ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

১৬ জেলার মৌচাষি নিয়ে সম্মেলন

১৬ জেলার মৌচাষি নিয়ে সম্মেলন

পাবনার ঈশ্বরদীর অভিজাত আরআরপি কমিউনিটি সেন্টারে উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষি সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ১৬ জেলার মৌচাষি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর কবির উদ্দিন আহমেদ। কীটতত্ত্ব বিভাগ শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. আতাউর রহমান পরিচালক (গবেষণা) বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী পাবনা, ড. আতিকুল ইসলাম রসায়ন বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর, জগদীশ চন্দ্র সাহা সাবেক মহাব্যবস্থাপক প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক মৌমাছি পালন প্রকল্প ঢাকা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (পিএইচডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়া। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষি সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শিশির কুমার সাহা ও ঘরের বাজার হানিরাজ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মৌ-চাষি ওয়াজেদ আলী চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, মৌ চাষ একটি লাভজনক পেশা। আমাদের দেশে মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটা খাঁচায় একটি করে রানী মৌমাছি রয়েছে। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে খাঁচায় এনে রাখে। মৌ চাষিরা খাঁচা থেকে মধু সংরক্ষণ করে। মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি খাবার। বাজারে চার থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে মধু বিক্রি হচ্ছে। সরিষা খেতের পাশে মৌমাছির খামার থাকায় পরগায়নের কারণে ফলন তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকরা বেশি বেশি সরিষা চাষ করে থাকেন। দেশে ভোজ্য তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই মৌসুমে সরিষা থেকে তেল পাওয়ায় অন্য তেলের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। আধুনিক আর্টিফিশালি মৌ রানি তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত