প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মানচিত্রে উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। গত কয়েক বছরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, শিক্ষার হার উন্নতি, গড়আয়ু বৃদ্ধি এবং নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেশের প্রেক্ষাপটকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত করেছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর সাম্প্রতিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অথচ এই উন্নয়নের ছাপ কি সমাজের প্রতিটি শিশুর জীবনে সমানভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে? বিশেষত কন্যাশিশুদের জীবনেও কি এই অগ্রগতি তাদের স্বাভাবিক অধিকার ও সম্ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছে? বাস্তবতা প্রায়শই অন্যরকম।
কন্যাশিশুরা জন্ম থেকেই নানা সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়। অনেক ক্ষেত্রেই পরিবার, সমাজ এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদের সম্ভাবনাকে সীমিত করে। গ্রামীণ এলাকায় কন্যাশিশুকে এখনও ‘অতিরিক্ত বোঝা’ হিসেবে দেখা হয়, যেখানে যৌতুক ও বাল্যবিবাহের আশঙ্কা পরিবারকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। শহরের শিক্ষিত পরিবারেও সূক্ষ্ম বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। ছেলেমেয়ের শিক্ষায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থক্য, মেয়েদের ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা- এসব সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক রীতিনীতি কন্যাশিশুর অগ্রগতির পথে অন্তর্নিহিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কন্যাশিশুরা শুধু পরিবার নয়, দেশের ভবিষ্যৎও। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানসিক উন্নয়ন জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাল্যবিবাহ, শিক্ষাজীবনে ঝরে পড়া, নিরাপত্তাহীনতা এবং সামাজিক প্রত্যাশার কারণে কন্যাশিশুরা প্রায়শই স্বপ্ন ও সম্ভাবনার সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে। BDHS 2022-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০-২৪ বছর বয়সি নারীদের প্রায় অর্ধেক ১৮ বছরের আগে বিবাহিত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক কিশোরীই তাদের স্বপ্নপূরণ করার আগে সামাজিক ও পারিবারিক বাধার মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈষম্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিক স্তরে ছেলে-মেয়ের ভর্তি প্রায় সমান হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। নারীর শ্রমশক্তি অংশগ্রহণ ২০২৪ অনুযায়ী প্রায় ৪৪, যেখানে পুরুষদের হার অনেক বেশি। গার্মেন্টস খাতের সঙ্গে যুক্ত নারীর সংখ্যা থাকলেও নেতৃত্ব পর্যায়ে তাদের উপস্থিতি নগণ্য।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটও উদ্বেগজনক। World Economic Forum -এর Global Gender Gap Report 2025 অনুসারে, বিশ্বে লিঙ্গ সমতা অর্জনে এখনও প্রায় ১২৩ বছর সময় লাগবে। দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে। অর্থাৎ, শিক্ষার সুযোগ থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কন্যাশিশুদের পূর্ণ অগ্রগতি সুনিশ্চিত নয়। সারসংক্ষেপে, কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য শুধু ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সমস্যা নয়; এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না হলে দেশের টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। তাই কন্যা শিশুর সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক, নৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।
জন্ম থেকেই বৈষম্য : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় কন্যাশিশুকে এখনও ‘অতিরিক্ত বোঝা’ হিসেবে দেখা হয়। যৌতুক ও বাল্যবিবাহের আশঙ্কা অনেক পরিবারকে কন্যা জন্মের ক্ষেত্রে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। শহরের শিক্ষিত পরিবারেও সূক্ষ্ম বৈষম্য দেখা যায়- ছেলেমেয়ের শিক্ষায় বিনিয়োগে ভিন্নমত এবং মেয়েদের ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।
বাল্যবিবাহ : স্বপ্নভঙ্গের শিকল : BDHS 2022 অনুযায়ী, ২০-২৪ বছর বয়সি নারীদের প্রায় ৫০-৫১ শতাংশ ১৮ বছরের আগে বিবাহিত হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় অর্ধেক কিশোরীই তাদের স্বপ্নের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার আগেই বিবাহিত হচ্ছে। বাল্যবিবাহ কন্যার শিক্ষাজীবন থামিয়ে দেয়, তাকে অপ্রস্তুত মাতৃত্ব, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং পারিবারিক দায়বদ্ধতায় আবদ্ধ করে।
শিক্ষাজীবনে ঝরে পড়া : UNICEF/BBS-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যা শিক্ষার্থীর প্রায় ৩৬ শতাংশ ঝরে পড়ছে। ঝরনের মূল কারণ- বাল্যবিবাহ, আর্থিক সংকট এবং নিরাপত্তাহীনতা- যা কন্যা শিক্ষার সমগ্র গতিকে বিপর্যস্ত করছে।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে বৈষম্য : প্রাথমিক স্তরে ছেলে-মেয়ের ভর্তি প্রায় সমান হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। নারীর শ্রমশক্তি অংশগ্রহণ ২০২৪ অনুযায়ী প্রায় ৪৪ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের হার অনেক বেশি। গার্মেন্টস খাতের সঙ্গে যুক্ত নারীর সংখ্যা থাকলেও নেতৃত্ব পর্যায়ে তাদের উপস্থিতি নগণ্য।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট : World Economic Forum -এর Global Gender Gap Report 2025 অনুসারে, বিশ্বে লিঙ্গ সমতা অর্জনে প্রায় ১২৩ বছর সময় লাগবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে। অর্থাৎ, শিক্ষার সুযোগ থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কন্যাশিশুদের পূর্ণ অগ্রগতি সুনিশ্চিত নয়।
সরকারের নীতি ও উদ্যোগ : সরকার প্রণয়ন করেছে: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ (Child Marriage Restraint Act, 2017) কন্যাশিশু শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি, নারী ও শিশু উন্নয়ন নীতি ২০১১, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের জন্য বৃত্তি/ফ্রি টিউশন সুবিধা, তথ্যসূত্র অনুযায়ী, আইন ও নীতি যথেষ্ট হলেও প্রান্তিক অঞ্চলে বাস্তবায়ন দুর্বল। স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ ও পারিবারিক বাধা মেয়েদের অধিকার রক্ষায় বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা : বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামো কন্যা শিশুকে গৃহস্থালিতে ‘দক্ষ’ হিসেবে দেখতে চায়, যেখানে ছেলেদের শিক্ষাগত ও কর্মজীবনের উচ্চ প্রত্যাশা থাকে। মিডিয়া, বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় প্রচারিত লিঙ্গবৈষম্যমূলক বার্তাগুলো এই বৈষম্যকে আরও শক্তিশালী করে।
করণীয়: কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণ : ১. শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি: মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে শিক্ষা, নিরাপদ যাতায়াত ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। ২. বাল্যবিবাহে শূন্য সহনশীলতা: প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, এনজিও ও ধর্মীয় মহলের যৌথ উদ্যোগ। ৩. অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: কর্মমুখী শিক্ষা, আইটি প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা উদ্ভাবনে কন্যাদের উৎসাহ প্রদান। ৪. মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: স্কুল পর্যায়ে কাউন্সেলিং সেবা সম্প্রসারণ। ৫. গণসচেতনতা বৃদ্ধি: গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কন্যাশিশুর অধিকার সচেতনতা। ৬. আইনের কঠোর প্রয়োগ: যৌতুক, হয়রানি ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শাস্তি কার্যকর করা।
জাতীয় উন্নয়ন শুধু অর্থনৈতিক সূচকের ওপর নির্ভর করে না; এটি সামাজিক এবং মানবিক দিকের সমন্বয়েও নির্ভরশীল। কন্যাশিশু জাতির অর্ধেক অংশ এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা মানবিক দায়িত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির শর্ত। কন্যাশিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানসিক বিকাশে সমান সুযোগ পেলে তা শুধু তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন নয়, সমগ্র জাতির উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
বর্তমান সমাজে কন্যা শিশুরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাল্যবিবাহ, শিক্ষাজীবনে ঝরে পড়া, পারিবারিক ও সামাজিক সীমাবদ্ধতা, আর্থিক সংকট এবং নিরাপত্তাহীনতা- এসব কন্যাশিশুর সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করে। UNESCO, UNICEF, এবং জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে কন্যা শিক্ষার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঝরে পড়ছে। বাল্যবিবাহের হার প্রায় ৫০ শতাংশ এবং নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ সীমিত- এসব দিক কন্যা শিশুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সরকার বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করেছে- বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, কন্যাশিশু শিক্ষাবৃত্তি, নারী ও শিশু উন্নয়ন নীতি ২০১১ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি/ফ্রি টিউশন সুবিধা। তবে এই নীতি বাস্তবায়ন প্রান্তিক অঞ্চলে অপ্রতুল।
স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা এবং পারিবারিক অমনোযোগ এই নীতির কার্যকারিতা সীমিত করছে। সামাজিক কাঠামোও কন্যাশিশুর সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত করে। পরিবার, সমাজ এবং মিডিয়া প্রায়ই মেয়েদের ‘গৃহস্থালির দক্ষতা’ হিসেবে সীমিত করে দেখে, যেখানে ছেলেদের উচ্চ শিক্ষার এবং কর্মজীবনের সুযোগকে উত্সাহ দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন, সিনেমা এবং সামাজিক প্রভাব কন্যা শিশুর স্বপ্নকে সীমাবদ্ধ করে এবং বৈষম্যকে শক্তিশালী করে। কন্যাশিশুর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষায় বিনিয়োগ অপরিহার্য। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে শিক্ষা, নিরাপদ যাতায়াত, স্যানিটেশন সুবিধা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করলে শিক্ষাজীবন রক্ষা সম্ভব। পাশাপাশি, বাল্যবিবাহে শূন্য সহনশীলতা এবং আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করলে কন্যা শিশুর জীবন নিরাপদ ও সুরক্ষিত হবে। কর্মমুখী শিক্ষা, আইটি প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তা উদ্ভাবনের মাধ্যমে কন্যাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যায়। গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন এবং ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কন্যা শিশুর অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধিও অপরিহার্য। সমাজে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, কন্যা শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশ এবং নারীর নেতৃত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এছাড়া, যৌতুক, হয়রানি এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা দরকার।
অতএব, কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়; এটি সামাজিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের শর্ত। যদি আমরা কন্যাশিশুকে সমান সুযোগ দিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই ‘স্মার্ট নেশনে’ রূপান্তরিত হতে পারে। আজকের দায়িত্ব আগামী দিনের সম্পদকে গুরুত্ব দেওয়া। বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে কন্যাদের সামনে সমতার দুয়ার খুলুন- এটাই সময়ের দাবি। কন্যা শিশুরা শিক্ষার, সৃজনশীলতার, নেতৃত্বের এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে। তাদের সম্ভাবনা রক্ষা করা মানে জাতির সম্ভাবনা রক্ষা করা। বাল্যবিবাহ, বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক প্রান্তিকতা দূরীকরণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই কন্যা শিশুর প্রতি সমাজ, পরিবার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন অপরিহার্য। এক কথায়, কন্যা শিশুর অধিকার নিশ্চিত করা জাতীয় উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই দেশের স্থায়ী অগ্রগতির গ্যারান্টি। জাতি তাদের দিকে দৃষ্টি না দিলে, উন্নয়ন কখনও পূর্ণাঙ্গ হতে পারবে না। তাই কন্যাশিশুর প্রতিটি অধিকার রক্ষা, উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করা সময়ের একমাত্র দাবি।
লেখক : কলামিস্ট আমদিরপাড়া জুমারবাড়ী সাঘাটা গাইবান্ধা