দেশের প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শহিদদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহিদ পরিবারের সদস্যরা একান্ত প্রিয়জ্বন হারানোর এতগুলো বছর পরেও স্বজ্বন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেকগুলো বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে।’ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দিনে আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির সূর্য সন্তান, শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একই সঙ্গে তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ্ব করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমব্যথী হয়ে দেশ ও জ্বনগণ শহিদ পরিবার ও সকল নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে সেই আশাবাদ রাখছি একই সঙ্গে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জ্বন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্মঅহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’
ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির শহিদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। শহিদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও সব শহিদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’