প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
মাইক্রোপ্লাস্টিক হলো অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা, যা আমাদের পরিবেশেও, ফুডচেইনে ঢুকে স্বাস্থ্যে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে। সমুদ্র থেকে নদী, খাদ্য থেকে বাতাস- প্রতিটি স্তরে এর বিস্তার আমাদের জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। এ কারণে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ এখন বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকট হিসেবে চিহ্নিত। মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ বলতে বোঝায় ৫ মিলিমিটারের কম আকারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া, যা অনেক সময় খালি চোখে দেখা কঠিন হলেও পানি, মাটি, বাতাস ও খাদ্যে অদ্রবনীয় অবস্থায় মিশে যায়। এগুলো মূলত দুটি পথে তৈরি হয়, প্রাইমারি মাইক্রোপ্লাস্টিকঃ যা কসমেটিকস, টুথপেস্ট, শিল্প কারখানার কণা বা কৃত্রিম আঁশ থেকে সরাসরি উৎপন্ন হয় ; এবং সেকেন্ডারি মাইক্রোপ্লাস্টিক: যা বড় প্লাস্টিক দ্রব্যাদি (যেমন পলিথিন ব্যাগ, বোতল, প্লাস্টিক জাল, টায়ার ইত্যাদি) সূর্যালোক, তাপ, ঘর্ষণ ও পানির প্রভাবে ছোট ছোট কণায় ভেঙে তৈরি হয়। এগুলো একবার পরিবেশে প্রবেশ করলে সহজে নষ্ট হয় না এবং ধীরে ধীরে ফুড চেইনে প্রবেশ করে পরিবেশ, প্রাণী ও মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয় ।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক ও মিঠা পানির পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের বহুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে যা, বাংলাদেশের উপকূলীয় ও নদীভিত্তিক জীব বৈচিত্র্য, মৎস্য জীবন ও উপকূলবর্তী জনজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জাতীয় পর্যায়ের ‘সিস্টিমিক রিভিউ’ গবেষণায় দেখা গেছে, পানিতে, সমুদ্রের তলদেশে, মাছে, লবণে, চা-ব্যাগে ও সার-ভূমিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক বিপুল পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। আরও জানা গেছে যে, শহরের পানীয় জলে প্রতি লিটার পানিতে ৩৫টির বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা, ঢাকা শহরের লেকের মাছের পেটে গড়ে এক কেজি মাছে ৬৭টির বেশি কনা, মহেশখালী/ বেতনালি এলাকার লবণের প্রতি কেজিতে ৮০টির বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ’ শুধু পরিবেশের সমস্যা নয়, বরং স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য ও সামুদ্রিক পরিবেশ, মৎস্যনির্ভর উপকূলবর্তী মানুষের জীবন জীবিকাসহ সার্বিক সামাজিক অর্থনীতিকেও চরম ঝুঁকিতে ফেলছে।
বাংলাদেশের মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইলভিত্তিক আঁশ, যেমন- জামা-কাপড় ধোয়াপানি ও কাপড়ের উৎপাদনের বর্জ্য থেকে আঁশ প্রায়শই নদী ও মাঠে প্রবাহিত হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক প্যাকেজিং দ্রব্যাদি থেকে বিশেষত পাতলা পলিথিন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যাগ, ফুড প্যাকেজিং দ্রব্যাদি, প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদির বিঘ্নিত বর্জ্য থেকে মাইকক্রোপ্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে। উল্লেখ্য যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মধ্যে পলিইথিলিন, পলিপ্রুপিলিন, পলিস্টিরিন ইত্যাদি পলিমার দ্রব্যাদি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে এবং পলিইথিলিন টেরেফথালেট (যা প্লাস্টিক বোটল, ফুড কনটেইনার ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয়), পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড) ও অন্যান্য ধরনের প্লাস্টিকের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে ।
মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রভাব
মাছ, কাঁকড়া, শামুক ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবার মনে করে গ্রাস করে যা উপাদেয় অংশের ক্ষয়, পরিপাক জটিলতা ও গ্যাস্ট্রিক এ ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। এ সমস্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রের তলদেশ বা নদীর তলদেশে জমা হয়ে জীববৈচিত্র্য কমিয়ে দিচ্ছে ও মাটির গঠন ও জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। জমে থাকা ভাসমান প্লাস্টিক আবর্জনার কারণে পানি চলাচল বাধা গ্রস্ত হচ্ছে, ঢল-বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে এবং উঁচু-নিচু জলপ্রবাহ ও নিষ্কাশন সিস্টেম দুর্বল হচ্ছে। তাছাড়া লবণ, মাছ, পানি ও চা-ব্যাগের মাধ্যমে মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে মানুষের শরীরে হজমজনিত সমস্যা, ফুসফুস প্রদাহ ও শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা, জ্বিনগত সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, সাধারণ কোষ ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হওয়া, অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভেতরে যে সমস্ত ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে যেগুলোই মূলত : মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। এর মধ্যে বিসফেনল-এ (বিপিএ), যা প্লাস্টিককে শক্ত করতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফথালেটস প্লাস্টিককে নরম করতে ব্যবহৃত হয়, যা প্রজনন সমস্যা ও হরমোনজনিত গোলযোগ সৃষ্টি করে। পলিক্লোরিনেটেড বাই ফেনাইলস (পিসিবি) শিল্পদূষণ থেকে প্লাস্টিকে জমে থাকে এবং তা ভক্ষণে ক্যান্সার তৈরি করে ও লিভারের ক্ষতি ঘটায়। তাছাড়া পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনস (পিএএইচ) শিল্প বর্জ্য ও জ্বালানি পোড়ানো থেকে প্লাস্টিকে মিশে গিয়ে এবং ফুড চেইনে ঢুকে ক্যান্সার সৃষ্টি করে ও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে। হেভিমেটালস যেমন- সীসা, ক্যাডমিয়াম ও পারদ যা প্লাস্টিক থেকে পাওয়া যায়, স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া ডাই-অক্সিন ও ফিউরানস, প্লাস্টিক পোড়ানো বা শিল্প দূষণের কারণে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানো এবং হরমোনাল সমস্যা বাড়ায়। তাই বাড়তি রোগ-ব্যাধির কারণে স্বাস্থ্য পরিসেবা ও খরচ বাড়ছে, উপকূলবর্তী ও গ্রামীণ এলাকাগুলোর নজরদারি ও অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য মাছের প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে, মাছের স্বাস্থ্য অপর্যাপ্ত হওয়ায় মাছের বাজার-মূল্য কমছে এবং উপকুলীয় মানুষদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
প্রতিকারমূলক উপায় ও নীতি সুপারিশ বাংলাদেশে ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০২৩’ নামে একটি আই্ন তৈরি হয়েছে, যা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিধিনিষেধ ও দণ্ডভার সংক্রান্ত কাঠামো তৈরি করেছে; কিন্তু এর বাস্তবায়নে দারুণ কমতি রয়ে গেছে। এর আগেও পলিথিন প্যাকেটের জন্য নির্ধারিত প্রবিধান ও জামাকাপড়ে পলিথিনের পরিবর্তে পাট দ্রব্যাদি ব্যবহার প্রবণতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু এর বাস্তবায়নে গাফিলতি থাকায় ভালো ফল আনতে পারেনি।
নিচে কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ও নীতি সুপারিশ দেওয়া হলো, যা রাজনীতি, প্রশাসন, সমাজ ও ব্যক্তির স্তরে কার্যকর করা যেতে পারে: ১. বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সর্বপ্রথম ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০২৩’-এর কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে অবৈধভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা ও দূষণ ঘটালে জরিমানা ও দণ্ড বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। পাশাপাশি, পলিথিন ব্যাগ, পাতলা প্লাস্টিক প্যাকেট ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকসামগ্রীর উপর ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ও রপ্তানিতে ‘এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপন্সিবিলিটি (EPR)’ নীতির বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ, যাতে উৎপাদকরা তাদের পণ্যের সম্পূর্ণ জীবনচক্রের জন্য দায়বদ্ধ থাকে এবং বর্জ্যে রূপান্তরিত হওয়ার পরও সেই প্লাস্টিক সংগ্রহ, পুনর্ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে। এর ফলে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি একটি টেকসই পুনর্ব্যবহারযোগ্য অর্থনীতি গড়ে উঠে। একই সঙ্গে উপকূল ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
২. মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ রোধে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রথমত, পলিব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং উপাদান ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ বাড়ানো প্রণোদনা প্রদান এবং আধুনিক রিসাইক্লিং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে কলকারখানা থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিচালনা ব্যবস্থার নিয়মিত মনিটরিং এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
৩. উপকূলবর্তী ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের ক্ষতি রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো জরুরি। এজন্য স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, গ্রাম কমিটি ও স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের অপব্যবহার ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে হবে। পাশাপাশি টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দিলে অত্যন্ত কার্যকর হবে। একই সঙ্গে ‘জিরো প্লাস্টিক মডেল’ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, যার লক্ষ্য হবে প্লাস্টিক বর্জ্যকে একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনা। এ মডেলের মূল কৌশল হলো উৎস থেকেই বর্জ্য কমানো এবং জনগণকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রণোদিত করা, যেমন বাজারে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করা।
৪. তাছাড়া মানসম্মত ও নিয়মিত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা জরুরি, এতে করে বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি ও ঘনত্বের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য ও পানির মাধ্যমে মানুষের শরীরে কতটা মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে তা নিরূপণ করা প্রয়োজন । বিশেষ করে মাছ, লবণ, পানি এবং চা-ব্যাগের মতো দৈনন্দিন ফুড চেইন বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকি বোঝা যাবে। পাশাপাশি সমুদ্র ও নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রাণী এবং অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছ ও সামুদ্রিক প্রজাতির ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে হবে, যাতে কোন প্রজাতি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তা জানা যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব সেটা বোঝা যায়। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলায় বাস্তবায়নযোগ্য ছোট প্রকল্প যেমন- উপকূল রক্ষা, বর্জ্য উৎসে সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহার কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি গ্রহণ করলে দেশের মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে
মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ কোনো দূর-ভবিষ্যতের ভয় নয়; এটি উপকূল ও গ্রামীণ বাংলাদেশে জাগ্রত ও ক্রমবর্ধমান বিপর্যয় সৃষ্টির কারণ। যদি দ্রুত এবং সর্বাঙ্গীনভাবে প্রতিকারমূলক কর্মসূচি না নেওয়া হয়, তবে জীববৈচিত্র্য, মানুষের স্বাস্থ্য ও উপকূলবর্তী জনজীবিকা বিপন্ন হবে। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বিজ্ঞানী, এনজিও এবং সাধারণ মানুষ, সবাই মিলিতভাবে কাজ করলে এই বিপদ থেকে রক্ষা সম্ভব। আমাদের উপকূল, আমাদের নদী, আমাদের মাছ, আমাদের জীবন, এসব রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
অধ্যাপক ড. এসএম রেজাউল করিম
উপাচার্য, আশা ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