ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলে দুই দফা হাইপারসনিক হামলা

* যুক্তরাষ্ট্রকে তেল রপ্তানি করতে দেবে না ইয়েমেন * ইসরায়েলের গভীরে হামলা অব্যাহত রাখবেন হুথিরা * গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজে হামলায় নিন্দার ঝড় * হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাব ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান * দাবানল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইসরায়েল * গাজায় আরও ৪৩ জন নিহত
ইসরায়েলে দুই দফা হাইপারসনিক হামলা

দখলদার ইসরায়েলের ওপর আরও দুই দফা আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি আনসার-আল্লাহর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী। গত শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে দুই দফা হামলা চালান তারা। এদিন এক বিবৃতিতে বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ইসরায়েলের হাইফা এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। হামলায় হাইপারসনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চালানো এই হামলা লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে। এরপর বিপুল সংখ্যক বসতি স্থাপনকারী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন। বিবৃতিতে ইয়েমেনি বাহিনী আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে জরুরি ভিত্তিতে গাজা উপত্যকায় আরোপিত অবরোধের অবসান ঘটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ইয়েমেনি বাহিনী জানায়, মার্কিন আগ্রাসন লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজগুলোর ওপর তাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, গাজাযুদ্ধের অবসান এবং উপত্যকা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে এবং অভিযান চলতে থাকবে। শুক্রবারের আগে ইয়াহিয়া সারি জানান, তারা হাইফা এলাকার কাছে রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটিতে ‘প্যালেস্টাইন-টু’ হাইপারসনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল দিয়ে আঘাত হেনেছেন। তিনি জানান, আল্লাহর রহমতে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং শত্রুদের ইন্টারসেপ্টর সিস্টেমগুলো এটিকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলাগুলো চালায় ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রকে তেল রপ্তানি করতে দেবে না ইয়েমেন : যুক্তরাষ্ট্রের তেল রপ্তানির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইয়েমেন। সানার হিউম্যানিটারিয়ান অপারেশন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টার গতকাল শনিবার সকালে জানিয়েছে, সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছেন তারা। আগামী ১৭ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ইয়েমেনজুড়ে অব্যাহত মার্কিন বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কোঅর্ডিনেশন সেন্টার। তারা জানান, বেমাসরিক নাগরিক ও অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে চালানো এসব হামলায় নারী-শিশুসহ ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিবৃতিতে সেন্টার সতর্ক করেছে, এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী কোম্পানিগুলো ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকারীদের তালিকায় যুক্ত হবে। এসব কোম্পানির মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজগুলোকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দেব প্রণালী, এডেন উপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক জলসীমা দিয়ে যাতায়াতে বাধা দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের গভীরে হামলা অব্যাহত রাখবেন হুথিরা : হুথি আনসার-আল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুথি বলেছেন, তার দেশে ইসরায়েলের সমর্থনেই মার্কিন বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এটি ইয়েমেনি জাতি এবং দখলদার সরকারের মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধের অংশ। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, ইসরায়েলের গভীরে কৌশলগত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ইয়েমেনিদের হামলা অব্যাহত থাকবে। মার্কিন সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই তাদের থামাতে পারবে না। আল-হুথি বলেন, আমাদের নৌ-অভিযানও অব্যাহত থাকবে এবং লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দেব প্রণালী, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে ইসরায়েলসম্পৃক্ত জাহাজগুলোর চলাচল একেবারেই অনুমোদিত হবে না। গাজা সংঘাতের বিষয়ে হুথি প্রধান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এই সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি পরিবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এই ভয়াবহ গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের প্রতিরোধ সংগ্রামের পক্ষে আমাদের অবস্থানে কোনো ধরনের হেরফের হবে না।

গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজে হামলায় নিন্দার ঝড় : গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ ঘটনা ঘটে। গাজায় টানা ইসরায়েলি অবরোধের জেরে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর অভাবে ধুঁকতে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এই ত্রাণ সংগ্রহ এবং পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন বা ট্রিপল এফ। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুটি সশস্ত্র ড্রোন জাহাজের সামনের দিকে আঘাত হানে। এতে জাহাজে আগুন ধরে যায় এবং বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্রিপল এফ বলেছে, আমাদের জাহাজটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক ও নিরস্ত্র। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী ছিল সেখানে। মাল্টা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজের মূল ইঞ্জিন ও জেনারেটরে আঘাত লেগেছে। জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল, তবে মাল্টার নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় রাত ১টা ২৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জাহাজে মোট ১২ জন ক্রু এবং চারজন বেসামরিক যাত্রী ছিলেন; তাদের সবাই অক্ষত আছেন। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামাস এই ঘটনাকে ‘জলদস্যুতা ও সংগঠিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ অভিহিত করে ইহুদিবাদী বর্বরতার বিরুদ্ধে বৃহত্তর লড়াইকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের অন্য প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদ বলেছে, ইসরায়েল নির্মমভাবে অনাহারকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে; এটি তারই নিকৃষ্টতম উদাহরণ। লেবাননের হিজবুল্লাহ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সহায়তায় ইসরায়েল হত্যা ও অবরোধের নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু আরব রাষ্ট্রের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারা। গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজে হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের মুজাহিদিন মুভমেন্ট, পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন এবং পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটি।

হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাব ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান : হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা আবদেল রহমান শাদিদ জানিয়েছেন, গত ১৭ এপ্রিল হামাস একটি বিস্তৃত ও ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তির নিমিত্তে স্পষ্ট ও দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করলেও ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। শাদিদ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করেন, প্রস্তাবিত চুক্তিতে গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের স্থায়ী অবসান, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহার, অবরোধ তুলে নেওয়া, মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ ও গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জানান, প্রস্তাবে একটি বিস্তৃত বন্দিবিনিময় চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার ফলে সব ইসরায়েলি বন্দির একসঙ্গে মুক্তি এবং এর বিনিময়ে সম্মত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথা। এতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সম্মতিসাপেক্ষে পাঁচ বছর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের কথাও ছিল। শাদিদ বলেন, তাদের প্রস্তাব ছিল, এই প্রশাসনিক কমিটি নিরপেক্ষ টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত হবে, যাদের পূর্ণ কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং নিরাপত্তা ও অন্য পরিষেবা প্রদান করবেন। শাদিদ উল্লেখ করেন, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার সমন্বিত চুক্তির খণ্ডিত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়। দখলদাররা যুদ্ধ সমাপ্তির প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হত্যা, অনাহার ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়াকে তারা অগ্রাধিকার দেয়। এমনকি, নিজেদের বন্দি মুক্তিতেও তাদের আগ্রহ ছিল না।

দাবানল পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইসরায়েল : গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে ইসরায়েলে। দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। ভয়াবহ আগুনে প্রায় ৫ হাজার একর বা ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেশটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি না হলেও প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবরে বলা হয়, গত বুধবার জেরুজালেমের উপকণ্ঠে এশতাওল বনে বিশাল আকারের দাবানলের সূত্রপাত হয়। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া এবং তীব্র বাতাসের কারণে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জেরুজালেমের আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পাইন বনাঞ্চল জ্বলতে থাকে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এটিকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক অগ্নিকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন কর্মকর্তারা। ইসরায়েলের বন ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, দাবানলের দ্রুত বিস্তারের কারণ, এই শীত মৌসুমে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়েছে এবং আবহাওয়া অত্যন্ত গরম ও শুষ্ক ছিল। তাছাড়া অত্যন্ত শক্তিশালী বাতাসের কারণে আগুনের দিক পরিবর্তন হতে থাকে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। দাবানলে বনভূমির সঙ্গে বিশাল কৃষিজমিও পুড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক ইউনিট এবং বহু বিমান ব্যবহার করা হয়। এর আগে ২০১০ সালে ইসরায়েলের উত্তরে মাউন্ট কারমেলে এক ভয়াবহ দাবানল চার দিন ধরে জ্বলতে থাকে। এতে ৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং ১২ হাজার একর বনাঞ্চল পুড়ে যায়।

গাজায় আরও ৪৩ জন নিহত : অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। আহত হয়েছেন আরও ৭৭। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫২ হাজার ৪১৮ এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১-তে পৌঁছেছে। এই হতাহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। গাজার মিডিয়া অফিসের আপডেট তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-রও বেশি হবে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়া হাজার হাজার মানুষ আর বেঁচে নেই বলেই ধারণা করছেন তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত