প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়, তবে এর প্রস্তুতি বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। কমিউনিটি ক্লিনিক হলো ৪ কক্ষবিশিষ্ট একটি ছোট একতলা ভবন, যা কমিউনিটি সদস্যদের কর্তৃক দানকৃত ৫-৮ শতাংশ জমির ওপর সরকারি তহবিলে তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৪৬৭-এ। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্যের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণ নিয়ে গঠিত ১৩-১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিউনিটি গ্রুপ কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা করে। তিন মাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি-ই এই ক্লিনিকগুলোর প্রধান সেবাদানকারী। বর্তমানে দেশে সিএইচসিপির মোট সংখ্যা ১৩,৯২৩ জন।
মূল পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীর সপ্তাহে তিনদিন সেবা প্রদানের কথা থাকলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে সিএইচসিপি-ই কার্যত সেবাদানকারী। রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, থার্মোমিটার, গ্লুকোমিটার এবং ওজন মাপার মেশিন হলো কমিউনিটি ক্লিনিকের মৌলিক সরঞ্জাম।
বর্তমানে অধিকাংশ ক্লিনিকে এসব সরঞ্জাম কার্যকর অবস্থায় নেই। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। অসংক্রামক রোগের দুই প্রকার ওষুধ (ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ)-সহ বর্তমানে মোট ২২ প্রকার ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। পূর্বে ৩১ প্রকার ওষুধ দেওয়া হলেও তা ধীরে ধীরে কমিয়ে প্রথমে ২৯, পরে ২৭ এবং অবশেষে ২২-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিকভাবে প্রতিশ্রুতি ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রোমোটিভ, রোগ প্রতিরোধক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রিভেন্টিভ এবং সীমিত মাত্রায় রোগ প্রতিকারমূলক (কিউরেটিভ) সেবা দেওয়ার। কিন্তু বাস্তবে এগুলো পর্যাপ্তভাবে কার্যকর না হওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন প্রধানত কিউরেটিভ সেবাকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়, তবে এর প্রস্তুতি বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, সিএইচসিপি’র রোগ নির্ণয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব এবং প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক মূলত একটি ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। ফলে সাধারণ মানুষও সেখানে যায় প্রধানত ওষুধ সংগ্রহের প্রত্যাশায়, অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্যামিলি প্ল্যানিং, এমএনসিএএইচ, আইএমসিআই, এনসিডিসি, এনএনএস, আইওয়াইসিএফ, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন, এসআরএইচআর, টিবি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং ইত্যাদি সেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
স্ট্রেংথ উইকনেস অপরচুনিটি এবং থ্রেট (SWOT) বিশ্লেষণে দেখা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশকিছু শক্তির জায়গা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় কারণে সহজেই পৌঁছানো যায়; স্থানীয় সরকারের সম্পৃক্ততায় পরিচালিত হওয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়; বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে একীভূত করার চেষ্টা রয়েছে এবং সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে একটি ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগও শক্তি হিসেবে গণ্য করা যায়। সিএইচসিপি-রা ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছরের মেয়াদি উন্নয়ন প্রোগ্রামের আওতায় বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে বেতন ভাতা গ্রহণ করতেন। এ ধরনের উন্নয়ন প্রোগ্রাম বন্ধ হওয়ায় সরকার এর মধ্যেই এদের বেতনভাতা অপারেটিং বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে, তাদের নিয়মিত বেতনভাতা প্রাপ্তিতে সব বাধা দূর হয়েছে। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের আর্থিক স্থিতিশীলতা মজবুত হয়েছে।
তবে এর দুর্বলতাও স্পষ্ট। প্রোমোটিভ ও প্রিভেন্টিভ কেয়ারের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে এটি মূলত কিউরেটিভ সেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘ক্লিনিক’ শব্দ প্রয়োগ করায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ধারণাগত সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। মেডিকেল শিক্ষায় অধ্যয়ন করা জনবল যেমন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, নার্স, পাবলিক হেলথ নার্স বা মিডওয়াইফের পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মীকে সিএইচসিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাত্র একজন ব্যক্তিকে দিয়ে প্রোমোটিভ, প্রিভেন্টিভ ও কিউরেটিভ সেবার পাশাপাশি ফার্মাসিস্টের দায়িত্বও পালন করানো হয়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বল অবকাঠামো, সীমিত জায়গা এবং অনেক ক্ষেত্রে অনগ্রসর ও দূরবর্তী এলাকায় ক্লিনিকের অবস্থান। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের উপস্থিতি দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় পরিবর্তনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। যেমন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ সেবাগুলো একক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রদানের জন্য ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারি হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ইউনিয়নে তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকায় গ্রামকে এই প্রস্তাবে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই প্রস্তাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যমান দুই ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে একীভূত করে একটি শক্তিশালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে, যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো হবে তার সাব-সেন্টার।
তবে এ প্রক্রিয়ায় কিছু মৌলিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সিএইচসিপি’র পাশাপাশি যদি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে দায়িত্ব সঠিকভাবে বণ্টন না করলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সঙ্গত কারণেই হয়তো মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকেই ক্লিনিকের ইনচার্জ হিসেবে ধরা হতে পারে, যা বর্তমান কর্মরত সিএইচসিপিদের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হবে, বিশেষ করে ওষুধের নিয়ন্ত্রণ যখন তাদের হাত থেকে চলে যাবে। তাছাড়া, প্রোমোটিভ এবং প্রিভেন্টিভ সেবার গুরুত্ব হারাবে।
তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে যেকোনো পরিবর্তন সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। কাঠামোগতভাবেও তা সুদৃঢ় হতে হবে। উপরন্তু, অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকেই বসার জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যা জনবলের বড় ধরনের পরিবর্তনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই বিশ্লেষণকে সামনে রেখে কমিউনিটি ক্লিনিকের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে, যে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কোন কোন সেবা প্রদানে মনোযোগ দেব। নিশ্চিতভাবে কিউরেটিভ সেবার পাশাপাশি প্রোমোটিভ ও প্রিভেন্টিভ সেবার ওপর জোর দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম পরিবর্তন করে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা যেতে পারে।
এটি কার্যকর করতে হলে প্রিভেন্টিভ সেবার জন্য পৃথক জনবল থাকা অপরিহার্য। বর্তমান সিএইচসিপিকে নেতৃত্বে রেখে প্রিভেন্টিভ ও প্রোমোটিভ সেবা প্রদানের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। বর্তমান সিএইচসিপি-এর সঙ্গে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী দল থাকা উচিত, যার মধ্যে একজন হতে পারেন বর্তমান পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং অন্যজন স্বাস্থ্য সহকারী, যাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে তিন দিন করে সেবা প্রদান করার কথা। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। অসংক্রামক রোগের দুই প্রকার ওষুধ (ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ)-সহ বর্তমানে মোট ২২ প্রকার ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
পূর্বে ৩১ প্রকার ওষুধ দেওয়া হলেও তা ধীরে ধীরে কমিয়ে প্রথমে ২৯, পরে ২৭ এবং অবশেষে ২২-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং স্বাস্থ্য সহকারীকে কার্যকরভাবে এই দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনারের সুপারিশ অনুযায়ী ইউনিয়ন স্তরে একটি সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। এর জন্য বর্তমান দুই ধরনের সেবা কেন্দ্রের জনবল এবং তাদের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের একই চ্যানেলে এনে করে পুনর্বিন্যাস করা এবং তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা জরুরি। আর ইউনিয়ন স্তরে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করা হলে, প্রতিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে, যার জন্য সারা দেশে বছরে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। তবে এই স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিউনিটি প্যারামেডিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কমিউনিটি প্যারামেডিকরা বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে দুই বছরের একটি কোর্সসম্পন্ন করে থাকেন, যেখানে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এই দলটি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাশাপাশি, নিয়মিতভাবে বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের চিহ্নিত করা ও তাদের অ্যান্টেনাটাল কেয়ার, সিভিয়ার অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন ও মডারেট অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন শিশুদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বিদ্যমান কিউরেটিভ সেবা সঠিকভাবে প্রদানের জন্য প্রতিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে। এ জন্য বছরে সরকারের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। পাশাপাশি, পয়েন্ট-অফ-কেয়ারভিত্তিক ডায়াগনস্টিক সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বিত প্রাইমারি কেয়ার চালু হলে সেখানে অ্যাক্রেডিটেড হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (যেমন জেনারেল প্র্যাকটিশনার বা ফ্যামিলি মেডিসিন চিকিৎসক)-এর তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করা যাবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টেলিমেডিসিন সেবা ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’ এবং পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের টেলিমেডিসিন সেবা ‘সুখী পরিবার’ এর সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক সাপোর্ট ট্রাস্টের সমঝোতা স্মারক এর মাধ্যমে সহযোগিতা করে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রেসক্রিপশনভিত্তিক সেবা প্রদান করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোগীর ভাইটাল টেস্ট সম্পন্ন করে, টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে এভিডেন্সভিত্তিক প্রেসক্রিপশন প্রস্তুতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি তিনি রোগীকে কাউন্সিলিং সেবা প্রদান এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিতরণ করবেন।
উপরোক্ত কোনো পরিবর্তন সম্ভব না হলে অর্থাৎ কমিউনিটি ক্লিনিকের বর্তমান জনবল অপরিবর্তিত থাকলে, তবুও বিদ্যমান সেবার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। আর তা হলো ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’ টেলিমেডিসিন সেবা এবং ‘সুখী পরিবার’ টেলিমেডিসিন সেবা এর সঙ্গে সমন্বয়। এক্ষেত্রে কোনো রোগী কমিউনিটি ক্লিনিকে এলে সিএইচসিপি রোগীর অবস্থার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বাতায়ন বা সুখী পরিবার টেলিমেডিসিন সেবার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করবেন। রোগী সংশ্লিষ্ট টেলিমেডিসিন প্ল্যাটফর্ম থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পর সিএইচসিপি সেই অনুযায়ী ওষুধ প্রদান করবে। এর ফলে রোগীরা একজন অ্যাক্রেডিটেড স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে ওষুধের অপব্যবহারও কমবে।
লেখক : অধ্যাপক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়