ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাসিনা গেল, হাসিনার পুলিশ গেল না : ফাইয়াজ

হাসিনা গেল, হাসিনার পুলিশ গেল না : ফাইয়াজ

৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করে তারা শিক্ষার্থীরা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ রোধ করে।

পরে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসে টিয়ার গ্যাসের শেলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। গতকাল বুধবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’

আবরার ফাইয়াজ তার পোস্টে বলেন, ‘মিন্টো রোডের সামনে আসার পরে কোনো ব্যারিকেড নেই, পুলিশ নেই। রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে।’

আমরা কয়েকজন মিলে থামালাম সবাইকে। ছবির ভদ্রলোক (ডিসি মাসুদ আলম) এসে ২০ ব্যাচের এক ভাইয়ের গলা চেপে ধরলেন। বেশ কয়েকজনকে ঘুষি-লাথি দিলেন পেছন থেকে এসে। আমাদের আজকের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ছিল ঢাকার বাইরের। দেখে খেপে গিয়ে তারা মিন্টো রোডে ঢুকল।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে তারপরে সামনে গিয়ে থামালাম কয়েকজন ভাইকে নিয়ে। এর মিনিটখানেক পর দেখি হঠাৎ পায়ের নিচে সাউন্ড গ্রেনেড আর লাঠিচার্জ শুরু। আমি পেছনে ঘুরে সবাইকে আটকে রেখেছি। আর হঠাৎ পুলিশ এসে লাঠিচার্জ।’

যমুনার কোনো এক সিকিউরিটি ইনচার্জ এসে বললেন, ‘বাবা, তুমি ওদের পেছাতে বলো একটু গিয়ে। আমি কিছু কথা বলে বললাম, আপনারা টিয়ারশেল বা সাউন্ড গ্রেনেড আর মাইরেন না, আমরা পেছাচ্ছি। অথচ শিক্ষার্থীরা যাওয়ার আগেই টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ব্যবহার করল। যাকেই একা পেয়েছে, ধরে পিটিয়েছে। একজনের মেরুদণ্ডে স্প্রিন্টার ঢুকে গেছে।’

আবরার ফাইয়াজ আরও বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর হামলার পর যদি ম্যাও ম্যাও করে সবাই পালাইতো তাহলে আজ হাসিনার সরকারই থাকত। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ছাত্ররা আগে হামলা করেছে এর সত্যতা জুলাইয়ে ২০০০ পুলিশ নিহত হওয়া থেকে বিন্দুমাত্র বেশি নয়। হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত