প্রতিদিন সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু এখন প্রতিদিনের সংবাদ শিরোনাম। টেলিভিশনে খবর দেখলে কিংবা পত্রিকার পাতা খুললে সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখে বিষণ্ণ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। যান্ত্রিক যুগের মানুষ ধেয়ে চলছে যান্ত্রিক গতিতে। সেই যান্ত্রিক যানের তলায় পড়ে আবার জীবনও দিতে হচ্ছে তাকে। কর্মব্যস্ত মানুষের ছুটোছুটি স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাটে, যন্ত্র দানবের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে সেই আবিষ্কারক মানুষকে। মানব সভ্যতায় এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্যময় চিত্র। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব’। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকার বা চালকদের দায়িত্ব নয়, বরং দেশের সব মানুষের দায়িত্ব। পথচারী থেকে শুরু করে সকল নাগরিকের দায়িত্ব। সবাইকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সবার ঈমানি দায়িত্ব। আর দিন যত যাচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর মিছিল। থেমে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্ন। কেই যেন দেখছে না। শুনছে না স্বজনদের আহাজারি। এতো নিয়ম ও আইন তবুও থামানো যাচ্চে না এই যাত্রা।আর মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয়েছে—এটা তখনই বলা যায়, যখন এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সব ধরনের যৌক্তিক, বৈজ্ঞানিক ও অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার পরও সেটি ঘটে। কিন্তু দেশের সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতিটি আনাচে-কানাচে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে এবং এ বিষয়ে বছরের পর বছর সরকারি তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, জনসাধারণের ক্ষোভ ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থাকলে, সেটাকে আর ‘দুর্ঘটনা’ বলা যায় না। বরং সেটা হয়ে যায় অবহেলাজনিত ‘হত্যা’। আইন অনুযায়ী এগুলো প্রতিহত করার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই এর জন্য দায়ী। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে এ ধরনের গুরুতর অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা উচিত। দেশে যদি স্বাধীনভাবে আইনের শাসন প্রচলিত থাকত, তাহলে সেটা সম্ভব হতো। অনেকের ভাগ্যে সড়কে হত্যার বিচার তো দূরের কথা ক্ষতিপূরণটাও মিলছে না। আবার অনেক মানুষ তো জানেই না সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়।
২০২৪ সাল ও ২০২৫ সালের বছরের প্রথম মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের পরিসংখ্যান : ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে ৮ হাজার ৫৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ১২ হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫১ জন। আর ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১.৫৪ শতাংশ, নিহতের সংখ্যা ৭.৫০ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ১৭.৭৩ শতাংশ বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত এবং ৩১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিহত, ২৬৭ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ১৫১ জন আহত হয়েছেন। আর বিগত ১০ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে বেড়ে ৬০ লাখ হয়েছে। নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় চলাচলের পাশাপাশি ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এসব যানবাহনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ১৬৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৯৫২ জন চালক, ১ হাজার ৮৭৯ জন পথচারী, ৬২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী, ১২৬ জন শিক্ষক, ১ হাজার ২০৬ জন নারী, ৬৫৮ জন শিশু, ৪৮ জন সাংবাদিক, ১৭ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১ জন চিত্রনায়ক, ৬ জন আইনজীবী, ১২ জন প্রকৌশলী এবং ২১৫ জন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫০.৮৪ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেয়া, ২৪.৩৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া, ৪.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ০.৭৩ শতাংশ ট্রেনের সাথে যানবাহনের সংঘর্ষের কারণে হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার ৩৫.৬৭ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ২১.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.৮১ শতাংশ ফিডার রোডে এবং ৪.৯৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঢাকা মহানগরীতে এবং ১.২০ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঘটেছে।আর শুধু ২০২৫ সালের বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬২১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬০৮ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার ১০০ জন মানুষ। এরমধ্যে ২৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৬৪ জন, ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন ও দুইজন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় : বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা এক আতঙ্কের নাম। দুর্ঘটনায় খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। প্রতিদিন পত্রপত্রিকা খুললে খবর পাওয়া যায় সড়ক দুর্ঘটনার। এসব খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা মনে করি, সরকারের একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দরকার। গণমাধ্যম, সুধীসমাজ, বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও, ছাত্রসমাজ, যাত্রী, চালক, পথচারীসহ রাষ্ট্রের জনগণকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ সরকারই নিতে পারে।অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অনেক আইন রয়েছে, কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ নেই। আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের আরো কঠোর হওয়া উচিত। আর সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বপ্রথম সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো খতিয়ে বের করা আবশ্যক। প্রধান কারণ হচ্ছে অসচেতনতা।
এছাড়া রয়েছে অদক্ষ ও অশিক্ষিত চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা, দুর্নীতি, চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার, অপরিকল্পিত ও ভঙ্গুর সড়ক, ওভারক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভারব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতি, অনিয়ম, বিপজ্জনক ট্রাক, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালক এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিয়মিত টেলিভিশনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা, টকশোর ব্যবস্থা করা, পত্রপত্রিকায় নিয়মিত এ বিষয়ে লেখালেখি করা দরকার। যদিও এ বিষয়ে গণমাধ্যম যথেষ্ট সোচ্চার; আরো সোচ্চার হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। সরকার উপযুক্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সড়ক আইনের প্রয়োগ করে দেশের অভিশাপ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করবে, আমরা তা আশা করি।
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো : ১. ত্রুটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ২. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, ৩. অতিরিক্ত যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন, ৪. ট্রাফিক আইন না মানা, ৫. সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা, ৬. চালকদের বেপরোয়া মনোভাব, অদক্ষতা ও অসতর্কতা ৭. অরক্ষিত রেললাইন, ৮. অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া ওভারটেকিং ৯. রোড ডিভাইডার না থাকা, ১০. চালকদের অদক্ষতা ও সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকা, ১১. যাত্রীদের রাস্তা পারাপারে অসচেতনতা, ১২. যেখানে যেখানে যাত্রী ওঠানামা করা, ১৩. ভাঙা রাস্তা, ১৪. এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি চালক ও যাত্রীর অনাস্থা। এভাবে নানাবিধ কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ দুর্ঘটনা থেকে জাতি পরিত্রাণ চায়।
যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। মৃত্যু যদি অকাল ও আকস্মিক হয় তবে তা মেনে নেয়া আরও কঠিন। পরিশেষে বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন এক হাজারের বেশি শিশু এবং ৩০ বছরের কম বয়সী যুবক রোডক্র্যাশে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ২৩ জন রোডক্র্যাশে প্রাণ হারান। অথচ এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমানো সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন।আর বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের সকলের দাবি, সড়ক নিরাপত্তার সংস্কার ভাবনায় সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে।আর গণমাধ্যম গণজাগরণের হাতিয়ার। জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গণমাধ্যম ‘মুশকিল আসান’ হিসেবে কাজ করেছে। কী প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কী রাজনৈতিক অস্থিরতা, কী অন্যান্য আপদকালীন সময়– সর্বদা বাংলাদেশের গণমাধ্যম সেগুলো উত্তরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। তাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালনের কারণে বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, তা আজ ভীষণভাবে বেগবান।আর সড়ক দুর্ঘটনা যে এখন আর নিছক দুর্ঘটনা নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা মনুষ্যসৃষ্ট এক দুর্যোগে পর্যবসিত হয়েছে- এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে মিডিয়া। কখনও কখনও সড়কে অপূরণীয় ক্ষতি বা অসহনীয় ট্র্যাজিডির প্রেক্ষাপটে আমরা দেখেছি, গণমাধ্যমের তেজস্বী ভূমিকা। আর সড়ক পথের ওপর চাপ কমানো; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করাসহ ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে অনেকটাই কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা। আর সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেখা গেছে যে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে পণ্যবাহী যানবাহনের সংঘর্ষে। মূলত সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান এবং মোটরসাইকেল এখন মরণদূত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যকর ও টেকসই পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়। আর মেনে চলতে হবে ট্রাফিক আইন, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে আইনের প্রতি, কঠোর করতে হবে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ, নিশ্চিত করতে হবে আইন অমান্যকারীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও হেলমেট পরিধান করা। বন্ধ করতে হবে মোবাইলে কথা বলা ও হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা। এছাড়া পরিহার করতে হবে প্রতিযোগিতা, ওভারটেকিং ও ফাঁকা থাকলেও মাঝপথ দিয়ে গাড়ি চালানো।প্রচার চালাতে হবে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য। কীভাবে রাস্তায় হাটতে হয় বা রাস্তা পার হতে হয় তাও অনেকে জানে না। তা জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
রাস্তায় গাড়ি, বাইক চালাতে গিয়ে নিজেকে যেন রাজা না ভাবি। এটিও মনে রাখতে হবে বাসায় প্রিয়জনরা অপেক্ষা করছে।সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাগুলো যাতে না ঘটে সেদিকে সকলের দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে- মনে রাখতে হবে,সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।তবেই নিরাপদ হবে সড়ক। কমবে মৃত্যুর মিছিল।তবে সরকারের নির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং চালক ও সাধারণ জনগনের সচেতনতার মাধ্যমে সড়কে কমবে মৃত্যুহার, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।