ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এ নতুন ধান উঠছে। এ ধানের মুড়ি পিঠা তৈরির ধুম পড়েছে গ্রামাঞ্চলে এবং বাজারে দাম ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে কৃষকে মুখে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। এ জেলার শস্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নানা জাতের রোপা আমন ধানের চারা যথাসময়ে জমিতে রোপণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের নানারকম সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছে স্থনীয় কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান ৯০, ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ জাতের ধানের চারা। এ চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা বেশি রোপণ করেছেন। মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে হাট-বাজারে সাড়ে ১২’শ টাকা থেকে ১৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের চিকন মোটা ধান। তবে ব্রি ধান ৯০ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ২১’শ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, এবার জমিতে ধানের চারা রোপণের আগে-পরে দফায় দফায় বর্ষণ হওয়ায় খরচ কম হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ধান চাষাবাদে ফলন বেশি হয়েছে। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরোদমে ধান কাটাও শুরু হয়েছে। মাঠে ও গ্রামের বাড়িতেও এ কাটা ধান মাড়াই ঘিরে রয়েছে অন্যরকম আনন্দ। এরইমধ্যে প্রায় ৬০% এ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এজন্য শ্রমিকের দামও এখন কিছুটা বেশি হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ধান কাটার শুরু থেকেই গ্রামঞ্চলে আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে। এ নতুন ধানের মুড়ি, চিড়া ও নানান রকম পিঠা তৈরির ধুম পড়েছে। এ উপলক্ষে জামাই ও বউজি একে অপরের বাড়ি যাচ্ছে। বিশেষ করে শ্বশুরবাড়িতে বাজারও করছে জামাই। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষাবাদ কিছুটা বেশি হয়েছে। এরইমধ্যে পুরোদমে এ ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে ধান কাটা শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত