প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ওজোন সংরক্ষণ দিবস। ওজোনস্তরের ক্ষয় ও নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বজনীন উপলব্ধি সৃষ্টিতে প্রতি বর্ষে এই বিশেষ দিনটিতে ‘আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। বিগত চার দশক আগে, বিজ্ঞানকে সমর্থন জানিয়ে সমগ্র মানব সম্প্রদায় ওজোনস্তর সুরক্ষায় সংহত হয়েছিল। ওজোনস্তরের ক্ষয় রোধে ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালে ভিয়েনা কনভেনশন ও মন্ট্রিল প্রোটোকল প্রচেষ্টার সফল পরিণতি হিসেবে আজও বহুপক্ষীয় সাফল্যের নিদর্শন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও প্রাসঙ্গিক গুরুত্ব দিয়ে দিবসটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সম্মুখে পথ ধরে শোভাযাত্রা সম্পন্ন করা হবে। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষায় বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু ফ্রিজ, এসিতে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসসহ মনুষ্যসৃষ্ট এবং নৈসর্গিক বিভিন্নরূপে ওজোনস্তর আজ হুমকির মুখে। ওজোনস্তরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় হলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে মানবদেহে ক্যান্সার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসসহ উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত হুমকির সম্মুখীন হবে। প্রত্যাশা হচ্ছে ওজোনস্তর ২০৬৬ মধ্যেকার স্থিতাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করবে। রাসায়নিক রূপান্তর ওজোনস্তর সুরক্ষা দেয়।
ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস ফ্যব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯১৩ সালে ওজোনস্তর আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জি এম বি ডবসন ওজোনস্তর নিয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধানমূলক গবেষণা করেন। ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে তিনি ওজোন গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে ব্যবস্থা গড়ে তোলেন ।
বিশ্ব ওজন দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম’। বিজ্ঞানসম্মত কর্ম- এটি ওজোনস্তরকে রক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের উপর জোর দেয়। ওজোন রক্ষায় বর্ম- এটি ওজোনস্তরকে একটি সুরক্ষামূলক ঢাল বা বর্ম হিসেবে উপস্থাপন করে যা মানবজাতিকে ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে মূলত ওজোনস্তরকে রক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত এ শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৪টি গ্রুপে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রায় ৩৫০ জন শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিবের বার্তায় জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক পদক্ষেপের ফলে ওজোনস্তর ধীরে ধীরে নিরাময়ের পথে। তবে একইসাথে তিনি সতর্ক করেছেন, পৃথিবী এখনও বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়ার ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তিনি সরকারগুলোকে প্রোটোকলের কিগালি সংশোধনী অনুমোদন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFC)-যা মূলত শীতলীকরণ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস-ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরন্ত এড়াতে সহায়তা করতে পারে। বার্তায় আরও বলা হয়েছে, নতুন জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা (NDC)-তে এসব প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করতে হবে, যাতে তা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমারক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এক ডিগ্রির প্রতিটি ভগ্নাংশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পদক্ষেপই জরুরি। এই বিশ্ব ওজোন দিবসে তিনি সকলকে আহ্বান জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানুষ ও পৃথিবীকে রক্ষায় ওজোনস্তর সংরক্ষণে নতুন করে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি (UVB) সরাসরি ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকের ক্যান্সার, বিশেষ করে মেলানোমাবহির্ভূত ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। UVB রশ্মির সংস্পর্শে চোখের ছানি হতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ঘটায়। রাগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: অতিবেগুনী রশ্মি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ক্ষতিস্তস্ত করে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এই রশ্মি জিনের গঠন পরিবর্তন করে মিউটেশন বা বংশগত পরিবর্তনের হার বাড়াতে পারে। ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে অতিবেগুনী রশ্মি বৃদ্ধি পেলে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে ফসলের ফলন হ্রাস পায় এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সমুদ্রে বসবাসকারী ছোট প্ল্যাঙ্কটন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক জীবের জীবনচক্রের উপর UVB রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে, যা সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। ফসল ও কাঠের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে কোটি কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
ওজোনস্তরের প্রধান উপকারিতা হলো এটি সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকর অতিবেগুনি (UV) রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করে। ওজোনস্তর একটি অদৃশ্য ঢাল হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর জীবকূলকে এই মারাত্মক বিকিরণ থেকে বাঁচায়।
এই দিনের স্মরণে ১৯৯৪ সালেপ্রটোকল স্বাক্ষরিত হওয়ার ৩০ বছর পরে ওজোনস্তর ক্ষয়ের সমাপ্তি লক্ষ্য করা গেছে। তবে ওজোন ক্ষয়ের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর প্রকৃতির কারণে, এগুলোর রাসায়নিক প্রভাব আরও ৫০ থেকে ১০০ বছর অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হয়।
ওজোনস্তর (Ozone layer) হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কিমি উপরে অবস্থিত। এই স্তরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়। বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওজোন কেন্দ্রীকরণ প্রায় ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার (৬৬,০০০ এবং ১৩১,০০০ ফুট), তারা যেখানে মিলিয়ন প্রতি প্রায় ২ থেকে ৮ অংশ থেকে পরিসীমার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়। যদি এই ওজোনের সবটুকু অংশ সমুদ্রতল এর বায়ুচাপ দ্বারা সংকুচিত করা হয় তাহলে এটি শুধুমাত্র ৩ মিলিমিটার (১/৮ ইঞ্চি) পুরু হবে! ওজন গ্যাসের ঘনত্ব মাপা হয় উট (ডবসন ইউনিট )-এ। বিজ্ঞানী ডবসন আবিষ্কৃত স্পেক্ট্রোফটোমেটের এর সাহায্যে এই ঘনত্ব পরিমাপ করা হয় । নিরক্ষীয় গ্যাসের উপর ওজন গ্যাসের ঘনত্ব ১৫০উট, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ওপর ৩৫০ উট, মেরু ও উপমেয় অঞ্চলের ওপর ৪৫০উট।
ওজোনস্তরের বিনাশের কারণ : বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী ১৯৭০ সালের পর থেকে স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর মোট ওজনের প্রায় ৪% ধ্বংস হয়েছে। উভয় মেরুর দিকে ধ্বংসের মাত্রা বেশি ওজন স্তর বিনাশের কারণ গুলিকে দুটি স্তরে ভাগ করা হয়। যথা:-১) প্রাকৃতিক ঘটনা:- অগ্নুৎপাত,বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনায়ওজোন স্তরে প্রাকৃতিক ঘটনায় ওজোনস্তরের কিছুটা নষ্ট হয়। ২) অতিবেগুনি রশ্মির সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া:- অতিবেগুনি রশ্মি অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ওজন অণুর ভেঙে অক্সিজেন অণু ও পরমাণু উৎপন্ন করে। ৩) সূর্য রশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি:- প্রতি ১০ থেকে ১৫ বছর অন্তর সূর্য রশ্মির পরিমাণ বাড়ে। সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন নাইট্রাস অক্সাইড এ পরিণত হয়।
নাইট্রাস অক্সঠন ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার (তরঙ্গদৈর্ঘ্যের) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কি না ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। মধ্যম তরঙ্গদৈর্ঘের সূরের এই অতিবেগুণী রশ্মি মানব দেহের ত্বক এমনকি হাড়ের ক্যান্সারসহ অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি সৃষ্টিতে সমর্থ। এই ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীর জীবজগতের সকল প্রাণের প্রতি তীব্র হুমকিস্বরূপ। বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তর প্রতিনিয়তই এই মারাত্মক ক্ষতিকর অতিবেগুণী রশ্নিগুলোকে প্রতিহত করে পৃথিবীর প্রাণিকূলকে রক্ষা করছে।
ওজোনস্তর সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-এর মাধ্যমে ওজোনস্তর-ক্ষয়কারী পদার্থের ( ODS) ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মেনে চলার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার জীববৈচিত্র্য ও সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করছে এবং ওজোনস্তর সুরক্ষায় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে যুক্ত করে একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন : পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ : এই আইনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা, পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য বিধান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি- যেমন জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদ (Convention on Biological Diversity)-এর পক্ষ এবং ওজোনস্তর সুরক্ষার জন্য বৈশ্বিক চুক্তিগুলো অনুসরণ করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এর উপাদানসমূহের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৯২ সালে প্রণীত জাতীয় পরিবেশ নীতি পরিবেশগত বিষয়গুলো তদারকি ও সংরক্ষণে সহায়তা করে। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর অধীনে পরিবেশের মান উন্নয়ন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনো (UVB) রশ্মিগুলোর বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে না। বিশেষ করেংং ওজোনস্তর একটি প্রাকৃতিক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে, যা পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, যা ওজোনস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেগুলোর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন প্রয়োগ ও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। ওজোন স্তর সুরক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ ও পুরাতন প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি :স মাজে পরিবেশ শিক্ষার প্রচার এবং ওজোনস্তর সংরক্ষণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে একটি সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়। বনায়ন ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কার্বন শোষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করা যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে ওজোনস্তরকে স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকেও অগ্রণী ভূমিকা রাখা এখন প্রয়োজনের তাগিদ।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল