ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অন্তর্ভুক্তিমূলক শিশু শিক্ষার ভিত্তি ও তাৎপর্য

মো. তাহমিদ রহমান
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিশু শিক্ষার ভিত্তি ও তাৎপর্য

শিক্ষা এমনই এক বিষয় যার উপর ভিত্তি করে মানুষের ভবিষ্যৎ ক্রিয়াকলাপ নির্ভর করে। পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন সভ্যতা প্রাচীনকাল থেকে বিকশিত হয়েছে শিক্ষার মাধ্যমে। যে কোনো শিশুর আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে শিক্ষার অবদান অনস্বীকার্য। তাই শিক্ষাব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বিন্যাস অবশ্যই এমন হতে হবে যাতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানো যায়, তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া যায় এবং প্রতিটি শিশুর শিক্ষার মৌলিক অধিকার পূরণ করা সম্ভব হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের অনুচ্ছেদণ্ড১৭(ক) অনুযায়ী সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলককরণ) আইন, ১৯৯০ প্রণীত হয়। রাষ্ট্রব্যবস্থা সবার জন্য শিক্ষা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার লক্ষ্যে আইন ও নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে। এটা স্পষ্ট যে, শুধু আইন প্রণয়ন করেই সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করা যাবে না, যদি না বিশাল সংখ্যক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ সব শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা না যায়।

প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুরা প্রায়শই একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। প্রতিবন্ধিতার পাশাপাশি অন্যান্য পিছিয়েপড়া শিশু শিক্ষার্থীরাও লিঙ্গ, বর্ণ, উপজাতি হিসেবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে আর্থসামাজিক অবস্থার কারণেও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে পৌঁছলেই হয় না, বরং অনেক বেশি সংবেদনশীল বিদ্যালয়ের প্রয়োজন হয় যা প্রতিটি শিশুর নির্দিষ্ট শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে। এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ‘অন্যরকম’ চোখে দেখা হয় এবং তারা মূলধারার বিদ্যালয়ের অংশ হতে পারবে না বলে বিবেচনা করা হয়। প্রায়ই তাদের সমবয়সীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাড়িতে রাখা হয়। বিত্তশালী পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের রাজধানী ও দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশেষ শিক্ষার বিদ্যালয়গুলোতে স্থান হয়। কিন্তু উচ্চ বিত্তের বাইরে বিশাল যে জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে কী হবে। এসব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা হলো এমন একটি শিক্ষা কাঠামো, যা সব ধরনের শারীরিক, মানসিক ও আর্থসামাজিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সুশিক্ষিত হয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা যায় ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ সুগম হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দটি শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে যার ফলে মতাদর্শ এবং উপলব্ধি পরিবর্তিত হয়ে উচ্চমানের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যালয় তৈরির ভিত্তি প্রস্তুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিটি শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার পরিবেশে সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করে। বাংলাদেশে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। এর তিন বছর পর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত হয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন। ফলে মূলধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের অধ্যয়নের পথ সুগম হয়। সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-৪ এর সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য বা সূচক রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের সব শিশু যেন একই মানের উন্নত শিক্ষা পেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার সেই লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করলেও মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলা হলেও বাস্তবে এখনও লাখ লাখ স্কুলবয়সি শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়ে গেছে। বিস্ময়কর পৃথিবী অন্বেষণ করার জন্য সব শিশুর কিছু না কিছু দুর্দান্ত গুণ রয়েছে। এরপরেও প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বেশিরভাগ সময় তারা যথাযথ শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষানীতি প্রনয়ণ করেই প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের মুখোমুখি হওয়া সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব না।

এরজন্য শিক্ষার একটি সার্বজনীন নকশা বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে যা বিদ্যালয় থেকে বাড়ি অর্থাৎ সমাজের সব স্তরকে এর আওতাভুক্ত করে ফেলে। প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব অনন্য শেখার ক্ষমতা এবং পছন্দ রয়েছে। তা বিবেচনা করে প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের একীভূত করা অনিবার্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হলো একটি শিশুকেন্দ্রিক পদ্ধতি যেখানে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, সমস্ত শিশুর শিখনের প্রয়োজন এবং গতি ভিন্ন ভিন্ন। সর্বশেষ জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ১৭.৭.২-এ বর্ণিত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও ১৭.৭.৩-এ বর্ণিত প্রাথমিক শিক্ষার ঝরেপড়া ও অনুপস্থিতি কমানো, শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করণ, শিক্ষায় আরও ভালো সুফল, উত্তম নাগরিক সৃষ্টি এবং পাঠদানের ফলাফল পরিমাপে আরও ভালো পরিমাপের উন্নয়ন বিষয়গুলো সবার জন্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেই গৃহীত হয় ‘সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ’। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে, শিক্ষাদান এবং শিখন সবার জন্য আরও কার্যকরী, প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ হয়ে উঠবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়টি দিন দিন আরও স্বীকৃত হচ্ছে যে শ্রেণিকক্ষগুলো যেহেতু আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে হবে এবং শিক্ষকদের এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে যাতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ সমস্ত শিশু একীভূত পরিবেশে আনন্দে শিখতে পারে। কখনওই কোনো একটি পরিকল্পনা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না, তবুও শিক্ষার এমন কিছু কৌশল রয়েছে যা সাধারণ শিক্ষার শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও সামাজিক এবং শিক্ষামূলক চাহিদাপূরণ করতে পারে। এই কৌশলগুলো শ্রেণীকক্ষে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার আদর্শগত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল্যবোধসম্পন্ন ধারণাকে কার্যকরী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যা সমস্ত শিশুর প্রয়োজন, তাদের ব্যক্তিগত শেখার ধরন এবং তারা যে পরিবেশগত অবস্থাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে সেই দিকগুলো বিবেচনা করে নির্ধারিত হয়। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যতা, বিভিন্ন প্রয়োজন, সক্ষমতা, বৈশিষ্ট্য, তাদের ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা আন্তর্জাতিক ও জাতীয়পর্যায়ে বিভিন্ন কনভেনশন এবং নীতির মাধ্যমে স্বীকৃত হয়েছে। ইউনেস্কোর সালমাংকা স্টেটমেন্ট ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল যেখানে ব্যক্তিগত পার্থক্য এবং অসুবিধা নির্বিশেষে সমস্ত শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করতে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির আহ্বান জানানো হয়েছিল। মৌলিক মানবাধিকারের বিষয় হিসেবেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূলধারার বিদ্যালয় এবং সহপাঠীদের থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয় এবং তাদের প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে আলাদা করা উচিত নয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা অনেক আন্তঃসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা তাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার বা শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগকে আরও কমিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের সবার উচিত হবে এই মানব বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানানো এবং এটিকে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে একটি শক্তি হিসেবে দেখা। অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যালয়গুলো একীভূত শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমস্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের মূল্যবোধের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারে। যা নিকট ভবিষ্যতে একটি সহনশীল ও ন্যায়পরায়ণ সমাজ তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অক্ষমতার চেয়ে তাদের সক্ষমতার উপর জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত বাঁধার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার পদ্ধতিগত বাঁধাও দূর করতে হবে। কাঠামোগত বাঁধা হতে পারে যেমন সিঁড়ি, উঁচু-নিচু জমি, আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে বা ভুল জায়গায় রাখা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের জন্য কোনো রেলিং সাপোর্ট এবং চিহ্ন না থাকা, যাতায়াতের অসুবিধাযুক্ত শৌচাগার, খেলার মাঠ এবং পরীক্ষাগার ইত্যাদি। পদ্ধতিগত বা শিক্ষাগত বাঁধা হচ্ছে পাঠ্যক্রম, শিক্ষানীতি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি ইত্যাদি। যা প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে ঠেলে দেয়। অটিজম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যখন পাঠ্যক্রম নমনীয় হয় না, তখন তাদের বুঝতে অসুবিধা হয়।

শিক্ষণ পদ্ধতি এবং শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে পারস্পরিক আদানপ্রদান ইন্দ্রিয়গত সীমাবদ্ধতা থাকায় শিখনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। এইসব শিক্ষার্থীদের সাথে কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে জ্ঞানের অভাবও একটি বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার বিকাশের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। প্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বিশেষত যারা ডিসলেক্সিয়া, ডিসক্যালকুলিয়া, ডিসগ্রাফিয়া’র সমস্যায় ভোগে তাদের ক্ষেত্রে পাঠ্যক্রম নির্ধারণে নমনীয় পদ্ধতি প্রণয়ন করা অত্যাবশ্যক। যেহেতু প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার সমান অধিকার রয়েছে তাই আর দশজন শিশুর মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও যাতে মনের সুখে ইচ্ছে আকাশে পাখি হয়ে উড়তে পারে, মাছের মতো উন্মুক্ত চিত্তে সাঁতরাতে পারে, মনের পেখম মেলে ময়ূরের মতো নাচতে পারে, জীবনের গহীন অরণ্যে চিতার মতো দৌড়াতে পারে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সে ধারা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বন্দোবস্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত