ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেওয়ারিশ প্রাণী : অবহেলা নয়, ভালোবাসার দাবি

সেলিম রানা
বেওয়ারিশ প্রাণী : অবহেলা নয়, ভালোবাসার দাবি

বেওয়ারিশ প্রাণী আমাদের পরিবেশের অদৃশ্য সৈনিক। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অঙ্গ হিসেবে প্রাণীরা আমাদের পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী রয়েছে যারা মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে জীবনযাপন করে, আবার কিছু প্রাণী রয়েছে যারা আমাদের অবহেলার কারণে ‘বেওয়ারিশ’ হয়ে গেছে। এসব প্রাণী সমাজে, বিশেষত শহরাঞ্চলে, রাস্তার ধারে, পার্কে, কিংবা বাসাবাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাদের জীবনের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও সহানুভূতির দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অনেকের মধ্যে গড়ে ওঠেনি। এরা কখনওই নিজেদের জীবনধারণের জন্য অপরাধী নয়, বরং মানবসভ্যতার অবহেলার শিকার।

এসব প্রাণীদের অবস্থা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। ‘বেওয়ারিশ’ শব্দটি শুনলে আমরা অনেকেই ধারণা করি, এই প্রাণীরা কোনো অপরাধ করেছে অথবা তাদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু আমরা কি জানি, এই বেওয়ারিশ প্রাণীগুলোও একইভাবে জীবনধারণের অধিকারী, ঠিক যেমন আমরা মানুষ হিসেবে অধিকারী? তাদের প্রতি আমাদের অবহেলা নয়, ভালোবাসা ও সহানুভূতির দাবি রয়েছে। বেওয়ারিশ প্রাণী বলতে কী বোঝায়- বেওয়ারিশ প্রাণী বলতে এমন প্রাণীদের বোঝানো হয় যারা কোনো নির্দিষ্ট মালিক বা পরিচয় ছাড়াই রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এরা ত্যাগ করা বা হারিয়ে যাওয়া প্রাণী, যারা কোনো কারণে নিজেদের বাসস্থান বা মালিক হারিয়েছে এবং প্রকৃতির নিয়মে নিজেদের জীবনধারণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এরা তাদের জীবনধারণের জন্য মানুষের সঙ্গ পেতে চায়, কিন্তু সেই সহানুভূতি তারা পায় না। এছাড়া, কিছু প্রাণী অস্বাভাবিক পরিবেশের কারণে অস্থায়ীভাবে বেওয়ারিশ হয়ে পড়তে পারে। বেওয়ারিশ প্রাণীদের অবহেলা ও তাদের জীবনযাত্রা- বেওয়ারিশ প্রাণী, বিশেষ করে কুকুর এবং বিড়াল, আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখা যায়, তবে তাদের জীবনযাত্রার বাস্তবতা অনেক সময়ই আমাদের চোখে পড়ে না। এসব প্রাণী, যাদের কোনো নির্দিষ্ট মালিক নেই এবং যারা রাস্তায় অথবা জনবহুল জায়গাগুলোতে বসবাস করে, তাদের জীবন অভাব, অনটন ও বিপদের মধ্যে কাটে। বেওয়ারিশ প্রাণীরা সাধারণত মানুষের সাহায্য ছাড়াই জীবনযাপন করে, তারা নিজেরাই খাদ্য সংগ্রহ করে, ময়লা আবর্জনা থেকে খেয়ে বাঁচে এবং নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। কিন্তু, এই প্রাণীগুলোর জন্য কোনো রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক উদ্যোগের অভাব তাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। বেওয়ারিশ কুকুর এবং বিড়াল সাধারণত এমন স্থানগুলোতে বাস করে যেখানে মানুষের উপস্থিতি প্রায়শই কম থাকে, অথবা যেখানে সঠিক যত্ন ও নজরদারি নেই। তারা খাবারের জন্য, আশ্রয়ের জন্য কিংবা চিকিৎসার জন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল না হলেও, তাদের জীবন অনেকাংশে মানব সমাজের দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তারা রাস্তার ধারে, আবর্জনার স্তূপে, কিংবা খোলা মাঠে বাস করে, যেখানে সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা স্বাস্থ্যসেবা নেই। খাদ্য ও পানির জন্য তারা কখনও কখনও সড়ক পার হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাদের কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ফলে, তারা অনেক সময় বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের শিকার হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এর ফলে রাস্তার পাশে তাদের মৃত্যু ঘটতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এই প্রাণীদের কোনো মালিক না থাকায় তারা সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং প্রাকৃতিক বা মানুষের আক্রমণের শিকার হয়।

যদিও বেওয়ারিশ কুকুর ও বিড়ালের জন্য বিশেষ কোনো সরকারি বা সামাজিক ব্যবস্থা নেই, কিন্তু তাদের অবহেলিত জীবনযাত্রার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তা হলো তারা মানব সমাজের এক অঙ্গ, তাদেরও মানবিক সহানুভূতি ও দায়িত্বশীলতার অধিকার রয়েছে। বেওয়ারিশ প্রাণীর উপকারিতাণ্ড রাস্তার কুকুররা সমাজে নীরব প্রহরী হিসেবে কাজ করে। রাতের আঁধারে তারা অচেনা কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে সতর্ক সংকেত দেয়, ফলে চুরি বা অনধিকার প্রবেশ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া, তারা রাস্তায় পড়ে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে ভূমিকা রাখে, যা দূষণ কমাতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের উপস্থিতি অপরাধপ্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে। বিড়াল- বিড়াল প্রাকৃতিক শিকারি হিসেবে পরিচিত।

ইঁদুর, পোকামাকড়, এমনকি ক্ষতিকর ছোট জীবাণু নিয়ন্ত্রণে তারা অনন্য ভূমিকা রাখে। ফলে ঘর ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে, খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কমে এবং রোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়। এভাবেই তারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নীরবে কাজ করে। অন্যান্য বেওয়ারিশ প্রাণী- শিয়াল, বাঁদর, কাক, শালিক, চড়ুই পাখি প্রভৃতি বেওয়ারিশ প্রাণীও পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তারা প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছোট প্রাণী বা পোকামাকড় খেয়ে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য অটুট থাকে। সংক্ষেপে বলা যায়, বেওয়ারিশ প্রাণীগুলো প্রকৃতির নিঃশব্দ রক্ষাকর্তা। তাদের অবদান কখনও দৃশ্যমান, কখনও অদৃশ্য হলেও, মানবসমাজ ও প্রকৃতির স্বাস্থ্যের জন্য তা অপরিহার্য। বেওয়ারিশ প্রাণীদের কারণে ঘটে যাওয়া সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- যদিও বেওয়ারিশ প্রাণীগুলো পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবুও কখনও কখনও তারা মানুষের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন রাস্তার কুকুর ও বিড়াল সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং তাদের উপস্থিতি কখনও কখনও মানুষের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। কিছু বেওয়ারিশ প্রাণী রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে, যেমন কুকুরের মাধ্যমে র‌্যাবিসের সংক্রমণ হতে পারে।

এছাড়া, বেওয়ারিশ শূকররা কখনও কখনও মানুষের খাবারের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলতে পারে। বেওয়ারিশ প্রাণীদের সুরক্ষা ও সহায়তা জরুরি- মানুষের মতোই প্রাণীরাও প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজে বেওয়ারিশ প্রাণীরা প্রায়শই অবহেলার শিকার হয়। তাদের খাদ্য, চিকিৎসা কিংবা আশ্রয়ের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় তারা নানা বিপদের সম্মুখীন হয়। মানবিকতা ও নৈতিকতার স্বার্থে বেওয়ারিশ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব। এই দায়িত্ব কেবল কোনো একক ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়; বরং সরকার, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই এই সমস্যার যথাযথ সমাধান সম্ভব।

বর্তমানে দেশে কিছু এনজিও এবং কিছুসংখ্যক প্রাণিপ্রেমী ব্যক্তি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেওয়ারিশ প্রাণীদের চিকিৎসা, খাদ্য এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। তবে, দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই প্রয়াস অত্যন্ত অপ্রতুল। রাজধানী এবং বড় বড় শহরগুলোতেও বেওয়ারিশ প্রাণীদের দুর্দশা চোখে পড়ার মতো।

এমন বাস্তবতায় প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত ও টেকসই ব্যবস্থা, যাতে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রাণীরাও সম্মান ও সহানুভূতির সঙ্গে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়। সরকারের ভূমিকাণ্ড সরকারের উচিত বেওয়ারিশ প্রাণীদের সুরক্ষা ও সহায়তার লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করা। প্রথমত, দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় বেওয়ারিশ প্রাণীদের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে চিকিৎসা, খাদ্য, পরিচর্যা ও পুনর্বাসনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া, আহত বা অসুস্থ প্রাণীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য মোবাইল ক্লিনিক সেবা চালু করা যেতে পারে। প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা এনজিও ও ব্যক্তি পর্যায়ের সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি কেন্দ্রীয় প্রাণী কল্যাণ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যেতে পারে। এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ গড়ে তোলার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণের গুরুত্ব বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে। সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জনসাধারণের ভূমিকাণ্ড একটি মানবিক সমাজ গঠনে জনসাধারণের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষকে বুঝতে হবে যে, বেওয়ারিশ প্রাণীরাও এই পৃথিবীর বাসিন্দা এবং তারাও বেঁচে থাকার অধিকার রাখে।

তাই আমাদের উচিত, যেখানে যেখানে বেওয়ারিশ প্রাণীরা বাস করে, সেখানে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে গ্রীষ্মে খাবার ও পানির সংকট দেখা দিলে, রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে খাবার ও পানি সরবরাহ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাস্তায় চলাচলের সময় প্রাণীদের প্রতি সতর্ক আচরণ করা উচিত, যেন তারা কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়। বেওয়ারিশ প্রাণীদের উপর কোনো ধরনের নির্যাতন বরদাশত করা যাবে না, বরং কারো দ্বারা নির্যাতিত হলে আইনগত সহায়তা নেওয়া উচিত। প্রতিবেশী এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয়ভাবে প্রাণী কল্যাণ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। শিক্ষিত তরুণ সমাজ, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা যদি প্রাণী সুরক্ষায় এগিয়ে আসে, তবে একদিন সমাজে বেওয়ারিশ প্রাণীদের জন্যও একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা- সরকার, এনজিও, স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই কেবল বেওয়ারিশ প্রাণীদের সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

এজন্য আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, সহানুভূতির দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। প্রতিটি প্রাণীকেই ভালোবাসা ও মর্যাদা দিয়ে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের দুর্ভোগের কথা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। যদি আমরা এখনই উদ্যোগী না হই, তবে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে, যা জনস্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই দেরি না করে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে প্রাণীদের জন্য একটি সহানুভূতিপূর্ণ ও নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার স্বার্থে। বেওয়ারিশ প্রাণীদের মৌলিক অধিকার- প্রাণীজগতের অংশ হিসেবে বেওয়ারিশ প্রাণীদেরও কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে, যা তাদের সুরক্ষা ও ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো শুধুমাত্র প্রাণীদের জীবনধারা নির্বাহ করতে সহায়তা করে না, বরং আমাদের মানবিকতা ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের প্রতীকও। এই অধিকারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো: বেঁচে থাকার অধিকার: প্রাণী হিসেবে বেওয়ারিশ প্রাণীও জীবিত থাকার অধিকারী। তাদের জীবন অকারণে নষ্ট করা বা হত্যা করা উচিত নয়। অহেতুক প্রাণী হত্যা বা অমানবিক নির্যাতন প্রাণীর মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয় এবং এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। নির্যাতনমুক্ত থাকার অধিকার: প্রাণীর প্রতি সহিংসতা বা অত্যাচার দেওয়া আইনত এবং নৈতিকভাবে অন্যায়। বেওয়ারিশ প্রাণীও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে পারে, যা তাদের জীবনকে বিপদে ফেলে। তাদের সুরক্ষিত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকার অধিকার রয়েছে।

খাদ্য ও পানি পাওয়ার অধিকার: প্রতিটি প্রাণী, বিশেষত বেওয়ারিশ প্রাণী, নিরাপদ খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের দীর্ঘদিনের খরা বা অভাবের কারণে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার শিকার হতে হয়, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার: অসুস্থ বা আহত বেওয়ারিশ প্রাণীদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। যদি তারা আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে তাদের সেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। বাসস্থান বা আশ্রয়ের অধিকার: প্রতিটি বেওয়ারিশ প্রাণীকে নিরাপদ বাসস্থান বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা উচিত, যেন তারা রাস্তায়, কষ্টকর অবস্থায় জীবন অতিবাহিত না করে। আশ্রয় ব্যবস্থা তাদের নিরাপত্তা এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই অধিকারগুলো বেওয়ারিশ প্রাণীদের প্রতি মানবিক মনোভাব প্রকাশ করে এবং আমাদের সমাজের সৌন্দর্য ও উন্নতির প্রতিফলন হিসেবে কাজ করে। তারা আমাদের আশপাশের পরিবেশের অংশ এবং আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাত্রার সুযোগ নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত