ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শহিদুল আলমকে কারাগারে বন্দি করেছে ইসরায়েল

শহিদুল আলমকে কারাগারে বন্দি করেছে ইসরায়েল

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ গাজা অভিমুখী নৌবহর থেকে আটক অধিকারকর্মীদের একটি অংশকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলে আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এ তথ্য জানিয়েছে।

শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

দৃক গতকাল বৃহস্পতিবার এক বার্তায় বলেছে, ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েল (যারা অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছে) এর মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্লোটিলার অধিকারকর্মীরা আদালাহর আইনজীবীদের জানিয়েছেন, জাহাজ দখল নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর দ্বারা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।’ কেৎজিয়েত কারাগার ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র। এটা নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত। এখানে আটক ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

এ নৌবহরে আটটি নৌযান অংশ নিয়েছিল থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা প্ল্যাটফর্ম থেকে। থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা আজ বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ইসরায়েল বেআইনিভাবে ফ্লোটিলা থেকে ১৪৫ জনকে অপহরণ করেছে। তাদের অনেককে কেৎজিয়েত কারাগারে নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের মারধর, অপদস্থ ও জুলুম করা হয়েছে। আদালাহর আইনজীবীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই পোস্টে বলা হয়, আজকেই আটক ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের পরিপূর্ণভাবে আইনি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে।

ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্যকে ইতিমধ্যে ইসরায়েল থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা। এর আগে গত সপ্তাহে গাজা অভিমুখী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪২টি নৌযান থেকে ৪৭৯ জনকে আটক করে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। কয়েক ধাপে তাঁদের অধিকাংশকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত