বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে আমাদের শিক্ষা ধারায় আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে, আমাদের দেশের শিক্ষা প্রক্রিয়ায় রোবোটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়ো টেকনোলজি, আইওটি, ফাইভণ্ডজি এবং থ্রি-ডি মুদ্রণসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিবান্ধব শিক্ষার উপকরণ যুক্ত হয়েছে। তবে এগুলোর অধিকাংশই প্রতিফলিত হয়ে থাকে উচ্চশিক্ষার স্তরগুলোতে। আমাদের স্কুলকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা এমন একটি পর্যায়ে অবস্থান করছে, যা বিশ্বের নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্তভাবে উন্নত করা প্রয়োজন। এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বর্তমান বিশ্বের শিক্ষার উন্নয়নে একটি সর্বাধুনিক উপকরণ।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের বিকাশ এবং জাতীয় অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার অন্যতম কারণ হলো মুখস্থ শেখার উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, যেখানে শিক্ষার্থীরা ধারণা বোঝার পরিবর্তে তথ্য মুখস্থ করে, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা সীমিত করে। এছাড়া, সম্পদের ঘাটতি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, এবং উচ্চ শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাতের কারণে শিক্ষকের ঘাটতি ব্যক্তিগত মনোযোগকে বাধাগ্রস্ত করে, যা শিক্ষার্থীদের মৌলিক ধারণাগুলো উপলব্ধি করতে বাধা দেয়। এই সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের জন্য পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত করে না, যা শেষ পর্যন্ত দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করলে, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
জেনারেটিভ এআই হলো এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা টেক্সট, ছবি, অডিও ও ভিডিওসহ বিভিন্ন কনটেন্ট জেনারেট করে।
এআই কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে প্রয়োগ করা হয় এবং শিক্ষা খাতও এর থেকে আলাদা নয়। তথাকথিত সিস্টেমের বিপরীতে, জিপিটি এবং ড্যাল-ই-এর ন্যায় জেনারেটিভ এআই মানব সৃজনশীলতার মতো নতুন আউটপুট তৈরি করতে পারে। এ প্রযুক্তি শিক্ষাব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিপ্লব আনতে পারে।
সমগ্র বিশ্বে জেনারেটিভ এ আই ব্যবহার করে শিক্ষার সব স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করে স্কুল শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চতর শিক্ষার প্রভূত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যেতে পারে। কারণ, এআই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও সহজভাবে প্রায়োগিক। এটি ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য ব্যবহার করে অনেক আউটপুট বের করা যায়।
এটি যদি দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করা যায়, তাহলে সেটা একইভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বাড়তি সহায়ক হতে পারে। মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের (এমসিকিউ) সঠিক উত্তর বেছে নেওয়ার মতো কিছু কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে শুধু সময় বাঁচবে না, শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ে তাদের ফলাফল পেয়ে যাবে।
আবার, এর ব্যবহার হতে পারে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কোর্স সাজাতে, তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে এবং সে অনুযায়ী তাদের মতামত জানাতে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি যথাযথ সুপারিশসহ বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে এবং শিক্ষকের কাছে পাঠাতে পারে। এমনকি শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে নিয়ে তা কাটিয়ে উঠতে পারে। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, এটি শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনা পর্যন্ত তৈরি করে দিতে সহায়ক।
চ্যাটবট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক শিক্ষার্থী গুগলের বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গাইড হিসেবে চ্যাটবট ব্যবহার করছে, যা শিক্ষার্থীদের ইনস্টিটিউটের বিস্তারিত তথ্য জানতে সহায়তা করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্যও বাড়তি সহায়ক হতে পারে। যেহেতু এর অ্যালগরিদম শিক্ষার্থীর দক্ষতা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ দিতে পারে, তাই এটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে সহায়ক হতে পারে।
ভবিষৎ প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ জেনারেটিভ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে শুরু করছে। সিঙ্গাপুরে এআই সেন্টার ফর এডুকেশনাল টেকনলজি কোডভেরি নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট ভুল শনাক্ত করে এবং সেই অনুযায়ী মন্তব্য দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৫ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজড ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক তৈরির পরিকল্পনা করছে। শিক্ষায় ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে থাকা দেশ ফিনল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক স্কুল ভি আই এল এলই ব্যবহার করে। এটি একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়বস্তু ছাড়াও রয়েছে একটি উন্নত এআই ইঞ্জিন, যা শিক্ষকদের সাহায্য করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে টাস্ক দিতে ।
শিক্ষায় অন্যান্য প্রযুক্তির মতো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে নিয়ন্ত্রক কাঠামোর প্রয়োজন হবে। ইউনেস্কো এরইমধ্যে শিক্ষায় জেনারেটিভ এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যা শিক্ষা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি সম্ভাব্য সূচনা হতে পারে।
এআই প্রতিটি শিক্ষার্থীর শক্তি এবং দুর্বলতাগুলো বের করে অধ্যয়ন পরিকল্পনা ও শেখার পদ্ধতি তৈরি করতে পারে, যাতে সব শিক্ষার্থী কার্যকরভাবে শিখতে পারে। এটি জ্ঞানের শূন্যতা পূরণ করে এবং শিক্ষণকালে এটি এমনভাবে উপাদান উপস্থাপন করে যে, শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে আরও কার্যকরভাবে অধ্যয়ন উপকরণগুলো উপলব্ধি করতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এআইয়ের আরেকটি সুবিধা যা ব্যবহার করা যেতে পারে, তা হলো অধ্যয়ন সম্পদ (স্টাডি রিসোর্স) তৈরির সুযোগ। জেনারেটিভ এআই ইংরেজি এবং বাংলায় পাঠ্যপুস্তক, কুইজ এবং ইন্টারেক্টিভ অনুশীলনের মতো বিস্তৃত উপকরণ তৈরি করতে পারে। এটি জেনারেটিভ এআইয়ের একটি মূল্যবান বৈশিষ্ট্য কারণ অধ্যয়ন সম্পদ সীমিত এবং উচ্চমানের উপকরণগুলোতে অ্যাক্সেস আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কন্টেন্ট শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হালনাগাদ অধ্যয়ন উপকরণ এবং প্রাসঙ্গিক ও সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত সম্পদ নিশ্চিত করতে পারে।
একটি ভাষা শেখা, বিশেষ করে ইংরেজি শেখা, বাংলাদেশের স্কুল ব্যবস্থার জন্যও একটি গুরুতর সমস্যা। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইংরেজি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরঞ্জামগুলো শিক্ষার্থীদের কার্যকরভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে সাহায্য করতে পারে। এগুলো ইন্টারেক্টিভ অনুশীলন, কথোপকথন অনুশীলন, ব্যাকরণ অনুশীলন এবং তাৎক্ষণিক সংশোধনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সরঞ্জামগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আরও কার্যকরভাবে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
এ আইয়ের প্রতিক্রিয়া এবং মূল্যায়নেও বিপ্লব আনার সম্ভাবনা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী গ্রেডিং পদ্ধতিগুলো সময়সাপেক্ষ এবং প্রায়শই শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় তাৎক্ষণিক, বিস্তারিত প্রতিক্রিয়ার অভাব থাকে। জেনারেটিভ এআই মূল্যায়ন এবং পরীক্ষাগুলোতে দ্রুত ব্যক্তিগতকৃত প্রতিক্রিয়া প্রদান করে সব সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি উন্নতির ক্ষেত্রগুলো এবং নির্দিষ্ট ত্রুটিগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় তা তুলে ধরতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের আরও শেখার পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
শিক্ষ?কদের উদ্বেগ রয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের অসৎ উপায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করতে পারে। তবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা যেমন চলছে তেমনি টার্নিটিনের মতো অ্যাপও চলে এসেছে এগুলোর শনাক্ত করতে। কাজেই, অসততার চেষ্টা যেমন হতেই পারে, একইভাবে সেগুলো প্রতিরোধের সক্ষমতাও তৈরি হবে।
তবে, বলাই বাহুল্য যে, বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করার জন্য জেনারেটিভ এআইয়ের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও, এর বাস্তবায়নের সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে হবে। প্রাথমিক বাধাগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিজিটাল বিভাজন। বাংলাদেশের অনেক অংশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকায়, জেনারেটিভ এআই ইকোসিস্টেম বাস্তবায়নের জন্য অবকাঠামো অপর্যাপ্ত। এআই সরঞ্জামগুলো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ, আধুনিক কম্পিউটার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সংস্থান প্রয়োজন। এই সুবিধাগুলো ছাড়া, এআই সরঞ্জামগুলো সঠিকভাবে কাজ করবে না বরং সেবায় বৈষম্য বজায় থাকবে।
এটি সমাধানের জন্য, অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এনজিও এবং শিক্ষা স্টার্টআপগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষকদের এই সরঞ্জামগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষিত এবং সুপ্রস্তুত থাকতে হবে। শিক্ষকদের বুঝতে হবে যে, কীভাবে জেনারেটিভ এআই শিক্ষাদানের পরিপূরক হতে পারে। এজন্য পাঠ পরিকল্পনায় তাদের এআই সরঞ্জামগুলোকে একীভূত করতে হবে এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম দ্বারা প্রদত্ত ডেটা ব্যাখ্যা করতে হবে।
বাংলাদেশি শিক্ষাব্যবস্থায় এআই সরঞ্জামগুলোকে একীভূত করার জন্য ডেটা গোপনীয়তা, ন্যায্যতা এবং প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার মতো নীতিগত বিষয়গুলো সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এআই সরঞ্জামগুলো মানুষের শিক্ষাদানের পরিপূরক হওয়া উচিত, এটি প্রতিস্থাপন করা উচিত নয় এবং সব পটভূমির শিক্ষার্থীদের জন্য সমান অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা উচিত। এআই বাস্তবায়নের আর্থিক ব্যয়ও একটি চ্যালেঞ্জ, এবং স্কুলগুলোকে তহবিলের জন্য সরকারি বা সংস্থার সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
মোটকথা, জেনারেটিভ এআই বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করতে পারে। আমরা যেসব কৌশল দেখেছি তার কিছু বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমরা শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি আধুনিকীকরণ করতে পারি।
নীতিনির্ধারক, সহযোগী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে এর সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি এই প্রযুক্তিগুলো চিন্তা-ভাবনাপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি আশাব্যঞ্জক এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকবে। এই অগ্রগামী চিন্তাভাবনা বর্তমান শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করবে এবং শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে। সুতরাং, এআইয়ের সফল বাস্তবায়নে স্কুলগুলোকে সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে এটি ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : প্রিন্সিপাল, প্রবন্ধকার, লেখক ও পেডাগোজি বিশেষজ্ঞ