ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কুরস্ক পুনর্দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেন বলছে লড়াই চলছে
কুরস্ক পুনর্দখলের দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার সেনাবাহিনী দেশটির কুরস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আট মাস আগে সেখানে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে চমকে দিয়েছিল। তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে কুরস্ক পুনর্দখলের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, রুশ সেনারা কুরস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ গ্রাম গর্নাল মুক্ত করেছেন। গেরাসিমভকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন সরকারের দুঃসাহসী অভিযান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’ ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের সেনারা এখনও কুরস্কের কিছু অংশে অভিযান চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে ইউক্রেনের চিফ অব স্টাফ বলেন, ‘ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পরাজয়’ নিয়ে শত্রুপক্ষের নেতাদের বক্তব্য অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি ‘কঠিন’ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে অগ্রগতি করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণের কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে কুরস্কে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চেয়েছিল কিয়েভ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের অগ্রগতির ঘোষণা দিতে গিয়ে মস্কোর সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ উত্তর কোরীয় সেনাদের প্রশংসা করেন। তারা রণাঙ্গনে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছেন। মস্কোর পক্ষ থেকে এ যুদ্ধে তাদের ভূমিকার প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এটি। ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দলকে পরাজিত করতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা করার জন্য গত বছর উত্তর কোরিয়া থেকে ১০ হাজারের বেশি সেনা রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। ইউক্রেনের দাবি, তারা কুরস্কে যুদ্ধরত কয়েকজন উত্তর কোরীয় সেনাকে বন্দি করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাশিয়া যখন কুরস্ক পুনর্দখলের ঘোষণা দিয়েছে, তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের এক ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ‘সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির’ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত