পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি সম্প্রতি ‘সামা টিভি’র জনপ্রিয় টকশো ‘জোর কা জোর’-এ অংশ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার বিশ্বাস, পাকিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশটির সেনাবাহিনীর বিশাল এক ভূমিকা আছে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের ভাষ্য, ‘পাকিস্তান আর্মি বিশ্বের অন্যতম সেরা বাহিনী, আমি তাদের জন্য গর্বিত।’ আফ্রিদির মতে, দেশের মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনীর ত্যাগ ও নিষ্ঠা। বিষয়টা বুঝাতে গিয়ে তিনি ফিলিস্তিনের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে স্বাধীনভাবে বাস করছি, তা বুঝতে চাইলে ফিলিস্তিনিদের দিকে তাকালেই যথেষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ত্যাগ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।’ কথার ফাঁকে তিনি তার ও পাকিস্তানের জনগণের দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থনের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ২৫ কোটি মানুষই একেকজন সৈনিক। আমরা সবাই মিলে সেনাবাহিনীর পাশে আছি।’
এ সময় আফ্রিদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তার মতে, ভারতীয় খেলোয়াড়দের নাকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলতেও চাপ দিচ্ছে মোদি প্রশাসন। তার অভিযোগ, ‘মোদিই পুরো ভারতীয় মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। এমনকি ভারতীয় খেলোয়াড়দের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তরা নিজেরাই স্বীকার করেছে।’ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্কোয়াশ তারকা জাহাঙ্গীর খানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলাকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। খেলাধুলা হলো শান্তির প্রতীক।’ ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের টানাপোড়েন বহু আগে থেকেই চলে আসছে। তবে সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বিষয়টা আরও বাজে রূপ নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। এর ছাপ পড়েছে দুই দেশের খেলাধুলাতেও। বৈশ্বিক মঞ্চেও এখন দুই দলের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়।
এদিকে দুই দেশের সীমান্তে সংঘাতও শুরু হয়ে গেছে। যার ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনী এখন একে অন্যের মুখোমুখি। ঠিক এই সময়ে নিজ দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসায় মুখর হলেন আফ্রিদি।