সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে শান্তির পক্ষে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরে বিশ্বশক্তির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। লন্ডনে একাধিক কূটনৈতিক বৈঠক শেষে তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান কৌশলগতভাবে ভারতকে পেছনে ফেললেও সংঘাত না বাড়িয়ে সংযম দেখিয়েছে। পাকিস্তানি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপে বিলাওয়াল বলেন, ‘সংঘাত চলাকালে আমরা ২০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করেছিলাম, তবে ভূপাতিত করেছি মাত্র ছয়টি। বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান শুধু প্রতিরোধেই নয়, শান্তির ক্ষেত্রেও একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। গতকাল জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে আসে। দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে বিএসএফের পুশইন দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে বিএসএফের পুশইন ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিলাওয়াল বলেন, ‘আমরা চাই সব সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে, যার শুরু হোক কাশ্মীর থেকে। কিন্তু ভারত আলোচনায় রাজি না হওয়ায় সংকট নিরসনে অগ্রগতি হচ্ছে না।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। বিলাওয়ালের ভাষায়, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলামণ্ড ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সব ইস্যুতে আলোচনা হবে, সেই শর্তেই যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় তার ভূমিকাও স্বীকার করে নেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। চ্যাথাম হাউস ও ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস)-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিলাওয়াল ভারতের পদক্ষেপকে জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশেষভাবে ইন্দাস জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করাকে তিনি পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিপজ্জনক নজির বলে মন্তব্য করেন। তার কথায়, পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। যদি পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেই বিবেচনা করব।