জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে থেকেই দেশের বাইরে সাকিব আল হাসান। তারপর আর দেশে ফেরা হযনি এই অলরাউন্ডারের। তাই বলা চলে সাকিবের বাংলাদেশ অধ্যায়টা একপ্রকার শেষ। মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলে এই ফরম্যাটটা ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। একই ভাবে ওয়ানডে ছাড়তে চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে। দুটোই সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে তার দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তারপরও বাস্তবতা হচ্ছে, সাকিব বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার ছিলেন ২০২৪ সালে। নিয়ম অনুযায়ী বেতনও পাওনা তার। তবে ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর আর ডিসেম্বরের বেতন পাননি সাকিব। ট্যাক্স বাদ দিয়ে এই অঙ্কটা প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মতো বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্তা। সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে তার ব্যাংক হিসাবও। তাহলে বেতনের ৪৮ লাখ টাকা কীভাবে পাবেন সাকিব? এ নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ‘ক্রিকবাজকে’ বলেছেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী তার বেতনের টাকা পেয়ে যাবে সে। আপনি খেলুন বা নাই খেলুন চুক্তি করা আছে। আর আমরা অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।’ গত সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেছেন বিসিবি পরিচালকরা। সব ফরম্যাটে বেতন বাড়লেও টেস্টকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন নাজমুল আবেদীন, ‘পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটার যারা, তাদের বৃদ্ধির পরিমাণটা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।’