ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আগামী এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতি, সীমান্ত হত্যা এবং জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহার, আদানি পাওয়ার প্রকল্পের ইস্যুগুলোসহ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তাপ ছড়ানো বেশ কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে গত রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়। এর পরদিন দ্য হিন্দুকে এই সাক্ষাৎকার দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। নিচে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-

দ্য হিন্দু : সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে আপনার বৈঠক সম্পর্কে আমাদের বলুন...

তৌহিদ হোসেন : স্পষ্ট করে বলতে গেলে, সম্পর্ক খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল (যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়)। এটি খুব উত্তেজনাপূর্ণ ভাবেই শুরু হয়েছিল, যেমনটি আমি দেখছি, কারণ ভারত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন এক ধরনের সম্পর্কে অভ্যস্ত ছিল এবং হঠাৎ করেই খুব দ্রুত সেটি ভেঙে পড়ে। হয়তো নতুন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে, তার সম্পর্কে বৈরি মনোভাব এবং অস্বস্তি অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমি মনে করি ছয় মাস পরে, এটি আসলে শেষ হওয়া উচিত এবং আমাদের এমন একটি পরিবেশ দরকার যেখানে আমরা একে অপরের সাথে কাজ করতে পারি। ছয় মাস আগের তুলনায়, অবশ্যই আমরা এখন একে অপরের সাথে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারি।

দ্য হিন্দু : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন এবং পররাষ্ট্র সচিবের মতে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কিছু উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনি কি জয়শঙ্করকে এই উদ্বেগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন?

তৌহিদ হোসেন : আসলেই না। আমি জিজ্ঞাসা করিনি, কারণ এটি ভারতের ব্যাপার (তারা অন্য দেশের সাথে কী আলোচনা করবে)। আমি মনে করি না খুব বেশি উদ্বেগ থাকা উচিত। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া উচিত, যা এরইমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, বাণিজ্যে। বাণিজ্যে স্বল্প সময়ের জন্য কিছুটা সমস্যা ছিল, কিন্তু তা আবার বেড়েছে। সুতরাং এগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে- দুটি দেশ, অন্তত বেসরকারি খাত, লোকেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে চায় এবং এতে আমাদের স্বার্থ রয়েছে। উভয় দেশেরই একে অপরের স্বার্থ আছে এবং আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দ্য হিন্দু : ভারত বারবার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তা হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে। আপনি কি মনে করেন যে- আপনার সরকার এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে? আর ভারত কি একমত? কারণ এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

তৌহিদ হোসেন : আচ্ছা, আমি খুব স্পষ্ট করে বলি- বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মতোই সমান নাগরিক। তারা সমান অধিকারের সাথে সমান নাগরিক এবং সুরক্ষার সমান অধিকার ভোগ করেন। এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের কাজ করছে। সরকার তাদের রক্ষায় কাজ করছে, যেমন দেশের অন্য নাগরিকদের রক্ষা করাও সরকারের কাজ। দুর্ভাগ্যবশত, ৫ আগস্টের ঠিক পরে ভারতীয় মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে সত্যিকার অর্থেই প্রায় ব্যাখ্যাতীত উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, সেটিও আবার বেশিরভাগই মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। আমি আপনাকে জাতিসংঘের রিপোর্ট ও তাদের ফলাফল দেখার জন্য বলব, যা দুই দিন আগে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে যে- (অন্তর্বর্তী সরকার সহিংসতার সাথে জড়িত ছিল না)। তারা আমাদের অনুরোধে এসেছিল কারণ আমরা পরিস্থিতির একেবারে নিরপেক্ষ জরিপ চেয়েছিলাম।

দ্য হিন্দু : আমি কমিটির রিপোর্ট পড়েছি, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে পূর্ববর্তী হাসিনা সরকারের কিছু বাড়াবাড়ির কথাও বলা হয়েছে, কিন্তু তাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আপনার সরকার কি কেনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে?

তৌহিদ হোসেন : অবশ্যই, এমনকি জাতিসংঘের প্রতিবেদনের আগেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব এবং সরকার সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কথা বলা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। এটা একেবারেই অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে- আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে অন্তত চারজন সদস্য রয়েছেন যারা মানবাধিকার কর্মী এবং তারা বহু, বহু বছর ধরে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন। তারা নিজেরাই সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

দ্য হিন্দু : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে, ভারত ঠিক কী করবে বলে আপনি আশা করছেন?

তৌহিদ হোসেন : তার (হাসিনা) বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা ভারতকে তাকে পাঠাতে বলেছি। যতক্ষণ ভারত সরকার এটি না করছে, আমরা আশা করব যে- তারা অন্তত তার ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে যাতে তিনি উস্কানিমূলক এবং মিথ্যা বিবৃতি না দিতে পারেন যা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ জাগিয়ে তোলে, কারণ বিষয়গুলো এখনও খুব তরতাজা। ১৫ বছর ধরে তিনি (হাসিনা) ক্ষমতায় ছিলেন এবং লোকেরা তার কর্মকাণ্ডের জন্য খুব, খুব তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ। তাই তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না, এমনটাই দেখতে চায় মানুষ।

দ্য হিন্দু : তা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করার জন্য জনতাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

তৌহিদ হোসেন : বিক্ষুব্ধ জনতা কিছু করতে পারে, কিন্তু তাতে সরকারের সমর্থন নেই।

দ্য হিন্দু : আপনার সরকার এখন পর্যন্ত শুধু মৌখিক নোট পাঠিয়েছে, যা হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি কূটনৈতিক নোট। আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হবে?

তৌহিদ হোসেন : আমাদের (বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে) একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে এবং আমরা অনেক অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ভারতে ফিরিয়ে দিয়েছি এবং আমি মনে করি ভারতও তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ফিরিয়ে দিতে পারে।

দ্য হিন্দু : কিন্তু সেই প্রত্যর্পণ চুক্তির জন্য আপনাকে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এমএলএটি (পারস্পরিক আইনি সহায়তা) এর জন্য আপনার পর্যাপ্ত ওয়ারেন্ট থাকতে হবে। বাংলাদেশ কখন সেই প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে আশা করছে?

তৌহিদ হোসেন : ঠিক আছে, সেই প্রক্রিয়া এরইমধ্যে চলমান রয়েছে, কারণ মামলাগুলো এখন আদালতে রয়েছে। আমরা তাদের (তাড়াহুড়া করে) কাজ করতে বাধ্য করতে পারি না। এবং আমরা এই বিষয়েও অবগত যে- তিনি (হাসিনা) ভারতীয় বিচারব্যবস্থার আশ্রয় নিতে পারে। এতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু আমরা যা চাই তা হলো- তিনি (হাসিনা) ভারতে থাকাকালীন কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।

দ্য হিন্দু : সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। জেলেদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলে, তিনি বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া জেলেদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন, যাদের মারধর করা হয়েছিল। আপনি কি মনে করেন যে, এটি খারাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ফলেই হয়েছে?

তৌহিদ হোসেন : আমি তেমনটি মনে করি না। প্রথম সমস্যা হচ্ছে- সীমান্ত। ২০২৪ সালে- যে বছরের অর্ধেক আগের সরকারের অধীনে ছিল- ২৪ জন সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিশ্বের কোথাও এটি করা হয় না। আমি মনে করি, আপনি এই বিষয়ে আমার সাথে একমত হবেন কারণ ভারতীয় পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয় যে- যেহেতু অপরাধ কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তাই এটি ঘটছে। পৃথিবীর প্রতিটি সীমান্তে অপরাধ আছে। কোথাও মানুষকে এভাবে গুলি করে মারা হয় না। যদি অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে, আপনি তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে, জেলে নিয়ে যান বা আদালতের সিদ্ধান্তে যে কোনো কিছু করেন, কিন্তু আপনি সীমান্তে তাদের কেবল হত্যা করতে পারবেন না। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের অধীনেই সীমান্তে সেটাই হয়ে আসছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। এটি এমন একটি জিনিস যা আমি মনে করি ভারত যদি চায় তবে থামতে পারে এবং এটি বন্ধ হওয়া উচিত। আর অন্য ইস্যুটি হচ্ছে- সামুদ্রিক ইস্যু।

দ্য হিন্দু : কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়েছে। তাহলে এখনও একে অপরের জেলেদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে...

