু থেকে প্রতিদিন শতাধিক রোগী দেখতে হচ্ছে। শীত বাড়ায় শিশুরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে আসা অধিকাংশ শিশু নিউমেনিয়ায় ভুগছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে গ্যাস দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত