ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আচরণবিধি লঙ্ঘন, ব্যানার সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

আচরণবিধি লঙ্ঘন, ব্যানার সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় বিভিন্ন প্যানেলের ব্যানারগুলো সরিয়ে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে টাঙানো ব্যানারগুলো নামিয়ে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। গত ২৬ আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন টিএসসি, সামাজিক বিজ্ঞান চত্বর, চারুকলা, হলপাড়া এবং কার্জন হলে ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, স্বতন্ত্র জামালুদ্দীন খালিদ ও এনসিপির বহিষ্কৃত মাহিন সরকারের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’, উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ব্যানার টাঙাতে দেখা যায়। আচরণবিধি অনুযায়ী, যেকোনো হ্যান্ডবিল, পোস্টার, লিফলেট বিলি করা যাবে। তবে ক্যাম্পাসের কোথাও এগুলো টাঙানো কিংবা প্রদর্শন করা যাবে না।

গত ২৬ আগস্ট চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আচরণবিধির ধারা-৭(ক) অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কেবলমাত্র সাদা কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। পিভিসি/কাপড় বা অন্য কোনো মাধ্যমে ছাপানো বা লেখা ব্যানার/ফেস্টুন/বোর্ড টাঙানো যাবে না।

যেসব প্রার্থী ইতিমধ্যে ব্যানার/ফেস্টুন/বোর্ড টাঙিয়ে প্রচার চালাচ্ছে, তাদেরকে অনতিবিলম্বে তা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। টিএসসিতে ব্যানার নামানোর সময় উপস্থিত ছিলেন টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের আচরণবিধিতে এটা নেই, ওরা না জেনে লাগিয়েছে। তাই আমরা সরিয়ে নিচ্ছি। ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, বোর্ড এগুলো থাকবে না। কোথাও স্টিকারও লাগানো যাবে না। শুধু সাদা কালো হান্ডবিল, লিফলেট বিলি করা যাবে। এর পরবর্তী যদি কেউ লাগায়, আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেব।

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে: হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে জালাল আহমদের বিরুদ্ধে ঢাবি প্রশাসন শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করে। এরপর সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে রবিউল হক নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেন জালাল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাগ-বিতণ্ডার জেরে রুমমেট রবিউলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন জালাল। আহত রবিউল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন রবিউল হক বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। এতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করবে না, ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ ও বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আঘাত করা শুরু করে। আমি কোনোরকমে নিজেকে রক্ষা করি। ঘটনার পর জালাল আহমদকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাত ১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে (জালাল) হল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তার ছাত্রত্ব বাতিলেরও ব্যবস্থা করা হবে। জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী। আর আহত রবিউল হক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে আপত্তি এজিএস প্রার্থীর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ ঘিরে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ পরিষদের এজিএস প্রার্থী অদিতি ইসলাম। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেন।

অদিতি লিখেছেন, “প্রশাসন বলছে প্রবেশমুখের সাতটি পয়েন্টে সেনারা থাকবে ‘স্ট্রাইকিং পজিশনে’। প্রশ্ন হচ্ছে, কাকে আঘাত করার জন্য এই অবস্থান? এ সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে শঙ্কিত করবে এবং ভোটারদের, বিশেষ করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করবে।” তিনি করেন, “অতীতে সেনা বা আধাসামরিক বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা আছে। ২০০৭ সালের আগস্টে জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার পর আন্দোলনের মুখে সেনাদের ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত