প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
ঢাকা শহরের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা গ্যাস সংকট; যা সাম্প্রতিক সময়ে আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সকাল ও সন্ধ্যায় গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে যে, অনেক পরিবারকে চুলা জ্বালানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ চালিত চুলা বা এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন। কিন্তু সেটাও আর্থিকভাবে অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার অনেক এলাকায় গভীর রাতে গ্যাস আসে, যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে রাতেই রান্নার কাজ সারছেন। এ ছাড়া শিল্পকারখানার উৎপাদন এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে রাজধানীর মিরপুর, বাসাবো, রামপুরা, খিলগাঁও, বনশ্রী, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, উত্তরাসহ অনেক এলাকায় প্রতিদিনই গ্যাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় নগরবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরোনো সরবরাহ লাইন, চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব। জানা যায়, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৮০ কোটি ঘনফুট হলেও সরবরাহ মাত্র ২৬০ কোটি ঘনফুট। এ বিশাল ঘাটতির কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া শীতকালে চাহিদা বৃদ্ধি এবং এলএনজি টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে গ্যাসের সরবরাহ আরও কমে গেছে।
সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি, পুরোনো পাইপলাইন সংস্কার এবং অবৈধ সংযোগ বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। জনগণের এ দুর্ভোগ আমলে নিয়ে বিকল্প জ্বালানি উৎস ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে- এ প্রত্যাশা করছি।
মানিকনগর, মুগদা, ঢাকা।