ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সময়মতো মসৃণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে ইইউ

সময়মতো মসৃণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সময়মতো, মসৃণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়আর্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়আর্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। শেরে বাংলানগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শনিবার ‘মক ভোটিং’ দেখে এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত। এর তিন দিনের মাথায় সিইসির সঙ্গে এ বৈঠক হলো।

মাইকেল মিলার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সময়মতো, মসৃণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। এটা বাংলাদেশের জন্য তার গণতান্ত্রিক পথের দিকে একটা বড় সুযোগ।

এ সময় দুই ভোটের মহড়ার প্রসঙ্গ টেনে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারার পথে এ নির্বাচন একটি বড় সুযোগ। আমার সংসদ ও গণভোট পরিচালনার লক্ষ্যে ইসির একটি মহড়াও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতির দেখে আমি অভিভূত। সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সার্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে তা করা হয়েছে।’

ইসির স্বক্ষমতা ও অঙ্গীকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্ট ও পেশাদারিত্ব এবং ভোট পরিচালনার সক্ষমতা দেখতে পেয়েছি। ২০২৬ সালে বিশ্বের বড় একটি নির্বাচন হচ্ছে বাংলাদেশে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবারের নির্বাচনে একটি খুব বড় নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন নিয়োজিত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, এবারের ভোটে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইইউ। এ ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ইইউ’র সমর্থনের কথাও জানান তিনি।

গণভোট ছাড়াও নির্বাচনে আপনি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি মনে করেন জানতে চাইলে মিলার বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি চ্যালেঞ্জ হবে যে আপনাদের এমন একটি প্রজন্ম আছে যারা পূর্ববর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়নি, হয়তো তারা নির্বাচনগুলোকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ তারা জানত এগুলো মুক্ত ও সুষ্ঠু হবে না, অথবা তারা ভয় পেত যে ভোট দেওয়ার কাজটির সঙ্গে সহিংসতা জড়িত থাকতে পারে।

এটি একটি চ্যালেঞ্জ হবে, কারণ মানুষকে বুঝতে হবে তারা কী করছে, নির্বাচন এবং গণভোটের দিনটিতে বাস্তবিক অর্থে। মানুষকে বুঝতে হবে তারা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই কী করছে, যাতে তারা সময়মতো ভোট দিতে সক্ষম হয়। আমি জেনেছি যে নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে, আমার মতে এটা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার কাজ।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত