ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা

ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা

ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় বুধবার লাগাতার গোলাবর্ষণ করেছেন পাকিস্তানি সেনারা। এ ঘটনায় এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। নিহত ওই ভারতীয় সেনার নাম দিনেশ কুমার। বুধবার রাত ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সীমান্ত সংঘাতে নিহত ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাটসহ উত্তর ও পশ্চিমের ১৫টি শহরে অবস্থিত সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তান, তবে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেগুলো নিস্ক্রিয় করে দিয়েছে বলে দাবি নয়াদিল্লির। দেশটি বলেছে, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চন্ডিগড় ও অন্যান্য স্থানের সামরিক স্থাপনাকে নিশানা বানিয়ে ইসলামাবাদের করা এ হামলাচেষ্টার প্রত্যুত্তরে ভারতীয় বাহিনীগুলো লাহোরসহ একাধিক স্থানে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ কোর বা হোয়াইট নাইট কোর এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ‘কোরের জিওসি ও সব সদস্য ফাইভ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমারের চূড়ান্ত আত্মত্যাগকে সম্মান জানাচ্ছে।’ খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি সেনারা বুধবার সারা দিন সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করে, বিশেষ করে কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় হামলার পর থেকেই সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। সবচেয়ে বেশি গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাটি, শাহপুর ও মানকোট এবং রাজৌরির লাম, মাঞ্জাকোট ও গম্ভীর ব্রাহ্মণা এলাকায়। উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লার উরি সেক্টর ও কুপওয়ারার তাংধার সেক্টরে পাকিস্তানের তীব্র গোলাবর্ষণে একাধিক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলা বারামুল্লা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভেতরে গিঙ্গাল গ্রাম পর্যন্ত আঘাত হানে। এতে অন্তত ১১ জন আহত হন, যাদের বেশির ভাগই সালামাবাদ এলাকার বাসিন্দা। উরির এক বাসিন্দা বলেন, ‘তীব্র গোলাবর্ষণে আমরা বাঙ্কারে ঢুকে পড়ি। এর কিছু সময় পর গোলাবর্ষণের তীব্রতা বেড়ে যায়। ২০২১ সালে যুদ্ধবিরতি নবায়নের পর এটাই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।’ ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে অবস্থান নিয়েছেন। সীমান্ত থেকে দূরবর্তী এলাকার আরও অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কামালকোট, সালামাবাদ, দাচনা ও গিঙ্গাল গ্রামে পাকিস্তানের গোলা আঘাত হানে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোলার আঘাতে অন্তত ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শহিদদের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেব : শাহবাজ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতের হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার বদলা নেবে তার দেশ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে শপথ করছি, আমরা আমাদের নিরপরাধ শহিদদের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেব।’ বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতকে বিমান হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে। তারা ভেবেছিল, পাকিস্তান পিছু হটবে’; কিন্তু তারা ভুলে গেছে, আমরা বীরের জাতি, আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে প্রস্তুত।’ এদিকে, কঠিন মুহূর্তে সংহতি ও সমর্থন দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। এক্সে তিনি বলেন, ‘ভারতের জঘন্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শহিদদের জন্য তুর্কি ভাইয়েরা আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেছেন।’ ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সেনাদের সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের শ্রেষ্ঠত্ব বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

২৫ ইসরায়েলি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করলেন পাক সেনারা

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বুধবার রাত থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত দেশটিতে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’ সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘৬ মে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও একাধিক ড্রোন ধ্বংস এবং কয়েকজন সেনার মৃত্যুতে ভারত আতঙ্কে ভুগছে।’ ‘শত্রুর প্রতিটি অশুভ পরিকল্পনা নস্যাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। যেকোনো আগ্রাসনের মোকাবিলা ও জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সক্ষম’, বলেছে সশস্ত্র বাহিনী।

এর আগের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানে আবারও হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আজাদ কাশ্মীরে হামলার পর বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে অন্তত দুটি স্থানে ড্রোন হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানের উর্দু ভাষার সম্প্রচারমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লাহোরের ওয়ালটন রোডে একাধিক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে গোপালনগর ও নাসিরাবাদ এলাকায় মূলত বিস্ফোরণ ঘটে। আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারা আকাশে ধোঁয়া দেখতে পান বলে জানান। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে একটি ভারতীয় গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ড্রোনটির আকার ছিল প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট এবং এটি সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল বলে জানানো হয়। সূত্র বলছে, ড্রোনের সিস্টেম জ্যাম করে এটিকে গুলি করে নামানো হয়। সূত্র আরও জানায়, ড্রোনটি সংবেদনশীল স্থানের ওপর নজরদারি করছিল এবং এতে বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।

এদিকে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালাতে ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে জিও নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, গুজরানওয়ালার ডিঙ্গা এলাকায় একটি ড্রোন পাঠায় ভারত। পাকিস্তানি মিসাইলের আঘাতে এটি সেখানকার একটি মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে। এরপর পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি রেস্তোরাঁয় বসে তারা খাবার খাচ্ছিলেন। তখন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান। তবে এ ড্রোনের আঘাতে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সামাজিকমাধ্যমে গুজরানওয়ালার আকাশে ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, একটি ড্রোন শহরটির দিকে আসছে। তখন ড্রোনটি ভূপাতিত করতে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়ে পাকিস্তান। তারা সফলভাবে এটি ভূপাতিত করতে সমর্থ হন।

ভারতের ২১ বিমানবন্দর বন্ধ

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর যাত্রীবাহী ফ্লাইটের জন্য আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সরকারের তরফে এই ঘোষণা আসে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে আসা একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান-এ জানানো হয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলো ১০ মে সকাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচলের বাইরে থাকবে। এই তালিকায় জম্মু-কাশ্মীর ও লেহ-এর পাশাপাশি পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাট রাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর রয়েছে। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ রুটে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির এয়ারলাইন্সগুলো।

করাচি, লাহোর, শিয়ালকোটের আকাশপথ বন্ধ

পাকিস্তানের বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণে করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথ সাময়িকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে জারি করা ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’-এ জানানো হয়েছে, করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোটের আকাশপথ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এয়ারস্পেস বন্ধ থাকায় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একাধিক ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। মদিনা থেকে লাহোরগামী একটি ফ্লাইট করাচিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, মুলতান থেকে লাহোরগামী অপর একটি ফ্লাইটও করাচিতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আলোচনা

চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে যোগাযোগের তথ্য জানান। তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চলমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে কথা হয়েছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।’ সম্প্রতি পাকিস্তান ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আসিম মালিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ওদিকে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন অজিত দোভাল।

বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চান ট্রাম্প

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধাবস্থা নিরসনে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, তিনি চান ভারত ও পাকিস্তান এখনই একে অপরের ওপর হামলা বন্ধ করুক এবং এই দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে তিনি তাদের বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি চাই এটা বন্ধ হোক। আর যদি আমি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, আমি করব।’ এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘এটা লজ্জাজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ অতীতের ওপর ভিত্তি করে জানত যে কিছু ঘটতে চলেছে। কারণ উভয় পক্ষই বহু দশক এবং শতাব্দী ধরে লড়াই করে আসছে। তবে আমি আশা করি, এটি খুব দ্রুত শেষ হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত