
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচটি কোনোভাবেই বাংলাদেশ এবং ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ, আগেই এই দুই দল বাছাই পর্ব থেকে ছিটকে পড়েছে। তবে ঢাকা স্টেডিয়ামের ম্যাচটি ছিল মর্যাদার লড়াই। এই ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছেন হামজা-শামিতরা। যে দলে হামজা চৌধুরী এবং শামিত সোমদের মতো ফুটবলার রয়েছেন, সেই দল থেকে বাংলাদশের দর্শকরা জয় আশা করতেই পারে। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকা স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেখ মোরসালিন করেন গুরুত্বপূর্ণ গোলটি। ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশের পোস্ট লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ সাজাচ্ছিল ভারত। কিন্তু ১২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে তিনজনকে কাটিয়ে ভারতের বক্সে ঢুকে যান রাকিব। বাম দিক থেকে রাকিব যে ক্রসটি নেন, তাতে দুর্দান্তভাবে কানেক্ট করেন মোরসালিন। ভারতীয় গোলরক্ষক এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গোল। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া ভারত অনেকবার চেষ্টা চালিয়েছে গোলের; কিন্তু হামজাদের ডিফেন্স এবং গোলরক্ষক মিতুল মারমার বাধা ভেদ করে তারা পারেননি গোল করতে। হামজা চৌধুরী গোললাইনে সেভ করেছেন বারবার। তার দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরেও গেছে। রক্ষণে বারবার ত্রাণকর্তার ভূমিকায় ছিলেন। আক্রমণে সহায়তাও করেছেন। মাঠে উত্তেজনাও ছিল বেশ। জামাল ভূঁইয়া আগের দিন বলেছিলেন, এই ম্যাচে অনেক ঘটনা ঘটবে। ৩৩ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। ফিলিপাইনের রেফারি বাংলাদেশের তপু বর্মণ ও ভারতের নারাভি নিখিলকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন।