ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাজনীতিতে নির্বাচনি উত্তাপ

রাজনীতিতে নির্বাচনি উত্তাপ

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংস্কার ও সংবিধান সংশোধনের জোরালো দাবি তোলে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, সেসব দাবি বাস্তবায়ন ছাড়াই আগেভাগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে দিনে দিনে উত্তাপ বাড়ছে।

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়। আর অন্যদিকে সংস্কার ছাড়া এবং বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে এমন বিভেদ সৃষ্টির পর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কোনপথে এগোবে তা এখনই চূড়ান্ত করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপি ও বিএনপিমনা কিছু রাজনৈতিক দল অনেক দিন ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি সুনির্দিষ্ট মাস ঘোষণার পর বিএনপিকে সন্তুষ্ট দেখা যাচ্ছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামীমনা কিছু রাজনৈতিক দল সংস্কারের জায়গায় অনড় অবস্থানে রয়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সময় বলেছেন, সেই সময়েই নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে অন্য কারও বলার কিছু নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না বলে যে দাবি করছে, তার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, তার উপরে আমাদের কারও কিছু বলার নেই। তিনি যেই মাসে বলেছেন, ওই মাসেই নির্বাচন হবে। কে কী বলল, তা শোনার আমাদের দরকার নেই।

গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এবারও বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হবে। আজকে যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়, তারা হয়তো কোনো না কোনো কারণে নিজের কথাগুলো ইনিয়ে বিনিয়ে বলছেন যাতে করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য তারা সবসময় ঐক্যবদ্ধ।

তবে নির্বাচন নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সালাহউদ্দিন বলেন, যারাই নির্বাচন বিলম্বের জন্য বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে দেশের জনগণ। যারা ভিন্ন রকম যুক্তি তুলে গণতন্ত্রের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়।

শনিবার নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর লিডারশিপ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পৃথিবীতে যতগুলো পদ্ধতি চালু আছে, তারমধ্যে পিআর পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে ইনশাআল্লাহ। দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাব ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। প্রতিটি ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভোটের যেভাবে মূল্যায়ন হবে, একজন রিকশাওয়ালার ভোটেরও সেই মূল্যায়ন হবে। পিআর পদ্ধতিতে কোয়ালিটি সম্পন্ন সংসদ তৈরি হবে।’ মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) জামায়াতে ইসলামী নতুন করে চাইছে না। আমাদের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দুটি পদ্ধতির কথা বলে গেছেন। এরমধ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যটি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। বিগত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তেমনি সবদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিও প্রতিষ্ঠিত হবে। বিশ্বের ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে।’ পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, ‘যখন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেছি। একটি সময় কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) পদ্ধতি কেউ মানতে চাননি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জুলাই স্মৃতিচারণ পরিচালনা পর্ষদ’ নামের একটি সংগঠনের জুলাই স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে এনসিপি অংশগ্রহণ করবে না। আমাদেরকে মুলা ধরিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সেইফ এক্সিট নিতে চেয়েছে আমাদের সবার গলায় ফাঁস দিয়ে। সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে, নিজে সেইফ এক্সিট নেওয়ার জন্য।’ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এই জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা জুলাই যোদ্ধা সবাই একেক জন দেশদ্রোহী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিয়ে সরকার আমাদের ফাঁসিতে ঝোলাতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাদের বলে, আমরা নাকি জুলাইয়ের গাদ্দার! জুলাইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বড় গাদ্দারি করেছে বর্তমান ইন্টেরিম সরকার।’ এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে, সে সংবিধানকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে ১০৬ নং অনুচ্ছেদের অধীনে। কিন্তু সে ১০৬নং অনুচ্ছেদের অধীনে তাকে কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকার গর্তে ঢুকে গেছে সেইফ এক্সিট কীভাবে নেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে আবার ১০৬ অনুচ্ছেদে নতুন একটা বিধি যুক্ত করে হাইকোর্টের রায় এনে একটা নির্বাচন দেবে।’ হান্নান মাসউদ আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থানের পর হয়েছে। তারা নতুন একটি সংবিধান দেবে। তারা পুরানো সংবিধানের অধীনে এখন নির্বাচন দিতে চায়। অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, সেভাবে কমিশন গঠন করে কী এবারও নির্বাচন হবে? আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চেয়েছি। সেটি নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এসব সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।’

গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিবার্চন অনুষ্ঠানের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে নির্বাচন হওয়া জরুরি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।

সরকার না চাইলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে। সব পক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ভোটাররা এবার নিঃসংকোচে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো টাকার খেলায় মত্ত থাকলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মুখ্য হলেও প্রার্থী, ভোটার, নাগরিক সমাজ, সংবাদমাধ্যমসহ সব অংশীজনের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ সংসদ নির্বাচনে পিআর ও আসনভিত্তিক উভয় পদ্ধতিরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পদ্ধতিতে আসনভিত্তিক নির্বাচনের মাধ্যমে নিম্নকক্ষ গঠন এবং আনুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। নির্বাচনের সময় ঘোষণা হলেও জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়নি। সনাতন নাকি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে এখনও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ শেষ হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় জুলাই সনদে স্বাক্ষরসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নতুনভাবে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সরকার ঘোষিত সময় অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচন করা সম্ভব না হলে দেশ এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। তাই গণতন্ত্র, দেশ ও জাতির স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে যার যার অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের গতিকে বেগবান করা উচিত। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটারসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

পিআর পদ্ধতিতে কিছু দলের দ্বিমত আশাহত করে- ইসলামী আন্দোলন : গতকাল শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে প্রত্যাশা ছিল আইনি সংস্কার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার হবে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শুদ্ধতা আসবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। কিন্তু সংস্কার নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের মনোভাব, পিআর পদ্ধতিতে একমত না হওয়া এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহিংসতার পুরোনো চিত্র আমাদের আশাহত করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি ও ভোটকেন্দ্রিক সহিংসতা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন হয়নি এবং দেশ ক্রমান্বয়ে স্বৈরতন্ত্রের দিকে গিয়েছে। যার চূড়ান্ত ও নগ্ন রূপ দেখেছি গত ১৫ বছরে। মহাসচিব বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বসে থাকবে না। আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা যা করতে হয় তাই করব। কাউকেই ভোট চুরি বা ডাকাতি করতে দেওয়া হবে না। কেউ অবৈধ ভোট দিতে চাইলে তাকে প্রতিহত করা হবে। কেউ মাস্তানি করতে চাইলে তাকে শায়েস্তা করা হবে। সেজন্য সারাদেশের সব শাখার সাংগঠনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হবে।

কর্মশালায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহা-সচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা দেশের একটা শাখাতেও নিয়মতান্ত্রিক কমিটি করতে পারেনি। কমিটি দিতে গেলে সহিংসতা শুরু হবে, যা বিএনপির নেতৃত্ব সামাল দিতে পারবে না। এই অনিয়ন্ত্রিত ও সহিংসতাপ্রবণ দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। সেজন্য সাংগঠনিক মজবুতি, দাওয়াতি কার্যক্রম ও নির্বাচনি কৌশল আয়ত্বে আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত