প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন কোনটা আগে হবে এটি রাজনৈতিক দলের বিষয়। কমিশন এখানে বির্তকে জাড়াবে না। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ১৬ লাখ মৃত ভোটার ভোট দিয়েছেন। তা যাচাই-বাছাই করে জুনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ হবে। এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের পরবর্তী রোডম্যাপ ঠিক করা হবে।’
গতকাল রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন। কক্সবাজার জেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন। সিইসি বলেন, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সব নির্বাচন সফল বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্বাচন আইন অনুযায়ী স্ব-স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। তিনি আরো বলেন, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কোয়ালিটি ভোটার তালিকা প্রয়োজন। আশা করা যায় এ বছরের জুন মাসের মধ্যে তা তৈরি করা হবে।
ডিসেম্বর ধরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি : আগামী ডিসেম্বর ধরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরকে সামনে রেখে তফসিল যাতে ঘোষণা করা যায়, সেই চেষ্টা করছে কমিশন। ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে জুলাই-আগস্টের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশন কারও কোন নির্দেশনায় কাজ করবে না। কমিশন স্বাধীন। কারও সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নেবে না। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না ইসি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রস্তাব জুনের মধ্যে ভোট করার বিষয়টি পরিষ্কার না। সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের সময় লাগবে। ঐকমত্যে পৌঁছালে প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে।’ দল নিবন্ধনের বিষয়ে
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, দল নিবন্ধনে সংস্কার কমিশনের দেয়া প্রস্তাবে ঐকমত্য হলে কাজ করবে কমিশন। দল নিবন্ধন আইন থাকতে হবে। এর কিছু সংযোজন বিয়োজন হতে পারে। মৃত ভোটারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মৃত ভোটারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাদ দেওয়া হচ্ছে। সংসদীয় সীমানা পুননির্ধারণে প্রায় ৪০০ আবেদন জমা পড়েছে জানিয়ে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আসন পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করে ইসি।