
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শুরু করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে অংশ নেবেন। এগুলো হলো- ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি আসনে অংশ নেবেন, সেটি হলো বগুড়া-৬। এছাড়া ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন করবেন বলে জানানো হয়। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। নির্বাচনে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিন আসন থেকে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন আসন থেকে নির্বাচন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জানা গেছে, ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন, এ তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন। তবে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তারেক রহমান এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার পর দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
প্রথমবার নির্বাচন করছেন তারেক রহমান, আসন বগুড়া-৬ : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বগুড়া-৬ আসন থেকে ভোটের মাঠে নামবেন। এটি বগুড়া জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ৪১ নম্বর আসন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে খালেদা জিয়া বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকে অংশ নেন। সবগুলো আসনে থেকে জয়ী হওয়ার পরও তিনি ফেনী-১ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেচে নেন ও এর ফলে বাকি দুই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এপ্রিল ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে বিএনপির জমির উদ্দিন সরকার নির্বাচিত হন। তবে এবার বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হবেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রার্থী হন আওয়ামী লীগের রাগিবুল আহসান রিপু। পরে এ আসন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরকে ছেড়ে দেওয়া হলে নৌকার প্রার্থী রিপু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
২৩৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা- রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড়-১: ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির, পঞ্চগড়-২: ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩: মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জাহিদ, দিনাজপুর-৩: বেগম খালেদা জিয়া, দিনাজপুর-৪: মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান মিয়া, নীলফামারী-২: এএইচএম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ রুবেল, নীলফামারী-৪: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর সরকার, লালমনিরহাট-১: মোহাম্মদ হাসান রাজীব প্রধান, লালমনিরহাট-৩: আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-১: মোকাররম হোসেন সুজন, রংপুর-২: মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩: শামসুজ্জামান শামু, রংপুর-৪: মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৫: মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, রংপুর-৬: মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১: সাইফুল ইসলাম রানা, কুড়িগ্রাম-২: মোহাম্মদ সোহেল হোসেন কায়কোবাদ, কুড়িগ্রাম-৩: তাসভীরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, গাইবান্ধা-২: আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা-৪: মোহাম্মদ ফারুক আলম সরকার।
রাজশাহী বিভাগ : জয়পুরহাট-১: মোহাম্মদ মাসুদ রানা প্রধান, জয়পুরহাট-২: আব্দুল বারী, বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪: মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫: মোহাম্মদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬: তারেক রহমান, বগুড়া-৭: বেগম খালেদা জিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, নওগাঁ-১: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২: শামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩: ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ-৪: একরামুল বারী টিপু, নওগাঁ-৬: শেখ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, রাজশাহী-১: মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, রাজশাহী-২: মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩: মোহাম্মদ শফিকুল হক নজরুল ইসলাম, রাজশাহী-৬: আবু সাঈদ চাঁদ
নাটোর-১: ফারজানা শারমিন, নাটোর-২: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৪: মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-২: ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩: আইনুল হক, সিরাজগঞ্জ-৪: এস এম আকবর আলী, সিরাজগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৬: এম এম মহিত, পাবনা-২: এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩: মোহাম্মদ হাসান জাফির তুহিন, পাবনা-৪: হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা-৫: মোহাম্মদ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ।
খুলনা বিভাগ : মেহেরপুর-১: মাসুদ অরুণ, কুষ্টিয়া-১: রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২: রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩: মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪: মোহাম্মদ মেহেদী আহমেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১: মো. শরীফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা-২: মাহমুদ হাসান খান, ঝিনাইদহ-৩: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, যশোর-১: মোহাম্মদ মফিজুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২: মোহাম্মদ সাবিরা সুলতানা, যশোর-৩: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪: টি এস আইয়ুব, যশোর-৫: স্থগিত, যশোর-৬: কাজী রওনাকুল ইসলাম, মাগুরা-১: মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মাগুরা-২: নিতাই রায় চৌধুরী, খুলনা-২: নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩: রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪: শরীফ শাহ কামাল তাজ, খুলনা-৫: মোহাম্মদ আলী আজগর, খুলনা-৬: মনিরুল হাসান বাপ্পী, সাতক্ষীরা-১: হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২: আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩: কাজী আলাউদ্দিন।
বরিশাল বিভাগ : পটুয়াখালী-১: এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৪: এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-১: গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা-২: মোহাম্মদ হাফিজ ইব্রাহিম
ভোলা-৩: মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ভোলা-৪: মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, বরিশাল-১: জহিরউদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২: সরদার শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪: মোহাম্মদ রাজিব হাসান, বরিশাল-৫: মোহাম্মদ মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬: আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১: পরে ঘোষণা করা হবে, ঝালকাঠি-২: ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, পিরোজপুর-১: পরে ঘোষণা করা হবে, পিরোজপুর-২: আহমেদ সায়েম মনজুর, পিরোজপুর-৩: মোহাম্মদ রুহুল আমিন দুলাল।
ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, টাঙ্গাইল-২: আব্দুস সালাম পিন্টু, টাঙ্গাইল-৩: এ এস এম উবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৪: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৬: রবিউল আউয়াল লাভলু, টাঙ্গাইল-৭: আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জামালপুর-৩: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪: মোহাম্মদ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫: শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ারেস আলী মামুন, শেরপুর-১: সানসিলা জেবরিন, শেরপুর-২: মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী, শেরপুর-৩: মোহাম্মদ মাহমুদুল হক রুবেল, ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ ইমরান সালেহ, ময়মনসিংহ-২: মোতাহের হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ-৩: এম ইকবাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৫: মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-৬: মোহাম্মদ আক্তারুল আলম, ময়মনসিংহ-৭: ডাক্তার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৮: লুৎফুল্লাহেল মাজেদ, ময়মনসিংহ-৯: ইয়াসের খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১: ফখরুদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনা-১: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-২: মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩: রফিকুল ইসলাম হেলালী, নেত্রকোনা-৪: মোহাম্মদ লুৎফুজ্জামান বাবর, নেত্রকোনা-৫: আবু তাহের তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-২: অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩: ডক্টর ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪: মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৬: মোহাম্মদ শরিফুল আলম, মানিকগঞ্জ-২: মঈনুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-৩: আফরোজা খান রিতা, মুন্সিগঞ্জ-১: শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুন্সিগঞ্জ-২: মিজানুর রহমান সিনহা, ঢাকা-১: খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৫: নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১: এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২: সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৪: সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫: শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬: আমিনুল হক, ঢাকা-১৯: ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, গাজীপুর-২: মনজুরুল করিম রনি, গাজীপুর-৩: অধ্যাপক ডাক্তার এ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর-৪: শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫: ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী-১: খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-২: ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৪: সরদার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, নরসিংদী-৫: ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বকুল, নারায়ণগঞ্জ-১: মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, রাজবাড়ী-১: আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, ফরিদপুর-২: শামা ওবায়েদ ইসলাম, ফরিদপুর-৩: নায়াব ইউসুফ আহমেদ, ফরিদপুর-৪: শহিদুল ইসলাম বাবুল, গোপালগঞ্জ-১: মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান মোল্লা, মাদারীপুর-১: কামাল জামাল মোল্লা, মাদারীপুর-৩: আনিসুর রহমান, শরীয়তপুর-১: সৈয়দ আহমেদ আসলাম, শরীয়তপুর-২: শফিকুর রহমান কিরণ, শরীয়তপুর-৩: মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু।
সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জ-১: আনিসুল হক, সুনামগঞ্জ-৫: কলিমউদ্দিন মিলন, সিলেট-১: খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সিলেট-২: মোসাম্মৎ তাহসিনা রুশদীর, সিলেট-৩: মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সিলেট-৬: ইমরান আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১: নাসিরউদ্দিন আহমেদ মিঠু, মৌলভীবাজার-২: শওকত হোসেন শকু, হবিগঞ্জ-২: আবু মনসুর শাখাওয়াত হাসান জীবন
চট্টগ্রাম বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: এ কে এম হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: পরে ঘোষণা করা হবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: খালেদ হোসেন মাহবুব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: মুশফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা-১: ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৩: কাজী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ, কুমিল্লা-৪: মঞ্জুরুল ইসলাম মুন্সী, কুমিল্লা-৫: মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা-৮: জাকারিয়া তাহের, কুমিল্লা-৯: মোহাম্মদ আবুল কালাম, কুমিল্লা-১০: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর, চাঁদপুর-১: আ ন ম এহছানুল হক মিলন, চাঁদপুর-২: মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
চাঁদপুর-৩: শেখ ফরিদ হোসেন, চাঁদপুর-৪: মোহাম্মদ মোমিনুল হক, নোয়াখালী-২: জয়নাল আবেদীন ফারুক, নোয়াখালী-৩: মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪: মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬: মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান সামি, লক্ষ্মীপুর-৩: শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম-১: নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২: সরোয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৫: মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮: এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩: সরোয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬: মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, কক্সবাজার-১: সালাউদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার-৩: লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪: শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি: আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, রাঙ্গামাটি: দীপেন দেওয়ান, বান্দরবান: সাচিং প্রু।
যে কারণে ৬৩ আসন ফাঁকা রাখল বিএনপি : বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে পাশে থাকা সমমনা দলগুলোর জন্য বেশিরভাগ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘটতে পারে এ কারণে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর পরে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা জাতীয় সংসদের নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম ও লড়াই করেছি।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করার জন্য এবং আগামী আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব ইউনিট ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা দেশের ২৩৭টি আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই যে আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে করেছেন, যেসব আসনে তারা আগ্রহী; সেসব আসনে আমরা কোনো প্রার্থী দেইনি। আমরা আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের নাম ঘোষণা করবেন। সেগুলো আমরা চূড়ান্ত করব।’ তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা। এরমধ্যেও পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এ পরিবর্তন আনতে পারি। অথবা যদি স্ট্যান্ডিং কমিটি বা পার্লামেন্টারি বোর্ড মনে করে তারা কোনো আসনে পরিবর্তন আনবেন, নিঃসন্দেহে যে নিয়মগুলো আছে সেগুলো মেনে আমরা পরিবর্তন আনতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দিচ্ছি এটাকেই ধরে নিতে হবে সবচেয়ে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট তালিকা।’
এর আগে গত রোববার দলীয় এক কর্মসূচিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন। বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দেশ এবং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাটিকে মেনে নিবেন দয়া করে। দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করবেন।
যে ৬৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি: ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২,বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২, পটুয়াখালী-৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাংগাইল-৫ ও ময়মনসিংহ-১০।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৪, সিলেট-৪, সিলেট-৫, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষীপুর-১, লক্ষীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৫ ও কক্সবাজার-২।
সূত্রমতে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে।
এসব দলের জন্য আসন আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে। এ ছাড়া অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণে ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক জানিয়েছেন। তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারো কারো আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।