ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জ্বনতার কাতারে নাহিদ

জ্বনতার কাতারে নাহিদ

সদ্য পদত্যাগ করা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ক্ষমতা ছেড়ে জ্বনতার কাতারে এসে ৫৩ বছরের রাজ্বনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য নজির তৈরি করেছেন। তার এ পদত্যাগকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জাতীয় নাগরিক কমিটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখা হয়, ‘নাহিদ! আপনি বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবল এক দফার ঘোষক হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেননি। সরকারি গাড়ি, বাংলো, ভিআইপি প্রটোকল, ক্ষমতা সব ছেড়ে জ্বনতার কাতারে এসে আমাদের তিপ্পান্ন বছরের রাজ্বনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য নজির তৈরি করেছেন। জ্বনগণের প্রয়োজ্বনে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মন্ত্রিত্ব যে ছেড়ে দেয়া যায় সেটাই প্রমাণ করেছেন আজ্ব।’ তার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জ্বমা দেন সদ্য পদত্যাগ করা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজ্বনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। তার পদত্যাগের মধ্যদিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো। নাহিদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। তাকে নতুন দলের আহ্বায়ক করা হতে পারে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন এই রাজ্বনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। পদত্যাগপত্রে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। প্রথমেই আমি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জ্বনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করার জ্বন্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

‘বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগদানের জ্বন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। গত ৮ আগস্ট শপথ নেয়া উপদেষ্টা পরিষদে আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জ্বনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত মর্মে আমি মনে করি। ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া সমীচীন মনে করছি।’

নাহিদ ইসলাম আরো লিখেছেন, ‘এমতাবস্থায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করছি।’

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নতুন এই দলের আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে নাহিদ ইসলামকে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার জ্বন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জ্বনতার শক্তিকে সংহত করতে, সরকারে থাকার চেয়ে রাজ্বপথে তার ভূমিকা বেশি হবে। সেজ্বন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি নতুন রাজ্বনৈতিক দলেও তিনি অংশ নিতে আগ্রহের কথা জানান। পদত্যাগপত্র জ্বমা দেয়ার পর যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ্ব বেলা একটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি তার একটি ব্যক্তিগত বিষয় আলোচনা করেছেন এবং আলোচনা সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জ্বমা দিয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ সরকারের যেসব কমিটিতে তিনি ছিলেন, সেসব কমিটি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ৮ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথমে দুজ্বন (নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) এবং পরে আরও একজ্বনসহ (মো. মাহফুজ্ব আলম) মোট তিনজ্বন অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে দায়িত্ব নেন। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেই সময় দায়িত্ব গ্রহণ করা তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছিল। গত সাড়ে ছয় মাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাজ্ব করেছে, হয়তো আশানুরূপ ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার কাছে মনে হয়েছে সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে একটি নতুন রাজ্বনৈতিক শক্তির উত্থানের জ্বন্য আমার রাজ্বপথে থাকা প্রয়োজ্বন, ছাত্র-জ্বনতার কাতারে থাকা প্রয়োজ্বন। আমরা যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা করি, সেই আকাঙ্খার জ্বন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে যে ছাত্র-জ্বনতা অংশগ্রহণ করেছে, সেই শক্তিকে সংহত করতে, আমি মনে করেছি যে সরকারে থাকার চেয়ে সরকারের বাইরে থেকে রাজ্বপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে এবং বাইরে যে সহযোদ্ধারা রয়েছেন, তারাও এটি চান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি পদত্যাগপত্র জ্বমা দিয়েছি।’

গত সাড়ে ছয় মাসে কাজ্ব করে যাওয়ার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দুটি মন্ত্রণালয়ের বাইরেও অনেক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে কিছু কাজ্ব করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই কাজের ফলাফল হয়তো সামনে জ্বনগণ পাবে। ছয় মাস খুবই কম সময়, তারপরও তিনি চেষ্টা করেছেন। তার কাজ্ব, ফলাফল জ্বনগণ মূল্যায়ন করবে। আজ্বকে থেকে তিনি সরকারের কোনো দায়িত্বে নেই।

ছেড়ে দেয়া দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কে নিচ্ছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জ্ববাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটি উপদেষ্টা পরিষদ ঠিক করবে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে মনে করেছি আমার বাইরে প্রয়োজ্বন। এখনও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। বিচার ও সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছিল, ছাত্ররা এসেছিল, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে অন্য দুজ্বন (মাহফুজ্ব আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) রয়েছেন। তারা মনে করছেন, এখনো তাদের সরকারে দায়িত্ব রয়েছে। এখনও সরকারে থেকে জ্বনগণকে সার্ভ (সেবা) করবে। তারা রাজ্বনীতি করার প্রয়োজ্বন বোধ করলে তখন হয়তো সরকার থেকে ছেড়ে (পদত্যাগ) দেবেন।’

নতুন দলে অংশ নেয়ার জ্বন্য পদত্যাগ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, নতুন যে রাজ্বনৈতিক শক্তি ও দল গঠন হচ্ছে, আমি সেখানে অংশগ্রহণ করতে আমার অভিপ্রায় আছে। জ্বনগণের সঙ্গে মিশে আবারও জ্বনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ্ব করার লক্ষ্যে আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করেছি।’

নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, দলটির ঘোষণা ২৮ ফেব্রুয়ারি, সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিনই এটি জানা যাবে।

ছয় মাসের কাজের সফলতাণ্ডব্যর্থতা নিয়ে করা প্রশ্নের জ্ববাবে উপদেষ্টা থেকে পদত্যাগ করা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা ছিল। সেই সীমাবদ্ধতা কাটানোর চেষ্টা করেছি সব সময়। আমলাতান্ত্রিক জ্বটিলতা ছিল। আমরা এসে আমলাতন্ত্রকে যেভাবে পেয়েছি, এখানে পুলিশের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হয়েছে আন্দোলনের পরে। একই সঙ্গে জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা কাজ্ব করেছি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি জ্বনপ্রশাসনের একটি কমিটির দায়িত্বে দুই সপ্তাহের মতো ছিলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ছিলেন এবং দুর্নীতির সঙ্গে জ্বড়িত ছিলেন, তাদের সরানোর ব্যবস্থা-এ রকম কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার সামনের দিনগুলোতে জ্বনগণের যে আকাঙ্খা, গণ-অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে এবং দেশের যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্য নিরসনে সফলতা দেখাতে পারবে।’

এদিকে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে নাহিদ ইসলামকে ট্যাগ করে এই স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে সারিজিস বলেন, ‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার। রাজ্বপথে স্বাগতম, সহযোদ্ধা।’

৫০ মিনিটে সারজিসের স্ট্যাটাসে প্রায় ৮৩ হাজার রিঅ্যাক্ট এবং প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কমেন্ট পড়েছে। তার কমেন্টে বেশিরভাগ আইডি থেকে নাহিদ ইসলামকে রাজ্বপথে স্বাগতম জানানো হচ্ছে।

এদিকে, সদ্য পদত্যাগ করা অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বলছেন উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। পদত্যাগপত্র জ্বমা দেয়ার পর ফেসবুকে নাহিদ ইসলামকে নিয়ে এমন পোস্ট দেন অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

পোস্টে তিনি লেখেন, ???একদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনি বাজি ধরতে পারেন। তার আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জ্বমা দিয়েছি, সব কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজ্বন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেই। তখন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জ্বন্য দায়িত্ব গ্রহণ করা আমাদের কাছে মনে হয়েছিল যৌক্তিক। গত সাড়ে ছয় মাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কাজ্ব করছে। হয়তো আমরা আশানুরূপ ফলাফল এখনো পাইনি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সরকারে একটা স্ট্যাবিলিটি এসেছে।

সূত্রমতে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে আসছে নতুন একটি রাজ্বনৈতিক দল। সেই দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের নাম প্রায় চূড়ান্ত। নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। এ কারণেই রাষ্ট্রীয় পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

সূত্র জানিয়েছে, ‘ছাত্র-জ্বনতা পার্টি’, ‘জাতীয় বিপ্লবী শক্তি’, ‘বিপ্লবী জ্বনতা সংগ্রাম পার্টি’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী নাগরিক আন্দোলন’, নাহিদের যোগদান করতে যাওয়া নতুন দলের সম্ভাব্য নাম এই চারটি থেকে যে কোনো একটি হতে পারে।

ছাত্রনেতারা জানান, ১২০ থেকে ১৫০ সদস্যবিশিষ্ট নতুন দলের জ্বন্য এরইমধ্যে ৭০ জ্বনকে বাছাইসহ শীর্ষ নয়টি পদের জ্বন্য নয়টি নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। নাহিদ ছাড়াও দলের শীর্ষ পদে যাদের নাম শোনা গেছে তারা হচ্ছেন আখতার হোসেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ।

দলটি ‘মুষ্টিবদ্ধ হাত’, ‘হাতি’, ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ ও ‘ইলিশ’- এই চারটির যে কোনো একটি প্রতীকে নিবন্ধন নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ্ববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জ্বনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা মাহফুজ্ব আলম প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পরে উপদেষ্টা হন। ঢাকার বনশ্রীর ছেলে নাহিদ ইসলাম ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ্ববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত