ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আলোর পথে : ধৈর্যের অনুশীলন

আলোর পথে : ধৈর্যের অনুশীলন

কোনো এক বদ্ধ কক্ষে বসে আছেন। হঠাৎ প্রজ্বলিত বাতিটি নিভে গেল। পুরো ঘর অন্ধকারে ভরে উঠল। কক্ষটি এতটাই বদ্ধ যে, কোনো ছিদ্র দিয়েও আলো আসছে না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিজের মতো করে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। অলীক সব স্বপ্নের জাল বুনে যাচ্ছেন। মস্তিষ্কে রাজ্যের কাজ-অকাজের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর, বাইরে বেরুনোর ইচ্ছে করলেন। হাতড়ে হাতড়ে দরোজায় পৌঁছুলেন। দরোজা খুলতেই দেখলেন, রোদের তীব্র প্রখর। বাইরের জগৎটা আলো ঝলমল করছে। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকায় খুব সহজেই চোখ মেলতে পারবেন না। চোখ খচখচ করবে অনেকটা। স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে একটুখানি। ঠিক তখন কোনো মানুষ আপনাকে দেখলে বলবে, ‘তুমি এমন করছ কেন? চোখে কোনো সমস্যা?’ আপনাকে তার অস্বাভাবিক মনে হবে। এমনকি আপনাকে সে অন্ধও বলতে পারে।

ঠিক তেমনি যদি গোনাহ ছেড়ে দ্বীনের পথে চলতে চান, তাহলে অনেকেই আপনাকে পাগল বলবে। কটু কথা শোনাবে। আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা, বিদ্রুপ করবে। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে। উপহাস করবে। খুব কাছের মানুষ, আপনজন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আঘাত পাবেন। তাদের আচরণই আপনাকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলবে। কাছের মানুষগুলো অপরিচিত হয়ে যাবে। পুরোনো বন্ধুত্বের বৃত্ত ছোট হয়ে আসবে। তবুও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অবিচল থাকতে হবে।

দীর্ঘদিন গোনাহের জগতে ডুবে ছিলেন। নতুন করে দ্বীনের পথে চলতে তাই একটুখানি সমস্যা হবে। এটা সাময়িক। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে একদিন। এ সময় অসীম ধৈর্যের প্রয়োজন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। খুব বেশি সাহায্য চাইতে হবে। দেখবেন, বিভিন্ন সময় জীবনে অলৌকিক, অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে যাবে, যা পরীক্ষিত। পরিচিত অনেকের জীবনেই ঘটেছে। দ্বীনি পরিবেশ খুঁজে নিতে হবে। নেককারদের সংস্পর্শে থাকতে হবে। যখন অনেক বেশি কষ্টে, মানুষের আচরণে মনঃক্ষুণœ হবেন, তখন নবী-রাসুলদের কথা স্মরণ করুন। দ্বীন পালনের জন্য তারা কত আঘাত সয়েছেন! কত নির্মম অত্যাচার সহ্য করেছেন! তাদের সেই ত্যাগের কাছে আমার, আপনার ত্যাগ নগণ্য।

কোটেশন

দীর্ঘদিন গোনাহের জগতে ডুবে ছিলেন। নতুন করে দ্বীনের পথে চলতে তাই একটুখানি সমস্যা হবে। এটা সাময়িক। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে একদিন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত