প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
একটি সমাজ, রাষ্ট্রকে অনাদিকাল ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় সম্পদ হলো তরুণ প্রজন্ম। প্রজন্মের জয়গান যুগে যুগে কালের বিবর্তনে কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীরা গেয়েছেন যেমন- কবি নজরুল ইসলাম তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেছেন- চল চল চল/ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল/নিম্ন উতলা ধরণী তল/অরুণ প্রাতের তরুণ দল / চল চল চল / ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত / আমরা আনিব রাঙা প্রভাত / আমরা টুটাব তিমির রাত / বাঁধার বিন্ধাচল। তার এই প্রত্যাশার আলোকে আমরা দেখতে পাই তরুণ সমাজ হলো দেশ রক্ষায় দুর্ভেদ্য প্রাচীর, দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য বীর যোদ্ধা, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাঝিমাল্লা, অগ্রজদের প্রত্যাশার আলো, অনুজদের অনুকরণের পাথেয়, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বীর পুরুষ, আত্মবিশ্বাসে মূর্তিমান এক কাফেলা, আত্মা, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির সম্মান রক্ষায় প্রশিক্ষিত ঢাল তলোয়ার, সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশে নিবেদিত কর্মী, নিজেকে সম্পদে পরিণত করা আপোষহীন শ্রমিক, বিপদে আপদে যেন পাহাড়সম ধৈর্যশীল ব্যক্তিত্ব, মানব কল্যাণে যেন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এমনি আদর্শে নব্য তুর্কীরা তুরস্কে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো খাত নেই যেখানে তারুণের অগ্রযাত্রায় ধরণীতল আলোকিত হয়নি। ইসলামের ইতিহাসে হযরত আলী (রা) হযরত আমীরে হামজা (রা.) হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) হযরত যায়েদ বিন সাবিত (রা.) হযরত হাসান ও হোসাইন (রা.) এর মতো আদর্শ তরুণরা অনাদিকালব্যাপী চিরখ্যাতি অর্জন করেছেন। হযরত মা ফাতেমা (রা.) হয়রত আয়েশা (রা.) হযরত রাবেয়া বসরী (রা.) হযরত উম্মে সালমা (রা.), বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসাইনের মতো পুতঃপবিত্র তরুণীরা আদর্শ নৈতিকতায় পূর্ণ তারুণ্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। এভাবে তরুণের জয়গানে পৃথিবীর স্থান, কাল, ভূখণ্ড কোনো না কোনো সময়ে রাজমুকুট পরিধান করেছেন।
অতীতের সমৃদ্ধ তরুণ প্রজন্মের ইতিহাসকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ইতিহাসের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে পরিবার, সমাজ, দেশ সর্বোপরি বিশ্ববিবেককে হতাশ হতে হয়। কেননা তরুণকে দেখুন যেখানে মানুষের আশায় বুক বাঁধার কথা সেখানে মানুষ বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দানবীয় রূপ দেখে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে ঘরমুখো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করেছে। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের এক অংশ প্রায় এক প্রকার মূর্তিমান দানব। হাতে মারণাস্ত্র, ক্ষুর, চাপাতি, হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি, এমন কোনো বেআইনি অস্ত্র নেই যা তারা বহন করে না। সর্বনাশা ইয়াবা, হিরোইন, পেথেড্রিন, ফেনসিডিল, মদ, ধূমপান ইত্যাদিতে আসক্ত হয়ে দানবীয় রূপ ধারণ করছে তারা। অপরদিকে বড় ভাইকেন্দ্রিক তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি চর্চার বিকাশ তরুণদের মহাদানবীয় শক্তিতে রূপান্তর করছে। তাদের দেখে মনে হয় এই মাত্র হামলা করে কারো না কারো জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিবে যার ফলশ্রুতিতে মুহূর্তেই এ তরুণ প্রজন্মের কাছে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগানো, প্রতিপক্ষকে হত্যা করা, কিংবা ভাড়াটিয়া হিসাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা সবচেয়ে সহজ কাজে পরিণত হয়েছে। মানবিক চিন্তা ও মানবিকতা তরুণ প্রজন্ম থেকে বিদায় নিয়েছে। মাদকাসক্ত এ তরুণ প্রজন্ম তাদের নেশার পণ্য জোগাড় করতে এমন কোনো কাজ নেই তারা করছে না। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের মানবীয় রূপকে বিসর্জন দিয়ে দানবীয় রূপকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ফলে তারা ছিনতাই, অপহরণ ও ভাড়াটিয়া হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সে পেশায় নিজেকে একজন পরিণত ব্যক্তি হিসাবে পরিচয় দিতে সুশীল পোশাক পরিচ্ছদের বিপরীতে অশালীন ও অরুচিকর পোশাক, চুলের ডিজাইন করছে যা যে কোনো সভ্য সমাজের ভাবনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তার অরুচিকর বৈশিষ্ট্য বাস্তবায়নের আগেই বাহ্যিক রূপ বলে দেয় সে কত ভয়ংকর। এমনি ভয়ংকর রূপে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের উত্ত্যক্ত করা, মোবাইল টান দেয়া, ছিনতাই, জনসংর্কীণ এলাকায় নারী নির্যাতন, কোচিং সেন্টারে জোরপূর্বক নারী নিপীড়ন ইত্যাদি সাবলীল ও ভয়হীনভাবে করে যাচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে মানবতা বোধের বিলুপ্তি ঘটছে এবং বিকৃত মানসিকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। মোবাইলের অপব্যবহার করে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটস অ্যাপস ইত্যাদি ব্যবহার করে তারা ভয়ংকর গ্রুপে সংঘটিত হচ্ছে। অপরিণত বয়সে স্কুল কলেজ ও মা বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল, চাইনিজ রেস্তোরাঁ, পার্ক কিংবা সাইবার ক্যাফে পর্নো সংস্কৃতির প্রতি ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি অপ্রীতিকর অবাধ মেলামেশার প্রতি ধাবিত হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে নীতি, নৈতিকতা, আদব, শিষ্টাচার ও লাজলজ্জা পরিহারের যে হিড়িক পড়েছে তা ভবিষ্যতে মহামারি আকার ধারন করলে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তা পুনরায় পরিশোধন করতে পারবে কি না ভেবে দেখা দরকার।
যে তরুণ প্রজন্ম পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হওয়ার কথা, সততার সাথে পবিত্র জীবনযাপনের মাধ্যমে নীতি নৈতিকতাকে পাথেয় হিসাবে গ্রহণ করার কথা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় উন্নতি কল্পে যেখানে তরুণের মেধাকে ব্যবহার করার কথা, নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেকে দেশের জন্য, দেশকে বিশ্বের জন্য অপরিহার্য সম্পদে পরিণত করার কথা, সেখানে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম সম্পূর্ণ বিপরীত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তরুণ বয়সে যেখানে আত্মবিশ্বাস, সুচিন্তা, নৈতিকতা, পরিশিলীত ও গবেষণামূলক মনমানসিকতা গড়ে তোলা দরকার সেখানে বিকৃত রুচির চর্চা, সামাজিক লাজলজ্জা পরিহার করে তরুণ-তরুণীর অবাধ মেলামেশা সুশীল মানুষকে লজ্জিত করে তুলছে। ডিজিটাল যুগের কল্যাণে তরুণ-তরুণীর অবাধ মেলামেশা ও পরস্পরের যোগাযোগ বিষয়টি এত বেশি চর্চা হচ্ছে যা তার মেধা, মনন, ময়ন, স্বপন, শিরা, উপশিরা ও রক্তে মিশে গেছে। একজন তরুণের টোটাল চিন্তা শক্তি সিংহভাগ অযাচিত ও কুসংস্কৃতির চিন্তায় ভরপুর হয়ে পড়ছে যার প্রভাবে তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিন্দ্রা, অপুষ্টি, খর্বদেহ, মেধাশূন্যতাসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মেধাবিকাশ ও চিন্তার পরিধি সংকুচিত হয়ে আসছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রে রুচিশীল চিন্তার বিপরীত জৈবিক চাহিদাগত চিন্তার মাত্রা ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ণয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বেশি যার প্রমাণ সম্প্রতি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠা ও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস যৌথ জরিপের একটি সমীক্ষা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এনটিভিতে প্রকাশিত হয়। সমীক্ষায় বলা হয় তারা একটি স্কুলের ৩০ জন ছাত্রের মাঝে জরিপ চালিয়ে ২৯ জনের হাতে এনড্রয়েড মোবাইলের সন্ধান পান, এবং ২৯ জনের মোবাইলেই পর্ণোছবির সন্ধান পান। অপর এক জরিপে দেখা যায় দেশের ৬০ শতাংশ তরুণ-তরুণী পর্নোগ্রাফি চর্চায় নিমজ্জিত। যার অশুভ প্রভাব দেখা যায় দেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারগুলোতে। তাদের ভাষ্যমতে নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশ তরুণ ছেলেদের দ্বারা আক্রান্ত। আবেগতাড়িত এ তরুণ প্রজন্ম নীরবে নিভৃতে পর্নোগ্রাফির শিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে তা দেখা, প্রতিরোধ, কিংবা সংশোধন করার কোনো কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না। অতি আধুনিকতা ও অতি স্বাধীনতার নামে আমাদের সমাজের তরুণ-তরুণীরা কোন বিপদজনক পথের দিকে পা বাড়াচ্ছে তা ভাবতে অবাক লাগে। উপরোক্ত জরিপের একটি শঙ্কা হলো বর্তমান সমাজের তরুণ-তরুণীদের লাগামহীন বিপদগামিতার দিকে ধাবিত হওয়ার যে দৌড় শুরু হয়েছে তা অতি দ্রুত প্রতিরোধ করা না গেলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে সভ্য সমাজের দাবি নিয়ে বসবাস করা যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, উদ্বিগ্ন শিক্ষক সমাজ, উদ্বিগ্ন পুরো জাতি। মনোবিজ্ঞানের দাবি অনুযায়ী ১১-১২ বছরের এ সময়কালকে ঝড়-ঝঞ্ঝার সময়কাল বলা হয়। এসময়ে সন্তান পিতামাতা ও শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় থাকার কথা সেখানে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের পরিবারের প্রতি অবাধ্যতা, ও আনুগত্য হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগিতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। লক্ষ্যহীন গন্তব্যে স্বাধীন মনে খোলা আকাশে মুক্ত পাখির ন্যায় বিচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। তরুণ শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটে, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমু, ইনস্টগ্রাম ফেইসবুক এগুলোর মধ্যে বিচরণকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। ফলে পড়ালেখার প্রতি নিষ্ক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে শিক্ষার্থীরা অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়ে চিন্তা করার ক্ষেত্রে উদাসীন। এমন তরুণ প্রজন্ম নিয়ে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ, উন্নতি অগ্রগতি কি হবে? তা ভেবে দেখা দরকার। অনেক তরুণ পরীক্ষায় পাস করে যাচ্ছে, কিন্তু সুশিক্ষিত তরুণ মেধাবী প্রজন্ম বের হয়ে আসছে না। উল্টো হিংস্র রূপ ধারণ করে বেরিয়ে আসছে সিলেটের ইকবাল, চট্টগ্রামের আদনানের মতো অজস্র দানব। যাদের হাতে লাঞ্ছিত নারী জাতি, লাঞ্ছিত মানবতা, লাঞ্ছিত সভ্য সমাজ।
আমাদের সমাজের একটা শ্রেণি আদর্শ ও নৈতিকতা বিবর্জিত উন্মাদনাকে তারূণ্যের জয়গান বলে চালাতে চান। কিন্তু আজকের এ পরিস্থিতিতে তাকে তারুণ্যের জয়গান বলা নাকি নিছক বিপদগামীতা বলা হবে তা ভেবে দেখা দরকার। অতিমাত্রায় লাগামহীন ও শালীনতাবর্জিত বিনোদন সাময়িক আনন্দের উপলক্ষ হলেও এর মধ্য দিয়ে তরুণ-তরুণীরা বিপদগামী হওয়ার পথে পা বাড়ায়। তারুণ্যের জয়গান মানে নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে বিপদগামী হওয়া নয় যা নৈতিকতা তথা মানবীয় বিবেকের বিচার অন্যায়, ত্রুটিযুক্ত, অশালীন, অসংযত, অরুচি, অশ্লীল, অসচ্ছল ও নির্লজ্জ বলে মনে হয় তা থেকে বিরত থাকার নাম হলো নৈতিকতা। যে তারুণ্যের স্বাধীনতায় এগুলোর সমন্বয় হয় তা কখনো আদর্শ, নীতি ও সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। সম্ভবত এ কথার সাথে কেহ একমত হবে না যে, নারী পুরুষ তার ব্যক্তি স্বাতন্ত্র, সামাজিক, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বাদ দিয়ে, অগ্রাহ্য করে পরস্পর অবাধে মেলামেশা করবে তাকে স্বাধীনতা বলা হবে। সভ্য সমাজের কাছে তারুণ্যের স্বাধীনতা বলতে বুঝায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের উন্নয়নে তার মেধা মননকে বাধাহীনভাবে শৃঙ্খলা, শালীনতা বজায় রেখে কাজ করা যেখানে তরুণ-তরুণী তা আদর্শগত, গঠনগত, প্রাকৃতিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যক্তিত্ব ও পরিশীলতা রক্ষা করে কাজ করবে স্বাধীনভাবে। তরুণ-তরুণী উভয়ে এবং সমাজের মানুষ তার মৌলিক অধিকার খর্ব না করে শান্তিতে বসবাস করবে।
সম্প্রতি আশার বিষয় হলো আমাদের প্রশাসন বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হয়েছে। সিলেট পুলিশ প্রশাসন শহরে বিভিন্ন হোটেল থেকে অনেক তরুণ-তরুণীকে অবৈধ মেলামেশা অবস্থায় হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে এবং সম্প্রতি সন্ধ্যার পর কোনো তরুণ-তরণী কোনো বিনোদন কেন্দ্রে অবস্থান করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এটি একটি ভালো দিক হলেও এ রোগের চিকিৎসা স্থায়ী ও নির্মূলমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ মহামারি ঐকমত্যের ভিত্তিতে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে এগিয়ে না আসলে তরুণ প্রজন্মের বিপদগামী হওয়ার যে ধারা শুরু হয়েছে তা আরো গভীরে গিয়ে পৌঁছবে। এদেশের সভ্য, সুশীল, অভিভাবক, শিক্ষক সমাজ, এ দেশের প্রশাসনের পানে তাকিয়ে আছে কখন এ বিপদগামী, পথভ্রষ্ট তরুণ সমাজের আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয়ে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। তরুণ-তরুণীর শুভ বুদ্ধির উদয় হয়ে তাদের আদর্শ, সুচিন্তা, শালীনতা, নৈতিকতা, ভদ্রতা, সকল প্রকার আদর্শহীনতা, কুচিন্তা, অশালীনতা, নৈতিকতা, ভদ্রতা, সকল প্রকার আদর্শহীনতা, কুরুচি অশালীনতা, ও অভদ্রতাকে দূর করবে। তাদের সুন্দর কর্মের কারণে নিজে, তা পরিবার, রাষ্ট্র এবং সমাজকে সম্মানীত করবে। এ ছোট্ট রাষ্ট্রকে আদর্শ ও সৃষ্টি দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবে। এমন তারুণ্যের জয়গান কবি নজরুর ইসলামের সাথে এদেশের সকল সুশীল সমাজ কামনা করে।
সাংবাদিক-কলামিস্ট