কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে নাটকীয় জয় পেয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি লিবারেল পার্টি। গত সোমবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডা দখলের হুমকি ও বাণিজ্যযুদ্ধ। বিজয় ভাষণে কার্নি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের পুরোনো সম্পর্ক-যেটি ক্রমাগতভাবে একীভূত হওয়ার ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছিল, তা শেষ।’ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। তবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার চেয়েছিলেন, তা অর্জন করতে পারেননি। ‘মার্কিন নেতৃত্বাধীন উন্মুক্ত বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যেটির ওপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কানাডা নির্ভর করে এসেছে যেটি নিখুঁত না হলেও আমাদের বহু দশক ধরে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে এখন সেটিও শেষ।’ ‘এগুলো কেবল দুঃখজনক ঘটনা নয়, এটাই এখন আমাদের নতুন বাস্তবতা।’ কার্নি জানান, সামনের মাসগুলো হবে কঠিন এবং এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রাথমিক পূর্বাভাসে দেখা গেছে, লিবারেলরা এখন পর্যন্ত ১৬৭টি নির্বাচনি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর কনজারভেটিভরা পেয়েছে ১৪৫টি। ভোট গণনা এখনও চলমান। কানাডার হাউজ অব কমন্সে মোট ৩৪৩টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১৭২টি আসনে জয় দরকার। জনমত জরিপ সংস্থা অ্যাঙ্গাস রেইড ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট শাচি কার্ল রয়টার্সকে বলেন, এই লিবারেল বিজয়ের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ ছিল।