
একাত্তরের ডিসেম্বরে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে ধাপে ধাপে এগোচ্ছিল বাঙালি জাতি। দেশের বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা চলে এসেছিল ঢাকার কাছাকাছি। এমন এক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানিরা বিদেশি সাহায্যের দিকে তাকিয়েছিল। কিন্তু সাহায্য না পেয়ে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ কামড় হিসাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্ত করে। ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর সেই নীলনকশা করে পাকবাহিনী।
১২ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী দিনাজপুরের খানসামা থানা আক্রমণ করে। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ১৫ জন ও সাত মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। তাদের হাতে এক মেজরসহ পাক বাহিনীর ১৯ জন ধরা পড়ে। এদিন নীলফামারী হানাদারমুক্ত হয়। এদিনই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মিত্রবাহিনী ছত্রীসেনা নামিয়ে দেয়।
রাতে টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় মিত্রবাহিনী। তুমুল যুদ্ধ হয়। ১২ ডিসেম্বর সকালে নরসিংদী হানাদারমুক্ত হয়। নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর পাকিস্তান দখলের অবসান ঘটতে থাকে। বিজয়ের স্বাদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এগোতে থাকলে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পিছু হটে পাকবাহিনী।