তৌহিদ হোসেন : আমি এই বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না, তবে যতদূর পর্যন্ত বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলে জেনেছি, আপনি জানেন- জেলেরা মাছকে অনুসরণ করে। এখন, প্রায়ই স্থলভাগে আপনার একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে, আপনি জানেন যে এটাই সীমা। তবে সমুদ্রে, এটি এত সহজ নয়। প্রায়ই, উভয় দিক থেকে তারা অন্য দেশের সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রবেশ করে। আমাদের কিছু জেলে ভারতের হেফাজতে রয়েছে, আবার আমাদের হেফাজতে ভারতের কিছু জেলে আছে এবং আমরা উভয় দেশই পর্যায়ক্রমে তাদের ছেড়ে দিই। দুর্ব্যবহার সম্পর্কে... আমরা এরইমধ্যেই তদন্তের জন্য বলেছি এবং যদি আমরা দেখতে পাই যে- আসলেই নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো লোক এ ঘটনায় জড়িত ছিল বা তারা যদি আইন ভঙ্গ করে থাকে, অবশ্যই আমরা তা বিবেচনা করব। কিন্তু এটা সাধারণত করা হয় না। আমি কলকাতায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন কূটনীতিক হিসেবে ছিলাম এবং এই ধরনের বিনিময়গুলো পরিচালনা করেছি এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় না। যদি কোনো ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, আমরা অবশ্যই তা দেখব।

দ্য হিন্দু : আদানি বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ সরকার এই গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে আলোচনা করছে। আপনি কি নিশ্চিত করতে পারেন যে- বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানি গ্রুপের সাথে চুক্তি অব্যাহত রাখতে চায়?

তৌহিদ হোসেন : আমি মনে করি আমরা দুটি পর্যায়ে আলোচনা করি, একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে (এবং দ্বিতীয়টি) আমরা চুক্তি স্বাক্ষরের পর আলোচনা করি। আমাদের চুক্তি অনুসারে এগোতে হবে, কিন্তু যদি আমরা মনে করি যে চুক্তিটি সঠিকভাবে করা হয়নি, তাহলে আমরা সর্বদা এটি আবার খতিয়ে দেখার জন্য পারস্পরিকভাবে সম্মত হতে পারি। এবং আমার মতে, আমরা আদানি গ্রুপের সাথে এটি দেখব এবং চুক্তিটিকে আরো যুক্তিযুক্ত করার চেষ্টা করব। আমি কোনো টেকনিশিয়ান বা টেকনিক্যাল ব্যক্তি নই, তাই আমি সঠিক বিবরণে যেতে পারছি না, কিন্তু তারপরও অন্যান্য চুক্তির সাথে তুলনামূলক যে তুলনা করা হয়েছে এবং তাতে দেখা গেছে- বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি নেয়া হয়েছে, মূলত চুক্তিতে বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। তাই আমরা বিশ্বাস করি যে- আবার আলোচনা করা উচিত, বিশেষ করে কয়লা কেনার প্রশ্নে। যে কোনো যুক্তিবাদী ব্যক্তিই বলবেন, এই প্রকল্পের জন্য বিশ্ববাজারে সম্ভাব্য সর্বোত্তম মূল্যে কয়লা কেনা উচিত। সেটা করা হয়নি। সুতরাং এইগুলো এমন ইস্যু যেখানে আমরা সম্ভবত আদানির সাথে ভালোভাবে আলোচনা করতে পারি এবং আমরা তা করতে চাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত