হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করার আগেই নজিরবিহীন কর্মকাণ্ডের এক ইতিহাস তৈরি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুট করে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করেছেন। কয়েকদফায় চড়া শুল্ক আরোপ আর স্থগিত করে সব দেশকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছেন। আবার আগের প্রশাসনের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ইউক্রেন যুদ্ধে প্রকাশ্যেই রুশ বয়ানের প্রতি নমনীয়তা দেখিয়েছেন। এছাড়া, ক্ষমতায় বসার আগে থেকেই গ্রিনল্যান্ড ও পানামা দখল এবং কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার খায়েশ বেশ জোরালোভাবে প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে পুরো বিশ্বব্যবস্থাকে ওলটপালট করে দিচ্ছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তার ভিত্তি ১০০ দিনের কম সময়ে নড়বড়ে করে তুলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে হতবাক হয়ে আছেন এলিয়ট আব্রামস। রোনাল্ড রিগ্যান এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে কাজ করা আব্রামস ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ইরান ও ভেনেজুয়েলার বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বলেছেন, আট বছর আগের সঙ্গে এই ট্রাম্পের লক্ষণীয় পার্থক্য রয়েছে। এখন তিনি অনেক বেশি উগ্র। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ভিত্তিপ্রস্তর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি বা আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি। এই নীতি বাস্তবায়নের প্রয়াসে তার কাজকর্মে দীর্ঘদিনের মিত্ররা দূরে সরে যাচ্ছে আর প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখন আগের চেয়ে বেশি সরব হচ্ছে। তার প্রতিটি পদক্ষেপ এত বেশি অনিশ্চয়তা তৈরি করছে যে, সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রায় দুঃসাধ্য হবে।