ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিটি ও পৌর নির্বাচন দ্রুত হওয়া উচিত

বললেন আসিফ মাহমুদ
সিটি ও পৌর নির্বাচন দ্রুত হওয়া উচিত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত সময়ে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্বধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির চক্র থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বের করে আনার জ্বন্য কাজ্ব করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে পতিত ফ্যাসিস্ট দলের পালিয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ খাত সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার জ্বনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জ্বনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জ্ব রয়েছে। তবে সরকার জ্বনগণের সমস্যা নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর নির্বাচন দিতে চায়। এসময় তিনি রাজ্বনৈতিক নেতাদের জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে রাজ্বনীতির গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিব্রতকর বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত, একমাত্র শর্ত নয়। বিগত সরকার প্রথমবার অত্যন্ত জ্বনপ্রিয় হিসেবেই নির্বাচিত হয়ে এসেছিল। পরে বিতর্কিত নির্বাচনে হলেও তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এসেছিল। কিন্তু দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো দেশ নাই, যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কতটুকু দুর্বল ছিল। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ভয়াবহ দুর্নীতি ছিল। বর্তমান সময়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তারা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় দুর্নীতি নেই তা বলার সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস সরকার এ খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কার কমিশন তার রিপোর্ট জ্বমা দিয়েছে। এখন ঐকমত্য কমিশন তা বিবেচনা করবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয় ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার প্রশাসকসহ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত