
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে। গতকাল সোমবার দুপুরে গাজীপুরে আয়োজিত ‘স্বাধীন পাঠক তৈরি-পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক রিডিং সম্মেলনে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য দেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রুম টু রিড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত বইগুলোর ৮৫ ভাগের ওপর মাঠে চলে গিয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাসের বই-সেখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, সেক্ষেত্রেও ৮৪ ভাগ বই মাঠে চলে গিয়েছে। গতকাল রবিবার আমি রিপোর্ট পেয়েছি। আমি আশা করি, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রাইমারির বইগুলো পেয়ে যাবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও জাতীয় কারিকুলাম নিশ্চিত করার গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একজন মানুষ তার বাচ্চাকে কোথায় পড়াবেন সেটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। সুতরাং কেউ যদি মনে করে কিন্ডারগার্টেনে গেলে বাচ্চার ভালো পড়াশোনা হবে সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দুইটা। প্রথমত হচ্ছে প্রাইমারি শিক্ষার মান যাতে বাড়ে আমরা সেই চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, যেসব জায়গাতে প্রাইমারি স্কুল ভালো চলে সেখানে কিন্তু লোকজন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্যই ভিড় করে। দুই নম্বর হচ্ছে, আমরা দেখবো যেসব কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে তারা যেন আমাদের জাতীয় যেটা কারিকুলাম রয়েছে প্রাইমারি স্কুলে পড়ানোর জন্য সেগুলো তারা ফলো করে। কারণ আমরা তাদের প্রাথমিক স্কুলের বইগুলো বিনামূল্যে দেই। ফলে তারা যেন এগুলো ফলো করে সেটা দেখব। পড়াশোনা যাতে ঠিকমতো হয় সরকারি স্কুলগুলোতে পড়াশোনা দেখার দায়িত্ব আমাদের তদ্রুপ বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনার দেখার দায়িত্বও আমাদের।
রিডিং কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল হাকিম।
কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)-এর পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাউল গনি, রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার প্রমুখ।